পল্টিবাজী সোহাগ রনি, সরগরম সোনারগাঁ আ’লীগের রাজনীতি
- আপলোড সময় : ০৫:৩১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৬৪৯ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে হঠাৎ নেতা পরিবর্তন করে- কায়সার হাসনাতের পক্ষে জোরালো সমর্থনের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামলেন সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি। যা রীতিমত আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
কারণ অতি সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে মোগড়াপারা ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকা হেরে যাওয়ার দায় চাপিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও তার সমর্থকদের উপর। শুধু কি তাই? না, এর লিখিত অভিযোগও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরে দিয়েছেন বলেন, নৌকার নিয়ে পরাজিত হওয়া চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি।
ওই ভিডিওতে তিনি আরো বলেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নৌকা প্রতীক নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় মারাত্মক ভাবে আহত সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের অত্যন্ত পরিছন্ন নেতা এ এইচ এম মাসুদ দুলালের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার ঘোষণা করেন।
সোহাগ রনির এই রাজনৈতিক পল্টিবাজি দেখে মনে হতে পারে আব্দুল আল কায়সার হাসনাত হয়তো নৌকার মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন।
সূত্র বলছে, বিপুল অংকের আর্থিক সুবিধা ও নিজের পক্ষে আনার শর্তে সোহাগ রনিকে দলের উপজেলা কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দিয়েছেন কায়সার হাসনাত। তাই সোহাগ রনি মাসুদ দুলালকে ছেড়ে এখন কায়সারের সাথে যোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন,সে রাজনৈতিক পলটিবাজ। সুবিধা যেখানে সে সেখানেই পল্টি মেরে যাবে। তাদের রাজনৈতিক নীতি-আদর্শ নাই। যেখানে গেলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে পারবে, সুবিধা করতে পারবে তারা সেখানেই যাবে। আর তাদেরে যারা আশ্রয় দেয় তারা হলো রাজনীতি ব্যবসায়ী। যাকে নিলে ব্যবসা ভালো হবে তাকেই নিবে।
এ বিষয়ে সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত বলেন, আগে সে ভুল করছে, এখন সে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সে যায়গায় থেকে সোহাগ রনি কমিটির পক্ষেই থাকবে। তাতে আপনার সমস্যা কি? এক প্রশ্নর জবাবে আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত রেগেজান।
নাম নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মনোনয়ন প্রত্যাশী এক নেতা বলেন, কায়সার হাসনাত এবারও দলীয় প্রতিক মনোনয়ন বঞ্চিতদের তালিকায় আছে। আর তা কায়সার হাসনাতের বিরুদ্ধে নৌকা ঢুভানোর লিখিত অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরে দিয়েছেন সোহাগ রনি দিয়েছেন বলেই। এ বিষয়টি কায়সার বুঝে ওঠার আগেই শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের পক্ষ নিয়েছেন।
এই নেতা আরো বলেন, কায়সার হাসনাত রাজনীতি বোঝেনা, ১৬ই সেপ্টেম্বর জনসভা ডাকছে শামীম ওসমান। এটাতো আওয়ামী লীগের কোন জনসভা নয়। কেন সোনারগাঁয়ের লোকেরা যাবে? এটা প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নয়, এটা শামীম ওসমানের ব্যক্তিগত সভা। সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ কেন যাবে? এটা আওয়ামী লীগের জনসভা হলে, জেলা আওয়ামী লীগের সাথে প্রস্তুতি সভা কেন করল না? রুপগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাথে কেন প্রস্তুতি সভা করল না? আড়াইহাজার আওয়ামী লীগের সাথে কেন প্রস্তুতি সভা করলো না? মাসুম চেয়ারম্যান ও সোহাগ রনির ফাঁদে পাঁ দিয়েছে কায়সার হাসনাত। কায়সার হাসনাত বুঝতেই পারছে না, এই চক্রটি চায়না সোনারগাঁয়ে নৌকার মনোনয়ন আসুক।