ইউনূসের বিপক্ষে লড়বেন না খুরশীদ আলম নতুন আইনজীবী নিয়োগ
- আপলোড সময় : ১২:২২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১০৬৫ বার পড়া হয়েছে
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে আইনি লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন দুদকের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলীকে নতুন করে আইনজীবী নিয়োগ করায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে ড. ইউনূসের মামলা পরিচালনা করে আসা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় আমি আইনজীবী হিসেবে কাজ করছি। শুনেছি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে আর একজন আইনজীবী নেওয়া হয়েছে। তবে আমি তা জানি না। যদি অন্য কাউকে নেওয়া হয়, তবে আমি থাকবো না। কারণ এই মামলা পরিচালনায় আমার একটা প্রস্তুতি আছে, আমার মতো করে। সেখানে আর একজন আইনজীবী যদি নেওয়া হয়, তাহলে তার ভিন্ন প্রস্তুতি ও ভিন্ন মত উপস্থাপন হতে পারে। তাই অন্য কেউ যুক্ত হলে আমি থাকবো না।’
এদিকে আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনি (অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান) এই মামলায় যাবেন (শুনানি করবেন) বলেই আশা করি। এর আগে আমরা একসঙ্গে মামলা করেছি। আর একটা মামলায় তো একাধিক আইনজীবী থাকতেই পারেন। আর এক্ষেত্রে উনার একার জায়গায় আরেকজন আইনজীবী হলে শক্তিটা বাড়বে বলেই আমি মনে করি।’
প্রসঙ্গত, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলাটি শ্রম আদালতে বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
এর আগে গত ২০ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিলে রুল খারিজের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এর ফলে শ্রম আদালতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই।
গত ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। অন্য তিনজন হলেন— এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।