কেরানীগঞ্জে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ০৪
- আপলোড সময় : ১০:৩৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
- / ৫৫৩ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কোটি আত্মসাৎকারী চক্রের মূল হোতাসহ ০৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ ফজলুল হক (৫৬), হুমায়ন কবির (৪৪), আবু সাইম রিয়াজ (৩২),মামুনুর রশিদ (২৪)। আজ রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া ও অপ্স) এম ফখরুল হাসান।তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে চাকরির প্রলোভনসহ অভিনব পন্থায় বিপুল অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারকে জনকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত ফজলুল হক উক্ত প্রতারক চক্রটির মূলহোতা। সে একটি নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিচয়ে দেশের প্রতিটি জেলার প্রতিটি থানায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার, পরিদর্শক, উপ-পরিদর্শকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জামানত বাবদ জন প্রতি ২০ হাজার টাকা করে নিত। এসব নিয়েগের ক্ষেত্রে সে উক্ত থানা এলাকার স্থানীয় বিভিন্ন সরকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং চাকুরী সন্ধানী বিভিন্ন সুনামধন্য ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের বাছাই করত যাতে করে স্থানীয় সরকারী/বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে কোন অসুবিধা না হয়।
পরবর্তীতে, ফজলুল হক ও তার সহযোগীরা থানা পর্যায়ে ভুয়া নিয়োগ প্রাপ্ত সুপারভাইজারদের দ্বারা গ্রামের বিভিন্ন স্কুলে তার নির্দিষ্ট কিছু বই বিতরন করত। উক্ত বইয়ের আলোকে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এবং বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার হিসেবে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রণের রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ জন প্রতি ১০০/২০০ টাকা করে হাতিয়ে নিত। এছাড়া উপবৃত্তি দেওয়ার নাম করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে উপবৃত্তির রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ১৫০/২০০ টাকা করে সংগ্রহের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যেক থানার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে কোটি কোটি টাকা অত্মসাৎ করে আসছিল বলে জানা যায়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত ফজলুল হকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অপরাধে বিভিন্ন থানায় ০৪টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।