‘রাজধানীতে ৯ দিনে বিএনপির ১৫৫৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার’
- আপলোড সময় : ০৭:৫৬:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩
- / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি বলেছেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত মোট নয় দিনে বিএনপির ১ হাজার ৫৫৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া গত নয়দিনে রাজধানীতে মোট মামলা হয়েছে ১০২টি।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি। কে এন রায় নিয়তি জানান, ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত রমনা বিভাগে মামলা হয়েছে ১১টি, লালবাগে ৫টি, মতিঝিলে ৩৩টি, ওয়ারীতে ১৫টি, তেজগাঁওয়ে ৫টি, মিরপুরে ১৮টি, গুলশানে ১১টি এবং উত্তরা বিভাগে মামলা হয়েছে ৪টি।
তিনি বিস্তারিত তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, ২৮ অক্টোবর এক দিনে গ্রেপ্তার হয়েছিল ৬৯৬ জন, ২৯ অক্টোবর ২৫৬ জন, ৩০ অক্টোবর ১৪১ জন, ১ নভেম্বর ৯৬ জন, ২ নভেম্বর ৬০ জন, ৩ নভেম্বর ৫৮ জন, ৪ নভেম্বর ৩৭ জন এবং সর্বশেষ গতকাল ৫ নভেম্বর ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি। মোট নয়দিনে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১৫৫৪ জন।
এদিকে সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করায় উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ উদ্বেগে সাড়া দিয়ে তা সমর্থন করেছে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল লেখেন, বাংলাদেশে ৮ হাজারের বেশি বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানাচ্ছি। প্রতিটি মামলায় অবশ্যই ন্যায়বিচার হতে হবে। আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করি।
তিনি আরও লেখেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ উপায় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার জন্য সহায়ক হবে।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষটি বিস্তৃত হয়ে বিএনপির সমাবেশের কাছে চলে আসে এবং একপর্যায়ে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় এবং পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
ভয়াবহ এই সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য ও একজন রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৪১ জন পুলিশ সদস্য ও ২৮ জন সাংবাদিকসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। পুলিশের হিসাবে, ৫৫টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি পুলিশ বক্স পোড়ানোর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও হামলা চালানো হয়।