জমে উঠেছে তিতাস গ্যাসের সিবিএ নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা
- আপলোড সময় : ০৯:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
- / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
আগামী ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিতাস গ্যাস টিএন্ডডি কোম্পানী লিমিটেড এর সিবিএ নির্বাচন-২০২৩ ।সিবিএ নির্বাচন উপলক্ষে সরগরম হয়ে উঠছে তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয় ও আঞ্চলিক অফিস সমূহ।
জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভূক্ত তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি: নং বি-১১৯৩ এর কাজিম-আয়েজ এর নেতৃত্বে হারিকেন প্রতীকের পোস্টার ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে ছেয়ে গেছে তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয় সহ সকল আঞ্চলিক কার্যালয়। ডেমরায় তিতাস গ্যাসের কেন্দ্রীয় ভান্ডারে ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার কাজিম-আয়েজ এর হারিকেন প্রতীকের পক্ষে গনসংযোগ করেছেন ডেমরা থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তিতাস গ্যাসের সিবিএ জোবিঅ-সোনারগাও আঞ্চলিক অফিসের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম।
ঢাকা কাওরান বাজারে অবস্থিত তিতাস গ্যাস টিএন্ডডি কোম্পানী লিমিটেড এর প্রধান কার্যালয় (তিতাস ভবন)-এ এক নির্বাচনী সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সংগঠনের নেতা কর্মীদের ঢল নামে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অন্তর্ভূক্ত তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি: নং ১৯৪০ এবার সিবিএ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে। মতিন -জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বাধীন প্যানেল ছাতা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
তবে প্রচার-প্রচারণার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভূক্ত তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি: নং বি-১১৯৩ এর কাজিম-আয়েজ এর নেতৃত্বাধীন প্যানেল।
তিতাস গ্যাসের সিবিএ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
ভোটাররা বলেন, শ্রমিকদের দাবি আদায়ে ও দরকষাকষিতে কাজিম আয়াজ নেতৃত্বের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে তাই আগামী ১৬ নভেম্বর নির্বাচনের দিন হারিকেন মার্কায় ভোট দিয়ে কাজিম-আয়েজ প্যানেল কে জয়যুক্ত করতে হবে।
বর্তমান সভাপতি আলহাজ কাজিম উদ্দিন প্রধান বলেন, মহামান্য আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ৪ থেকে ৫ বছর লেগেছিল আমার এই সিবিএ নির্বাচন আনার জন্য। এরপর ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভূক্ত তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি: নং বি-১১৯৩ কে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছিল। সেই নির্বাচনে থাকা আরও তিনটি রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত সংগঠন ১০ পার্সেন্ট ভোটও পায়নি বলে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যায়। যার ফলে এরপর আর সিবিএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। দীর্ঘদিন প্রায় ৮ বছর সেই রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত একটি সংগঠন (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অন্তর্ভূক্ত তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি: নং ১৯৪০) আদালতের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন পুনরায় ফিরে পায়। তাই হঠাৎ করেই এই নির্বাচনের ঘোষণা আসে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় থেকে। আমাদের আদালতে মোকাবিলা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা করিনি। আমরাও চাই তারা নির্বাচনে আসুক। আমরা আবারও তাদের সাথে নির্বাচন করে জয়ী হতে চাই।
কাজিম-আয়েজ পরিষদের কয়েক নেতা বলেন, এই সংগঠনটি ১৯৬৯ সালে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে তিতাসের কর্মচারীদের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য তৈরি হয়েছিল। অদ্যাবধি তাই শ্রমিকদের কল্যাণের জন্যই কাজ করে যাচ্ছে। এখানে দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্যই আমরা কল্যাণমূলক কাজ করে গেছি। তাই এর মধ্যে বিভিন্ন সময় গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি কমিটিই রেজিস্ট্রিশেন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু পরে তারা আবার হারিয়েও গেছে। তাই এখন আবারও নতুন করে একটি কমিটি রেজিস্ট্রেশন করেছে নির্বাচন করার জন্য। আমরাও তাতে বাধা দেইনি। আমরা গণতন্ত্রকে সম্মান জানাই। তাই আমরাও চাই নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও আমাদের সংগঠনের সিবিএ-কে বিজয়ী করতে। এজন্য তারা জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভূক্ত তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি: নং বি-১১৯৩ কে হারিকেন মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহবান জানান।