ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধভাবে হকার বসতে না দেওয়ায় জোড় করে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ১১:৪৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৬৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় এলাকায় হকার নামধারী কয়েকজনকে দিয়ে জোড় করে মানববন্ধন করিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ফুটপাতের দোকানীরা। এতে দোকানীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

দোকানীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, শিমরাইল মোড়ে অবৈধভাবে হকার বসতে না দেওয়ায় একটি সিন্ডিকেল জোড়পূর্বক মুখে মাক্স পড়িয়ে নিজস্ব কয়েকজন হকার দিয়ে ব্যানার টাঙ্গিয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের টিআই একেএম শরফুদ্দিনের বিরুদ্ধে নামমাত্র মাববন্ধনের নামে ফটোসেশন করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুটপাতের এক দোকানদার জানান, ঈদের পাঁচ দিন আগে আমাদের ফুটপাতে দোকান বসানোর কথা বলে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চাঁদাবাজ জামাল উদ্দিন ও তার সহযোগীরা।

জামাল র‌্যাব, থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে এসকল টাকা উত্তোলন করেন।কিন্ত ঈদের পর আর আমরা দোকান নিয়ে বসতে পারিনি। তাই চাঁদাবাজরা আমাদেরকে দিয়ে শুধু ছবি তুলতেই ব্যানার দিয়ে দাড় করাইছে। এই ছবি নাকি পত্রিকায় দিলেই টিআই শরফুদ্দিনের বদলী হইয়া যাইবো। হের পরে আমাদের আর এই ফুটপাতে বসতে কোন সমস্যা হইবো না।

তাই আমরা না বুঝেই টিআই স্যারের বিরুদ্ধে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমরা টি আই স্যারের বিরুদ্ধে কোনভাবেই বিক্ষোভ করতে চাইনি। আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে জোড় করে ব্যানারের সামনে দাড় করিয়েছেন কয়েকজন চাঁদাবাজ।

পথচারীরা জানান, সরকারি জায়গা দখল করে একটি সংঘবদ্ধ চাঁদবাজ চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন নিরীহ, অসহায়, গরীব, ফুটপাতে দোকানীদের কাছ থেকে। সম্প্রতি এসকল দোকান উচ্ছেদ করেন হাইওয়ে পুলিশ। এতে চাঁদাবাজদের মাথায় হাত পড়ে যায়।

এ বিষয়ে টিআই একেএম শরফুদ্দিন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী মহাসড়কের যেন যান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি না হয় সেজন্য মহাসড়কের আশপাশ এলাকায় সকল অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাতে বসা দোকান উচ্ছেদ অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করছি। চাঁদাবাজ জামাল উদ্দিন ও তার সহযোগীরা ঈদের পাঁচদিন পূর্বে দোকান বসানোর জন্য অনুরোধ জানায়।

মানবিক কারণে দোকান বসলেও পরে জানতে পারলাম ওই চাঁদাবাজরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা বলে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের অবৈধকাজে বাধা দেওয়ার কারণেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তারা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

অবৈধভাবে হকার বসতে না দেওয়ায় জোড় করে মানববন্ধন

আপলোড সময় : ১১:৪৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩

ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় এলাকায় হকার নামধারী কয়েকজনকে দিয়ে জোড় করে মানববন্ধন করিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ফুটপাতের দোকানীরা। এতে দোকানীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

দোকানীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, শিমরাইল মোড়ে অবৈধভাবে হকার বসতে না দেওয়ায় একটি সিন্ডিকেল জোড়পূর্বক মুখে মাক্স পড়িয়ে নিজস্ব কয়েকজন হকার দিয়ে ব্যানার টাঙ্গিয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের টিআই একেএম শরফুদ্দিনের বিরুদ্ধে নামমাত্র মাববন্ধনের নামে ফটোসেশন করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুটপাতের এক দোকানদার জানান, ঈদের পাঁচ দিন আগে আমাদের ফুটপাতে দোকান বসানোর কথা বলে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চাঁদাবাজ জামাল উদ্দিন ও তার সহযোগীরা।

জামাল র‌্যাব, থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে এসকল টাকা উত্তোলন করেন।কিন্ত ঈদের পর আর আমরা দোকান নিয়ে বসতে পারিনি। তাই চাঁদাবাজরা আমাদেরকে দিয়ে শুধু ছবি তুলতেই ব্যানার দিয়ে দাড় করাইছে। এই ছবি নাকি পত্রিকায় দিলেই টিআই শরফুদ্দিনের বদলী হইয়া যাইবো। হের পরে আমাদের আর এই ফুটপাতে বসতে কোন সমস্যা হইবো না।

তাই আমরা না বুঝেই টিআই স্যারের বিরুদ্ধে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমরা টি আই স্যারের বিরুদ্ধে কোনভাবেই বিক্ষোভ করতে চাইনি। আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে জোড় করে ব্যানারের সামনে দাড় করিয়েছেন কয়েকজন চাঁদাবাজ।

পথচারীরা জানান, সরকারি জায়গা দখল করে একটি সংঘবদ্ধ চাঁদবাজ চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন নিরীহ, অসহায়, গরীব, ফুটপাতে দোকানীদের কাছ থেকে। সম্প্রতি এসকল দোকান উচ্ছেদ করেন হাইওয়ে পুলিশ। এতে চাঁদাবাজদের মাথায় হাত পড়ে যায়।

এ বিষয়ে টিআই একেএম শরফুদ্দিন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী মহাসড়কের যেন যান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি না হয় সেজন্য মহাসড়কের আশপাশ এলাকায় সকল অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাতে বসা দোকান উচ্ছেদ অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করছি। চাঁদাবাজ জামাল উদ্দিন ও তার সহযোগীরা ঈদের পাঁচদিন পূর্বে দোকান বসানোর জন্য অনুরোধ জানায়।

মানবিক কারণে দোকান বসলেও পরে জানতে পারলাম ওই চাঁদাবাজরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা বলে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের অবৈধকাজে বাধা দেওয়ার কারণেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তারা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন