মোগরাপাড়া এইচ জি জি এস সরকারি স্মৃতি বিদ্যায়তন ২০০৪ ব্যাচের নৌকা ভ্রমণ অনুষ্ঠিত
- আপলোড সময় : ০১:০৩:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
- / ৪০৭ বার পড়া হয়েছে
যতদূর চোখ যায়-গহীন জলরাশি ছুঁই ছুঁই সুনীল আকাশ, উত্তাল ঢেউয়ের তালে দুলে চলছে নৌকা। দিগন্তবিস্তৃত উদার সাগরে নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকতে থাকতে বিমোহিত আবেশে হারিয়ে যায় মন। ভাবুন বঙ্গোপসাগরে মাঝখানে আপনি, আর আপনাকে নিয়েই এমন দৃশ্য – কেমন লাগবে?
সাগর, বালুকাবেলা, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত এবং নির্জন প্রকৃতির সব সৌন্দর্য যেন ঠিক এক জায়গায়। আর এত সব আয়োজনের সঙ্গে এবার
নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার -মোগরাপাড়া এইচ জি জি এস সরকারি স্মৃতি বিদ্যায়তন ব্যাচ ২০০৪ এর পূর্ন মিলনী উপলক্ষে সারাদিন ব্যাপী নৌকা ভ্রমণ এর আয়োজন সম্পূর্ণ হয়।
২৫ই আগস্ট রোজ শুক্রবার মোগরাপাড়া এইচ জি জি এস সরকারি স্মৃতি বিদ্যায়তন ব্যাচ ২০০৪ এর সকল বন্ধুরা ফুটবল খেলা, সাঁতারকাটা, নাচ,গান, গল্প গোজব সহ বিভিন্ন বিনোদন
ট্রলার এগিয়ে চলছে বৌদ্ধর বাজার ঘাট থেকে সোজা কুমিল্লার দিকে। নদীর দুই ধারে সবুজ বন আর শস্য ক্ষেত। নদীর বুকে দু-একটা মাছ ধরা নৌকা। কেউ মাছ ধরছে জাল দিয়ে, কেউ আবার রড়শি দিয়ে।
আমাদের গানের আসরও। গানের স্পেশাল আয়োজনের ছিলো গান চলছে, তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে; ও রে নীল দরিয়া; বকুল ফুল, বকুল ফুল প্রভৃতি। কখনও আবার, মধু হৈ হৈ আরে বিষ হাওয়াইলা; আমার হার কালা করলামরে; কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু.. ..এমন গান নদীর পাশেই চন্দনপুর, বাঞ্চারামপুর ছোট্ট দ্বিপ বললেও ভুল হবেনা এরই মধ্যো দুপুরের খাবার খেয়ে ছুটে চলতে চলতে আবার আমরা নেমে পরলাম বাঞ্চারামপুর বাজারের উদ্দেশ্য বিকালের নাস্তা। নাস্তা আমাদের সাথেই ছিল। সবাই একত্রে নাস্তা খাওয়া হল!
ঘন্টা খানেক থাকার পর শুরু হল ফিরতি যাত্রা। সূর্য তখন ডুবুডুবু। সূর্যাস্তের লাল আভা যেন নদীর পানিকে দেয় অপরুপ সাঁজ। দ্বিপের মধ্যে ঝিঁ ঝিঁ পোকারা ডাকতে শুরু করেছে। মনে হয় যেন এক বিদায়ী সংবর্ধনা। ক্লান্তির ছাপ আর হাসি মুখে ফিরছি সবাই। মাঝ পথে নৌকার দোল খাওয়া বিনোদন।
অবশেষে একই বোটে ফিরে এলাম যাত্রাস্থলে।
সবাই মিলে ব্যয় করে এলাম কিছু সময়। এতগুলো কাছের মানুষ একত্রে বেড়ানো তেমন একটা হয়ে ওঠে না। শিক্ষা আর জীবন আসবে না বারবার । শিক্ষা জীবন শেষ হলেও শেষ হবেনা এমন স্মৃতি।