বন্দরের নবীগঞ্জ গার্লস স্কুলে শিক্ষার্থীদের নির্বাচনি পরীক্ষা আটকে দেয়ার অভিযোগ
- আপলোড সময় : ০৬:২৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
- / ৬২২ বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে নবীগঞ্জ গার্লস স্কুলে বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা আটকে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে ওই ঘটনা ঘটে। পরীক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দেওয়ায় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
একাধিক অভিবাবক জানান, নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রীদের এসএসসি পরীক্ষার প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ চলতি অক্টোবর, আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতন এবং কোচিংয়ের জন্য অগ্রীম ৩ হাজার টাকা দাবি করে। যারা এ টাকা পরিশোধ করতে পারেনি সে সকল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল থেকে অপমান করে হাত থেকে পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্নপত্র রেখে হল থেকে বাইরে বের করে দেয়। খবর পেয়ে অভিভাবকরা এসে স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়েদের বিনামূলে শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বললে ও প্রধান শিক্ষক প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করে থাকেন। স্কুলে কোচিং করানো নিষিদ্ধ থাকলে ও তারা কোচিংয়ের নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাদের চাহিদা মত টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে পরীক্ষার হল থেকে অপমান করে বের করে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইউনুছ ফারুকী জানান, আমরা খবর পেয়েছি, ওই প্রধান শিক্ষককে কল দিয়েছিলাম, ওনি আমাদের কল ধরেনি। আমরা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলেছি, ওই স্কুলে গিয়ে এই ঘটনার বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য। তবে আমি যতটুকু শুনেছি, টিউশন ফি আদায়ের পলিসি হিসেবে তাঁরা এই কাজটা করেছে, যদিও তারা এটা করতে পারে না। এই পরীক্ষার সাথে টিউশন ফি বা অন্যান্য ফি’র শর্ত জুড়ে দেয়া সম্পূর্ণ বেআইনী। আমরা সত্যতা জানার চেষ্টা করছি, তারপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হবে।
নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে প্রধান শিক্ষক সায়মা খানম বলেন, গত বৃহস্পতিবার টাকা পরিশোধের জন্য নোটিশ দিয়েছে। কারণ বকেয়া পরিশোধ না করলে তো শিক্ষকদের বেতন দেয়া সম্ভব না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা টাকা নিয়ে আসে নাই। তাই শিক্ষকরা রাগ করে তাদের পরীক্ষা দিতে দেয়নি। পরে অনেক অভিবাবকরা আমার কাছে এসে অভিযোগ করেন পরে তাদের বলি আপনারা টাকা না দিলে স্যারদের বেতন দিব কিভাবে। এরপর আমি স্যারদের বুঝিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করি। তিনি আরও বলেন, আমাদের স্কুলে ১১শ’ শিক্ষার্থীল মধ্যে ৮শ বাচ্চা হাফ ফ্রী-ফুল ফ্রী। এর মধ্যে ফুল ফ্রী আছে ২০০জন। কমপক্ষে ৩শ’ থেকে ৪শ’ বাচ্চা বেতন দেয়। তাই অভিবাবকদের বললাম, আপনার যদি টাকা না দেন তাহলে কিভাবে চলবে।
এ ব্যপারে স্কুলের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমি প্রধান শিক্ষকে এ কান্ড করায় চাপ প্রয়োগ করেছি সে অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের ব্যবস্থা করেছি।