সোনারগাঁয়ে উপ নির্বাচনে পুলিশের গুলিতে নিহত ১ আহত ১০
- আপলোড সময় : ১১:৩৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
- / ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনের ফলাফল সন্তুষ্ট না হয়ে রাজু বাহিনীর তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। ভ্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাজে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ গুলি ছুড়লে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয় এর মধ্যে ঘটনাস্থলে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় আরো দশ জন আহত হয় এর মধ্যে অন্য একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে ৬৯নং দুধ ঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ ১০ রাউন্ড টিআরসেল ও গুলিবর্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পূর্ব মুহূর্তে রাজু পরাজয়ের সংবাদ শুনে তার সন্ত্রাস বাহিনীদের আক্রমণের হুকুম করে। তারা ব্যালট বক্স ছিনতাইকালে পুলিশ বাধা দেয় । এতে রাজু সমর্থকরা পুলিশের উপর হামলা চালায়, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য টিআরসেল সহ গুলি বর্ষন করলে দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়।
এ সময় পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে মারা যায় পিরোজপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে এলাকার আমির ভূইয়ার ছেলে হৃদয় (২২)। নিহত যুবক উপনির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বি কায়সার আহম্মেদ রাজুর সমর্থক বলে জানা যায়। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন কামাল ভূইয়ার ছেলে ফারুক ভূইয়া (৪৫)।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা আরো জানান, সকাল থেকেই ভোট গ্রহন চলে শান্তিপ্রিয় ভাবে। শেষে আজিজ সরকার মোরগ প্রতীকে ৯২৯ ভোট ও তালা প্রতীকে কায়সার আহম্মেদ রাজু ৮১১ ভোট পান। এ সময় ফলাফল জানার পর ওই কেন্দ্রের প্রিজাইর্ডিং কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে পুনরায় ভোট গননার অনুরোধ করেন। পুনরায় ভোট গননা করে
রাজুর বিপক্ষে যায় । এতে রাজু অসন্তোষ হয়। রাজু প্রিজাইর্ডিং কর্মকর্তাকে তৃতীয় দফায় ভোট গননা করতে দাবি করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রাজুর সমর্থকরা ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও রাজু সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি বর্ষন করে। পুলিশের ভারি গুলিবর্ষণে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাওয়ার পথে মারা যায় অন্যজন আশঙ্কাজনক ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। এছাড়াও আরো ১০ জন আহত হয়।
এদিকে নিহতের স্বজনরা জানায়, এমন কোন পরিস্থিতি হয় নাই যে পুলিশের গুলি বর্ষণ করতে হবে তাদের বাঁশি ও লাঠি দিয়ে দৌড়ানি দিলেই হত এখানে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণের কোন প্রয়োজন ছিল না যার ফলে আমাদের হৃদয়ের মৃত্যুর কারণ হয়। এছাড়াও আরো অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। পুলিশ গুলিবর্ষণ না করলেও পারতো।