ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবাসে বসে ঝগড়া,দেশে এসে হামলা ভাংচুর

মো: শাহিন (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মো: শাহিন (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ১১:২৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্রবাসে বসে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে কুয়েত প্রবাসী মোসলেম সরকার (৪২) দেশে আসার পর তার বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোসলেম উদ্দিন এর ছেলে মুরাদ হাসান(১৯) ছুরিকাঘাতে আহত ও তার ছোট বোন মুসলিমা (৩২) এবং বড় ভাবি বিলকিস(৫০) গুরুতর আহত হয়েছে। মুরাদ হাসান বর্তমানে ইকুরিয়া এলাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছে। আজ সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন কোন্ডা ইউনিয়নের ঘোষকান্দা প্রাইমারি স্কুলের সামনে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ঘোষকান্দা এলাকার বাসিন্দা হামলাকারী আনোয়ারের ছোট ভাই ইসমাইল ও মোসলেম কুয়েতে একসাথে চাকরি করতো। কিছুদিন আগে ইসমাইল দেশে আসার পর পুনরায় কুয়েতে ফিরে গেলে মালিক তাকে আর কোন কাজে রাখিনি। এ ঘটনায় ইসমাইল -মোসলেমকে দায়ী করে। এ নিয়ে কুয়েতে বসে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। গত এক সপ্তাহ আগে মোসলেম বাংলাদেশে ছুটিতে আসে। এই খবর পেয়ে ইসমাইলের ভাই আনোয়ার ওরফে বাবা আনোয়ার মোসলেমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় মোসলেম আদালতে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠান। এরপর আনোয়ার জামিনে বেরিয়ে এসে গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মোসলেমের বাড়িতে লোকজন নিয়ে এসে হামলা চালায়। এ ঘটনায় মোসলেম ট্রিপল নাইনে ফোন করে পুলিশের খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হামলার সত্যতা পান। পরে পুলিশ সকালে থানায় গিয়ে পুনরায় অভিযোগ করতে বলে। কিন্তু সকালে থানায় যাওয়ার আগেই ভোর সাড়ে পাঁচটায় পুনরায় আরেক দফা হামলা চালায়েবাবা আনোয়ার। এ সময় মোসলেমের ছেলেকে ছুরিকাঘাত এবং তার বোন ও বড় ভাবিকে মেরে আহত করা হয়। ভুক্তভোগী মোসলেম জানান, হামলার সময় আমি ও আমার স্ত্রী এক ঘরে দরজা বন্ধ করেছিলাম। পাশের ঘর থেকে দরজা ভেঙে আনোয়ার ও তার গুন্ডা বাহিনী আমার ছেলেকে বাইরে বের করে এনে রড ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে এবং সর্বশেষ ছুরিকাঘাত করে। আমার ছেলের চিৎকারে ছোট বোন ও ভাবি তাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও মেরে রক্তাক্ত করে। এরপর আমি বাইরে আসলে তারা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে এবং ঘরের আসবাবপত্র লুট করে স্টীলের আলমারি ভেঙ্গে সেখানে থাকা এক লক্ষ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় সকাল দশটায় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের বিকেল বেলা পুলিশ তদন্তে আসে। তিনি আরো জানান, বাবা আনোয়ার এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশের সাথে সখ্যতা থাকায় পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো জাজিরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালে মোবাইল ফোনে তিনি রূঢ় আচরণ করেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন,গতকাল রাতে হামলার পর রাত সাড়ে বারোটায় থানায় গেলে পুলিশ পরদিন সকালে আসতে বলে। রাতের বেলা যদি পুলিশ সময়মতো ব্যবস্থা নিতো তাহলে আজ সকালে এই হামলা হতো না। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ারের বাড়িতে গেলে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ-জামান জানান, এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাবা আনোয়ার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং তার নামে একাধিক মামলা আছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রবাসে বসে ঝগড়া,দেশে এসে হামলা ভাংচুর

আপলোড সময় : ১১:২৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্রবাসে বসে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে কুয়েত প্রবাসী মোসলেম সরকার (৪২) দেশে আসার পর তার বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোসলেম উদ্দিন এর ছেলে মুরাদ হাসান(১৯) ছুরিকাঘাতে আহত ও তার ছোট বোন মুসলিমা (৩২) এবং বড় ভাবি বিলকিস(৫০) গুরুতর আহত হয়েছে। মুরাদ হাসান বর্তমানে ইকুরিয়া এলাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছে। আজ সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন কোন্ডা ইউনিয়নের ঘোষকান্দা প্রাইমারি স্কুলের সামনে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ঘোষকান্দা এলাকার বাসিন্দা হামলাকারী আনোয়ারের ছোট ভাই ইসমাইল ও মোসলেম কুয়েতে একসাথে চাকরি করতো। কিছুদিন আগে ইসমাইল দেশে আসার পর পুনরায় কুয়েতে ফিরে গেলে মালিক তাকে আর কোন কাজে রাখিনি। এ ঘটনায় ইসমাইল -মোসলেমকে দায়ী করে। এ নিয়ে কুয়েতে বসে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। গত এক সপ্তাহ আগে মোসলেম বাংলাদেশে ছুটিতে আসে। এই খবর পেয়ে ইসমাইলের ভাই আনোয়ার ওরফে বাবা আনোয়ার মোসলেমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় মোসলেম আদালতে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠান। এরপর আনোয়ার জামিনে বেরিয়ে এসে গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মোসলেমের বাড়িতে লোকজন নিয়ে এসে হামলা চালায়। এ ঘটনায় মোসলেম ট্রিপল নাইনে ফোন করে পুলিশের খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হামলার সত্যতা পান। পরে পুলিশ সকালে থানায় গিয়ে পুনরায় অভিযোগ করতে বলে। কিন্তু সকালে থানায় যাওয়ার আগেই ভোর সাড়ে পাঁচটায় পুনরায় আরেক দফা হামলা চালায়েবাবা আনোয়ার। এ সময় মোসলেমের ছেলেকে ছুরিকাঘাত এবং তার বোন ও বড় ভাবিকে মেরে আহত করা হয়। ভুক্তভোগী মোসলেম জানান, হামলার সময় আমি ও আমার স্ত্রী এক ঘরে দরজা বন্ধ করেছিলাম। পাশের ঘর থেকে দরজা ভেঙে আনোয়ার ও তার গুন্ডা বাহিনী আমার ছেলেকে বাইরে বের করে এনে রড ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে এবং সর্বশেষ ছুরিকাঘাত করে। আমার ছেলের চিৎকারে ছোট বোন ও ভাবি তাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও মেরে রক্তাক্ত করে। এরপর আমি বাইরে আসলে তারা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে এবং ঘরের আসবাবপত্র লুট করে স্টীলের আলমারি ভেঙ্গে সেখানে থাকা এক লক্ষ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় সকাল দশটায় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের বিকেল বেলা পুলিশ তদন্তে আসে। তিনি আরো জানান, বাবা আনোয়ার এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশের সাথে সখ্যতা থাকায় পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো জাজিরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালে মোবাইল ফোনে তিনি রূঢ় আচরণ করেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন,গতকাল রাতে হামলার পর রাত সাড়ে বারোটায় থানায় গেলে পুলিশ পরদিন সকালে আসতে বলে। রাতের বেলা যদি পুলিশ সময়মতো ব্যবস্থা নিতো তাহলে আজ সকালে এই হামলা হতো না। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ারের বাড়িতে গেলে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ-জামান জানান, এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাবা আনোয়ার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং তার নামে একাধিক মামলা আছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন