ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌদি আরবের আল জউফের গভর্নরের সাথে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০২:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশি অভিবাসীদের কর্মদক্ষতা ও সততার প্রশংসা করেছেন সৌদি আরবের আল জউফ প্রদেশের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন নাওয়াফ বিন আবদুল আজিজ আল সউদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে সৌদি আরব অত্যন্ত মূল্যায়ন করে এবং জউফ প্রদেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের তিনি তাঁর ভাই উল্লেখ করে তাদের সাহায্য সহযোগিতা করা তিনি তাঁর দায়িত্ব বলে মনে করেন।  

এছাড়া সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সরকার ও জনগনের মধ্যে খুবই হৃদ্যতাপূর্ন সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) আজ আল জউফের গভর্নর এর সাথে বৈঠককালে গভর্নর এসব কথা বলেন। গভর্নর দুদেশের সম্পর্ক ব্যবসা বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আগামী দিনে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। 

এ সময় রাষ্ট্রদূত গভর্নরকে জানান আল জউফ প্রদেশের বিভিন্ন শহরে অনেক বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছে। গভর্নর জানান, এ প্রদেশে প্রচুর পরিমাণ  জলপাই উৎপাদন ছাড়াও বিভিন্ন শস্য উৎপাদিত হয়ে থাকে। তিনি সৌদি আরবের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন। জউফ প্রদেশে কৃষি খামারে অনেক বাংলাদেশী কৃষি পন্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখছে বলে তাঁদের প্রশংসা করেন গভর্নর। 

গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন নাওয়াফ বলেন, জওফ প্রদেশে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। এছাড়া সৌদি সরকারের ক্লিন এনার্জি উৎপাদন লক্ষ্যের অংশ হিসেবে প্রায় ১০০০ উইন্ড টারবাইন দিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন করে তা ৪৭০০০ বাড়িতে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরবের আকওয়া পাওয়ার বাংলাদেশে সোলার এনার্জি নিয়ে কাজ করছে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন স্থানের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে পর্যটন বৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া দুদেশের  মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়ের কথা ও উল্লেখ করেন। 

রাষ্ট্রদূত এসময় গভর্নরকে জানান যে আল জউফ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষাগ্রহন করছেন। এই সংবাদে  গভর্নর অত্যন্ত উচ্ছাস প্রকাশ করেন এবং তিনি আশা করেন আগামী দিনে আল জউফ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে আসবে। 

এছাড়া আজ দুপুরে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী আল জউফের চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি ড. হামদান বিন আবদুল্লাহ আল সামরিন এর সাথে বৈঠক করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের গার্মেন্টস পন্য, ঔষধ, চামড়াজাত পন্য, সিরামিক ও কৃষি পন্যের সৌদি আরবে চাহিদা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। 

চেম্বার সভাপতি বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের আল জউফ প্রদেশে ফার্মিং ও ফুড প্রসেসিং খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান। তিনি বলেন, জর্দানের অনেক ব্যবসায়ীরা আল জউফে ফুড প্রসেসিং ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন, চাইলে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের এ খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রদূত সৌদি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান। 

পরে রাষ্ট্রদূত একটি জলপাই তেল উৎপাদন ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখেন। এছাড়াও তিনি আল জউফের ঐতিহাসিক স্থান দুমাতুল জান্দাল পরিদর্শন করেন। এ সময় দূতাবাসের কাউন্সেলর মোঃ হুমায়ূন কবীর উপস্থিত ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সৌদি আরবের আল জউফের গভর্নরের সাথে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

আপলোড সময় : ০২:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশি অভিবাসীদের কর্মদক্ষতা ও সততার প্রশংসা করেছেন সৌদি আরবের আল জউফ প্রদেশের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন নাওয়াফ বিন আবদুল আজিজ আল সউদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে সৌদি আরব অত্যন্ত মূল্যায়ন করে এবং জউফ প্রদেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের তিনি তাঁর ভাই উল্লেখ করে তাদের সাহায্য সহযোগিতা করা তিনি তাঁর দায়িত্ব বলে মনে করেন।  

এছাড়া সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সরকার ও জনগনের মধ্যে খুবই হৃদ্যতাপূর্ন সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) আজ আল জউফের গভর্নর এর সাথে বৈঠককালে গভর্নর এসব কথা বলেন। গভর্নর দুদেশের সম্পর্ক ব্যবসা বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আগামী দিনে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। 

এ সময় রাষ্ট্রদূত গভর্নরকে জানান আল জউফ প্রদেশের বিভিন্ন শহরে অনেক বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছে। গভর্নর জানান, এ প্রদেশে প্রচুর পরিমাণ  জলপাই উৎপাদন ছাড়াও বিভিন্ন শস্য উৎপাদিত হয়ে থাকে। তিনি সৌদি আরবের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন। জউফ প্রদেশে কৃষি খামারে অনেক বাংলাদেশী কৃষি পন্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখছে বলে তাঁদের প্রশংসা করেন গভর্নর। 

গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন নাওয়াফ বলেন, জওফ প্রদেশে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। এছাড়া সৌদি সরকারের ক্লিন এনার্জি উৎপাদন লক্ষ্যের অংশ হিসেবে প্রায় ১০০০ উইন্ড টারবাইন দিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন করে তা ৪৭০০০ বাড়িতে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরবের আকওয়া পাওয়ার বাংলাদেশে সোলার এনার্জি নিয়ে কাজ করছে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন স্থানের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে পর্যটন বৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া দুদেশের  মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়ের কথা ও উল্লেখ করেন। 

রাষ্ট্রদূত এসময় গভর্নরকে জানান যে আল জউফ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষাগ্রহন করছেন। এই সংবাদে  গভর্নর অত্যন্ত উচ্ছাস প্রকাশ করেন এবং তিনি আশা করেন আগামী দিনে আল জউফ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে আসবে। 

এছাড়া আজ দুপুরে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী আল জউফের চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি ড. হামদান বিন আবদুল্লাহ আল সামরিন এর সাথে বৈঠক করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের গার্মেন্টস পন্য, ঔষধ, চামড়াজাত পন্য, সিরামিক ও কৃষি পন্যের সৌদি আরবে চাহিদা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। 

চেম্বার সভাপতি বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের আল জউফ প্রদেশে ফার্মিং ও ফুড প্রসেসিং খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান। তিনি বলেন, জর্দানের অনেক ব্যবসায়ীরা আল জউফে ফুড প্রসেসিং ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন, চাইলে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের এ খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রদূত সৌদি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান। 

পরে রাষ্ট্রদূত একটি জলপাই তেল উৎপাদন ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখেন। এছাড়াও তিনি আল জউফের ঐতিহাসিক স্থান দুমাতুল জান্দাল পরিদর্শন করেন। এ সময় দূতাবাসের কাউন্সেলর মোঃ হুমায়ূন কবীর উপস্থিত ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন