ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে স্ত্রী, মেয়ে ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
  • আপলোড সময় : ১২:১৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামে ঘরে ঢুকে সাবেক স্ত্রী, কন্যা ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা মামলার প্রধান অভিযুক্ত আমির হোসনে (৫০)কে গ্রেফতার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী ) সকালে গ্রেফতারকৃত আসামি আমির হোসনকে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারী বিকেলে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. ওমর ফারুক মিয়া ও এএসআই মো. আশরাফুল ইসলাম দিপুর নেতৃত্বে পুলিশ চট্টগ্রামের শহরের চাক্তাই এলাকার হোটেল আল-সিরাজের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এসময় আসামির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই হোটেলের দ্বিতীয় তলায় রাখা অসামির ব্যবহৃত ব্যাগ তল্লাশি করে কাপড় মোড়ানো হামলায় ব্যবহৃত ধারালো দা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে ওই মামলার ২নং আসামি ভিকটিমের ভাসুর বেলালকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে সেনবাগ থানা পুলিশ।

গ্রেফতার আমির হোসেন (৫০) ও বেলাল (৫৫) পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের এতিম আলী জমাদার বাড়ির সফি উল্লাহ ছেলে।

ওই হামলার ঘটনাটি ঘটে ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে সোনাইমুড়ীর উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের আমির হোসেনর সাথে সেনবাগের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয়। সংসারে কলহ দেখা দিলে তিন বছর আগে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর ফাতেমা দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশে ইদিলপুর গ্রামে নতুন বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন।

১৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে আমির হোসেন তার সহযোগীকে নিয়ে সাবেক স্ত্রী ফাতেমার মুরগির ঘর ও বসতঘরের টিন কুপিয়ে তছনছ করে। এ সময় টিনের শব্দ শুনে ফাতেমা ও তার মেয়ে দরজা খোলা মাত্রই আমির হোসেন ধারালো দা ও ছোরা নিয়ে ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সাবেক স্ত্রী ফাতেমা, তার মেয়ে রাবেয়া এবং শাশুড়ি মাফিয়া বেগমকে হত্যার চেষ্টা চালায়।

এসময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুমূর্ষু অবস্থায় মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে ফাতেমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হামলা, ভাংচুর ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ১৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাতে ফাতেমা বেগমের ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আমির হোসেনকে ১ নম্বর ও তার বড় ভাই বেলালকে ২ নম্বর আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

আহতরা হলেন, অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামের ছমদ আলী হাজ্বী বাড়ির লোকমান হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া বেগম (৬০), তার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৩৮) ও নাতনী রাবেয়া আক্তার (১৮)।

এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিপিএম, পিপিএম সকালে নিজ কার্যালয়ে প্রেস বিফিংয়ে মাধ্যমে ভিকটিমকে গ্রেফতার ও আদালতে প্রেরণের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নোয়াখালীতে স্ত্রী, মেয়ে ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

আপলোড সময় : ১২:১৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামে ঘরে ঢুকে সাবেক স্ত্রী, কন্যা ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা মামলার প্রধান অভিযুক্ত আমির হোসনে (৫০)কে গ্রেফতার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী ) সকালে গ্রেফতারকৃত আসামি আমির হোসনকে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারী বিকেলে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. ওমর ফারুক মিয়া ও এএসআই মো. আশরাফুল ইসলাম দিপুর নেতৃত্বে পুলিশ চট্টগ্রামের শহরের চাক্তাই এলাকার হোটেল আল-সিরাজের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এসময় আসামির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই হোটেলের দ্বিতীয় তলায় রাখা অসামির ব্যবহৃত ব্যাগ তল্লাশি করে কাপড় মোড়ানো হামলায় ব্যবহৃত ধারালো দা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে ওই মামলার ২নং আসামি ভিকটিমের ভাসুর বেলালকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে সেনবাগ থানা পুলিশ।

গ্রেফতার আমির হোসেন (৫০) ও বেলাল (৫৫) পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের এতিম আলী জমাদার বাড়ির সফি উল্লাহ ছেলে।

ওই হামলার ঘটনাটি ঘটে ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে সোনাইমুড়ীর উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের আমির হোসেনর সাথে সেনবাগের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয়। সংসারে কলহ দেখা দিলে তিন বছর আগে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর ফাতেমা দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশে ইদিলপুর গ্রামে নতুন বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন।

১৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে আমির হোসেন তার সহযোগীকে নিয়ে সাবেক স্ত্রী ফাতেমার মুরগির ঘর ও বসতঘরের টিন কুপিয়ে তছনছ করে। এ সময় টিনের শব্দ শুনে ফাতেমা ও তার মেয়ে দরজা খোলা মাত্রই আমির হোসেন ধারালো দা ও ছোরা নিয়ে ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সাবেক স্ত্রী ফাতেমা, তার মেয়ে রাবেয়া এবং শাশুড়ি মাফিয়া বেগমকে হত্যার চেষ্টা চালায়।

এসময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুমূর্ষু অবস্থায় মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে ফাতেমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হামলা, ভাংচুর ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ১৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাতে ফাতেমা বেগমের ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আমির হোসেনকে ১ নম্বর ও তার বড় ভাই বেলালকে ২ নম্বর আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

আহতরা হলেন, অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামের ছমদ আলী হাজ্বী বাড়ির লোকমান হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া বেগম (৬০), তার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৩৮) ও নাতনী রাবেয়া আক্তার (১৮)।

এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিপিএম, পিপিএম সকালে নিজ কার্যালয়ে প্রেস বিফিংয়ে মাধ্যমে ভিকটিমকে গ্রেফতার ও আদালতে প্রেরণের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন