গভীর রাতে চরমোনাই পীরের দরবারে গাজীপুরের জাহাঙ্গীর
- আপলোড সময় : ০১:০৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
- / ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে
গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম চরমোনাই দরবার শরিফে গিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পরাজিত মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে চরমোনাই দরবার শরিফে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত এই নেতা। জাহাঙ্গীর বরিশালের ভোটে হামলার শিকার ফয়জুল করীমের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন, জানান সমবেদনা। পাশাপাশি গভীর রাতে দুই নেতা একান্তে কিছু সময় বৈঠক করেন।
চরমোনাই মিডিয়া গ্রুপের সদস্য ও ইসলামী যুব আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের সভাপতি এস এম সানাউল্লাহ শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে বলেন, “রাত ১১টায় গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম চরমোনাই দরবার শরিফে এসে পৌঁছান। এক ঘণ্টার মত তিনি এখানে অবস্থান করেছিলেন।
“তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রার্থী মুফতী ফয়জুল করীমের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম ও মুফতী ফয়জুল করীম একান্তে কথা বলেছেন।”
তবে তাদের মধ্যে কী বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানেন না দাবি করে সানাউল্লাহ বলেন, “মুফতী ফয়জুলের কক্ষ থেকে বেরিয়ে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরে ফিরে গেছেন।”
তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজীপুর মহানগরের প্রচার ও দাওয়া সম্পাদক এস এম ওয়াহিদুল ইসলামও জাহাঙ্গীর আলমের চরমোনাই পীরের দরবার শরিফে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “জাহাঙ্গীর আলম সাহেব এর আগেও তো দরবার শরিফে গিয়েছেন। কাল রাতে তিনি তার মতো করে লোকজনকে নিয়ে সেখানে গিয়েছেন। আমাদের ঊর্ধ্বতন কেউ যায়নি।”
জাহাঙ্গীর কেন গিয়েছিলেন, কিছু জানেন কি না? জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, “হুজুরের (ফয়জুল করীম) উপর হামলার পর তো অনেকেই গেছেন। তিনিও গেছেন উনাকে সমবেদনা জানাতে। সৌজন্য সাক্ষাৎ বলতে পারেন। ছবিও আছে।”
জাহাঙ্গীর আলম ও সৈয়দ মুফতী ফয়জুল করীমের সাক্ষাতের ছবিটি গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় হাতপাখার প্রতীকের প্রচারে জন্য তৈরি ফেসবুক পেইজে রয়েছে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবারও দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দলের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি ও তার মা জায়েদা খাতুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের জামিনদার হওয়ায় প্রার্থিতা বাতিলের পর জাহাঙ্গীর তার মায়ের টেবিল ঘড়ি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনে সামনে। সেই নির্বাচনে নৌকাকে ডুবিয়ে জায়েদা খাতুন গাজীপুরের মেয়র নির্বাচিত হন।