ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সখীপুরে পেট্রোল গোডাউনে ভয়াবহ আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ০৬:২০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বাসাবাড়িতে স্থাপন করা পেট্রোল-ডিজেলের গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কচুয়া বাজারের শওকত হোসেনের তেলের গোডাউনে ভয়াবহ এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

তিনি যমুনা অয়েল কোম্পানির পরিবেশক। আগুনের তীব্রতায় গোডাউনের পাশে ঢাকা-সাগরদীঘি সড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যবসায়ী শওকত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার কচুয়া বাজারের একটি দোকানে পেট্রোল-কেরোসিন, মবিল, ব্যাটারি ও ডিজেলের ব্যবসা করে আসছেন। ওই বাজারেই তার বাসাবাড়িতে তেল বহনের দুটি লরি ট্রাক ও ড্রামে করে তেল মজুত করে রাখেন। আজ সকালে হঠাৎ ওই বাড়িতে আগুন লেগে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন দৌড়ে বাইরে চলে আসে। আগুন লেগে তেলের ২০-২৫টি ড্রাম বিস্ফোরিত হয়। এ সময় পুরো বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পাশের একটি বাড়ির আংশিক পুড়ে যায়। পরে সখীপুর, বাসাইল, টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী হায়দার আল মামুন জানান, দুটি লরি ট্রাক ও তেল ভর্তি দেড় শতাধিক ড্রামসহ মবিল, ব্যাটারি পুড়ে গেছে। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অন্তত দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত সিকদার বলেন, মবিল পেট্রোলসহ দাহ্য পদার্থ যথাযথ আইন ও নিয়ম মেনে মজুত করলে এমন দুর্ঘটনা দেখতে হতো না। এ বিষয়ে তিনি আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।
সখীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার বোরহান উদ্দিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি, এগুলো তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, তেল ও মবিল ভর্তি শতাধিক ড্রাম ও চার হাজার লিটার তেল ভর্তি দুটি ট্রাক, দুটি মোটরসাইকেল এবং গোডাউন পুড়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট কিংবা শ্রমিকদের বিড়ি-সিগারেটের ফেলে দেওয়া আগুন থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সখীপুরে পেট্রোল গোডাউনে ভয়াবহ আগুন

আপলোড সময় : ০৬:২০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বাসাবাড়িতে স্থাপন করা পেট্রোল-ডিজেলের গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কচুয়া বাজারের শওকত হোসেনের তেলের গোডাউনে ভয়াবহ এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

তিনি যমুনা অয়েল কোম্পানির পরিবেশক। আগুনের তীব্রতায় গোডাউনের পাশে ঢাকা-সাগরদীঘি সড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যবসায়ী শওকত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার কচুয়া বাজারের একটি দোকানে পেট্রোল-কেরোসিন, মবিল, ব্যাটারি ও ডিজেলের ব্যবসা করে আসছেন। ওই বাজারেই তার বাসাবাড়িতে তেল বহনের দুটি লরি ট্রাক ও ড্রামে করে তেল মজুত করে রাখেন। আজ সকালে হঠাৎ ওই বাড়িতে আগুন লেগে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন দৌড়ে বাইরে চলে আসে। আগুন লেগে তেলের ২০-২৫টি ড্রাম বিস্ফোরিত হয়। এ সময় পুরো বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পাশের একটি বাড়ির আংশিক পুড়ে যায়। পরে সখীপুর, বাসাইল, টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী হায়দার আল মামুন জানান, দুটি লরি ট্রাক ও তেল ভর্তি দেড় শতাধিক ড্রামসহ মবিল, ব্যাটারি পুড়ে গেছে। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অন্তত দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত সিকদার বলেন, মবিল পেট্রোলসহ দাহ্য পদার্থ যথাযথ আইন ও নিয়ম মেনে মজুত করলে এমন দুর্ঘটনা দেখতে হতো না। এ বিষয়ে তিনি আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।
সখীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার বোরহান উদ্দিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি, এগুলো তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, তেল ও মবিল ভর্তি শতাধিক ড্রাম ও চার হাজার লিটার তেল ভর্তি দুটি ট্রাক, দুটি মোটরসাইকেল এবং গোডাউন পুড়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট কিংবা শ্রমিকদের বিড়ি-সিগারেটের ফেলে দেওয়া আগুন থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন