ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এলএনজি আমদানি বাড়াতে ওমানের সাথে আরেকটি চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ১১:০৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
  • / ১০০২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের তেল গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে আরো তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য ওমানের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ওকিউটি-এর সাথে আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাজধানীতে ওকিউটি ও পেট্রোবাংলা’র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ইলাহী চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় ওমান থেকে ১-১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি করছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ওমানের সাথে বিদ্যমান চুক্তির অতিরিক্ত হিসেবে ১০ বছরের জন্য একটি চুক্তির অধীনে আরো ১ মিলিয়ন টন আমদানি বাড়ানো হবে।’ বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে ঘন ঘন দামের ওঠানামার কারণে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ তার এলএনজি আমদানি বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে আছে। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ২০২৬ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য বার্ষিক অতিরিক্ত ১৫ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পাওয়ার জন্য কাতারের সাথে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
পেট্রোবাংলা কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রাস লাফান লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (কাতারগ্যাস) সাথে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নতুন চুক্তির অধীনে কাতার ২০২৬ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর অতিরিক্ত প্রায় ১ দশমিক ৫ এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহ করবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে ১২টি এলএনজি এবং ২০২৭ সালে ২৪টি কার্গো পাবে।
বর্তমানে, বাংলাদেশ ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত একটি বিদ্যমান চুক্তির অধীনে ২০১৮ সাল থেকে ১ দশমিক ৮২-২ দশমিক ৫ মিলিয়ন এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করছে।
দেশের মোট প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) চাহিদা ৪ হাজার এমএমসিএফডি এর বিপরীতে প্রায় ১ হাজার এমএমসিএফডি’র ঘাটতি রয়েছে। মোট উৎপাদনের মধ্যে ৭০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয় এবং ২ হাজার ৩০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয়।
সূত্র : ইউএনবি

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এলএনজি আমদানি বাড়াতে ওমানের সাথে আরেকটি চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

আপলোড সময় : ১১:০৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

বাংলাদেশের তেল গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে আরো তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য ওমানের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ওকিউটি-এর সাথে আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাজধানীতে ওকিউটি ও পেট্রোবাংলা’র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ইলাহী চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় ওমান থেকে ১-১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি করছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ওমানের সাথে বিদ্যমান চুক্তির অতিরিক্ত হিসেবে ১০ বছরের জন্য একটি চুক্তির অধীনে আরো ১ মিলিয়ন টন আমদানি বাড়ানো হবে।’ বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে ঘন ঘন দামের ওঠানামার কারণে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ তার এলএনজি আমদানি বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে আছে। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ২০২৬ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য বার্ষিক অতিরিক্ত ১৫ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পাওয়ার জন্য কাতারের সাথে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
পেট্রোবাংলা কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রাস লাফান লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (কাতারগ্যাস) সাথে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নতুন চুক্তির অধীনে কাতার ২০২৬ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর অতিরিক্ত প্রায় ১ দশমিক ৫ এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহ করবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে ১২টি এলএনজি এবং ২০২৭ সালে ২৪টি কার্গো পাবে।
বর্তমানে, বাংলাদেশ ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত একটি বিদ্যমান চুক্তির অধীনে ২০১৮ সাল থেকে ১ দশমিক ৮২-২ দশমিক ৫ মিলিয়ন এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করছে।
দেশের মোট প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) চাহিদা ৪ হাজার এমএমসিএফডি এর বিপরীতে প্রায় ১ হাজার এমএমসিএফডি’র ঘাটতি রয়েছে। মোট উৎপাদনের মধ্যে ৭০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয় এবং ২ হাজার ৩০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয়।
সূত্র : ইউএনবি

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন