ঢাকা ০২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীর সড়কের বেহাল দশা প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা

মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
  • আপলোড সময় : ০৭:২৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪১০ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী ও বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী যাওয়ার আসার প্রধান সড়ক পুরাতন হাসপাতাল রোড়। সড়কটি মেরামতের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। রাস্তাটিতে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দে চলাচলের অযোগ্য হয়ে আছে। ফলে এ পথে চলাচল করতে ছাত্র-ছাত্রী, চালক, যাত্রী, রোগী ও পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

নোয়াখালী জেলা শহরের সাথে কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ , দাগনভুঞা ও ফেনী জেলার মানুষের সহজে এবং কম সময়ে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। এমনকি সদর উপজেলার সাথে কবিরহাট উপজেলার যাতায়াতের অন্যতম সংযোগ সড়ক।

বুধবার (৩০ আগস্ট ) সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার অংশের অবস্থা খারাপ হওয়া সত্বেও প্রতিনিয়ত এ্যাম্বুলেন্স, মালবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা, মটরসাইকেল, ভ্যান, অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস যোগে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছেন এই সড়ক দিয়ে। এরই মধ্যে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন অংশে পানি জমে গেছে। পানির নিচের খানাখন্দ দেখতে না পাওয়ায় গাড়ি চলাচলে ঘটছে দুর্ঘটনা। নস্ট হচ্ছে গাড়ী ও গাড়ীর যন্ত্রাংশ। জরুরী রোগী হাসপাতালে নিতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। কালা মিয়ার পোল থেকে আদর্শ স্কুলের মোড় পর্যন্ত সড়কের অবস্থা বেশী খারাপ।

নেয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাহাদুর বলেন, এ সড়ক গত কয়েক বছর যাবত মেরামত না হওয়ায় সড়কের এই বেহাল অবস্থা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নোয়াখালী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী মহিলা কলেজ সহ প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী এ ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে অনেক কস্ট করে যাতায়াত করছে।

বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহিন বলেন, জেলা শহরের হাসপাতালে যেতে রোগীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতে করছেন। জনদূর্ভোগ দুর করতে রাস্তাটি অতিদ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

এলজিইডি নোয়াখালী সদর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর আহমেদ বলেন, এই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হবে। এ বিষয়ে জানতে এলজিইডি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইকরামুল হক এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নোয়াখালীর সড়কের বেহাল দশা প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা

আপলোড সময় : ০৭:২৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী ও বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী যাওয়ার আসার প্রধান সড়ক পুরাতন হাসপাতাল রোড়। সড়কটি মেরামতের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। রাস্তাটিতে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দে চলাচলের অযোগ্য হয়ে আছে। ফলে এ পথে চলাচল করতে ছাত্র-ছাত্রী, চালক, যাত্রী, রোগী ও পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

নোয়াখালী জেলা শহরের সাথে কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ , দাগনভুঞা ও ফেনী জেলার মানুষের সহজে এবং কম সময়ে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। এমনকি সদর উপজেলার সাথে কবিরহাট উপজেলার যাতায়াতের অন্যতম সংযোগ সড়ক।

বুধবার (৩০ আগস্ট ) সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার অংশের অবস্থা খারাপ হওয়া সত্বেও প্রতিনিয়ত এ্যাম্বুলেন্স, মালবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা, মটরসাইকেল, ভ্যান, অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস যোগে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছেন এই সড়ক দিয়ে। এরই মধ্যে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন অংশে পানি জমে গেছে। পানির নিচের খানাখন্দ দেখতে না পাওয়ায় গাড়ি চলাচলে ঘটছে দুর্ঘটনা। নস্ট হচ্ছে গাড়ী ও গাড়ীর যন্ত্রাংশ। জরুরী রোগী হাসপাতালে নিতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। কালা মিয়ার পোল থেকে আদর্শ স্কুলের মোড় পর্যন্ত সড়কের অবস্থা বেশী খারাপ।

নেয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাহাদুর বলেন, এ সড়ক গত কয়েক বছর যাবত মেরামত না হওয়ায় সড়কের এই বেহাল অবস্থা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নোয়াখালী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী মহিলা কলেজ সহ প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী এ ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে অনেক কস্ট করে যাতায়াত করছে।

বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহিন বলেন, জেলা শহরের হাসপাতালে যেতে রোগীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতে করছেন। জনদূর্ভোগ দুর করতে রাস্তাটি অতিদ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

এলজিইডি নোয়াখালী সদর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর আহমেদ বলেন, এই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হবে। এ বিষয়ে জানতে এলজিইডি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইকরামুল হক এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন