কাশিমপুরে তালাবদ্ধ ঘরে গার্মেন্টস কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনা কুলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ
- আপলোড সময় : ১০:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৮৩৯ বার পড়া হয়েছে
গাজীপুর মহানগরীর অন্তর্গত কাশিমপুর থানার দক্ষিন পানিশাইলের পদ্মা হাউজিং এলাকার জসিমের বাড়ির ৪ র্থ তলার (৪০২) নং রুমের ভাড়াটিয়া গার্মেন্টস কর্মী সোহেল রানার(২৩) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারে দুই মাসের অধিক সময় পার হলেও বিষয়টি কূলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ। নিহত সোহেল রানার পিতা যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বহিলাপোতা উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আরশাদ আলী এই ঘটনাটি হত্যাকান্ড বলে দাবি করেছেন।
গত ২২ জুলাই ঐ বাড়ির ঘরের বাইরে দরজায় তালাবদ্ধ অবস্থায় ভেতরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাশিমপুর থানার এসআই তানভীর তুষার বাদীর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বলেও জানান আরশাদ আলী।
আরশাদ আলী বলেন, মামলায় এজাহারে দেওয়া আমার মোবাইল নাম্বারটি বাদ দেওয়া হয়েছে, আমি থানায় গিয়ে মামলার খোঁজখবর নিতে গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর তুষার আমার সাথে রূঢ় আচরণ করেন, এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদেও গরিমসি করেন।
উক্ত বিষয়ে মৃত সোহেল রানার পিতা আরো বলেন, আমার ছেলে মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে তার স্ত্রীর চাচাতো ভাই মামুন মোবাইল ফোনে তাকে হত্যার হুমকি দেয়, এছাড়াও ফারজানা নামে এক গার্মেন্টসের কর্মী আমার ছেলের মৃত্যুর এক দিন আগে মোবাইলে আমাকে শাসায়। আমি ধারনা করছি
আমার পুত্র সোহেল রানাকে হত্যা করে তার মরদেহ ঘরের সিলিংফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
কাশিমপুর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রুমের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ টি উদ্ধার করেছেন
মৃত সোহেল রানার স্ত্রী বৈশাখী বলেন, ঘটনার আগে ঐ তারিখে রাত্র ১ টা ত্রিশ মিনিটেও তার সাথে ভিডিও কলে কথা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় নিহত গার্মেন্টস কর্মী সোহেল রানার সাথে তার স্ত্রী বৈশাখী বেগমের দাম্পত্য কলহ ছিল, তার বিরুদ্ধে যশোরে বিজ্ঞ আদালতে নারী নির্যাতনের মামলাও করেন স্ত্রী বৈশাখী বেগম, স্ত্রীর সাথে দাম্পত্য কলহের কারণে গার্মেন্টসের সহকর্মী ফারজানা নামক এক নারীর সাথে সম্পর্কে জড়ায় নিহত সোহেল রানা।
এ বিষয়ে কাশিপুর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন দৈনিক সকালের সময় কে বলেন,
গার্মেন্টস কর্মী সোহেল রানার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ঘটনায় কাশিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে, মামলা নং-১৪,হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করা গেছে, দন্তের স্বার্থে তা এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই ঘটনায় সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের একটি নামের তালিকা দেন নিহত সোহেল রানার পিতা আরশাদ আলী।
তারা হলেন১।মামুন (৪০) পিতা- সিদ্দিক ২।
বৈশাখী(১৯) পিতা-আহমেদ আলী ৩। আহমেদ আলী(৫০) পিতা-মৃত করিম বক্স ৪। আব্দুল মালেক(২১) পিতা-শামছুল হক ৫।রাসেল(৪৫) পিতা-কালা মিয়া ৬। হাফিজুল(২৯) পিতা-জাহাঙ্গীর ৭।অজিয়র মেম্বার(৫৫) পিতা- আঃ রহমান ৮। ফারজানা সহ আরো ৪/৫ জন।