ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জবিতে ‘ফ্যাক্ট চেকিং ও ডিজিটাল হাইজিন’ র্শীষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

রাকিবুল হাসান রাকিব (ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)
রাকিবুল হাসান রাকিব (ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)
  • আপলোড সময় : ১০:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • / ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধ: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফ্যাক্ট চেকিং ও ডিজিটাল হাইজিন’ র্শীষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই), ইউএসএআইডি এবং ইন্টারনিউজ যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য ডিজিটাল হাইজিনের বিকল্প নেই উল্লেখ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক মাধ্যমে এখন সবকিছু সহজেই লেখা বা শেয়ার করা সম্ভব। এতে করে মিস ও ডিস ইনফরমেশন সহজেই ছড়াচ্ছে। করোনাকালীন সময়েও সামাজিক মাধ্যমে এই প্রবণতা ছিল। তাই সাংবাদিকদের উচিত তথ্য যাচাই-বাছাই করে ও প্রভাবমুক্ত হয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করা।

শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পত্রিকা পড়ার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, বর্তমান সময়েও বিশ্বে পত্রিকার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। আমি ছোটবেলা থেকেই সকালবেলা ৪-৫টি পত্রিকা পড়ে এরপর অন্যান্য কাজ শুরু করি। পত্রিকা পড়ার এই অভ্যাসটি আমি আমার বাবার কাছে শিখেছি। পত্রিকা পড়লে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেন। এর মধ্যেও তারা অর্জনে সমৃদ্ধ এবং সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি ইউজিসির সাথে আলোচনা করে পারিতোষিক বাবদ ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ আনতে সক্ষম হয়েছি এবার। শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়িয়েছি। আমার শিক্ষার্থীদের জন্য কতটুকু করতে পারছি সেটাই বড় কথা। কারণ তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় সম্পদ।

দুটি সেশনে সেমিনারটি পরিচালিত হয়। ‘ডিজিটাল হাইজিন’ শীর্ষক সেশনটি পরিচালনা করেন এমআরডিআই এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান এবং ‘ফ্যাক্ট চেকিং’ শীর্ষক সেশনটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরী।

‘ডিজিটাল হাইজিন’ শীর্ষক সেশনে এটি কি, কীভাবে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল মাধ্যমে নিজেদের নিরাপদ রাখবেন, সাইবার নিরাপত্তা কিভাবে বজায় রাখবে এবং এক্ষেত্রে কি কি করণীয় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া নিজেকে নিরাপদ রাখতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, ডেটা এনক্রিপ্ট করা, বিশ্বস্ত সূত্র থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা প্রভৃতি ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়।

‘ফ্যাক্ট চেকিং’ শীর্ষক সেশনে কীভাবে তথ্যবিভ্রাট হয়, গুজব কীভাবে ও কারা ছড়ায়, কীভাবে ফ্যাক্ট চেকিং ও ভেরিফিকেশন করতে হবে সে বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়। সেমিনারে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মিনহাজ উদ্দীনের সঞ্চালনায় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।##

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জবিতে ‘ফ্যাক্ট চেকিং ও ডিজিটাল হাইজিন’ র্শীষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপলোড সময় : ১০:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

জবি প্রতিনিধ: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফ্যাক্ট চেকিং ও ডিজিটাল হাইজিন’ র্শীষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই), ইউএসএআইডি এবং ইন্টারনিউজ যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য ডিজিটাল হাইজিনের বিকল্প নেই উল্লেখ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক মাধ্যমে এখন সবকিছু সহজেই লেখা বা শেয়ার করা সম্ভব। এতে করে মিস ও ডিস ইনফরমেশন সহজেই ছড়াচ্ছে। করোনাকালীন সময়েও সামাজিক মাধ্যমে এই প্রবণতা ছিল। তাই সাংবাদিকদের উচিত তথ্য যাচাই-বাছাই করে ও প্রভাবমুক্ত হয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করা।

শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পত্রিকা পড়ার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, বর্তমান সময়েও বিশ্বে পত্রিকার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। আমি ছোটবেলা থেকেই সকালবেলা ৪-৫টি পত্রিকা পড়ে এরপর অন্যান্য কাজ শুরু করি। পত্রিকা পড়ার এই অভ্যাসটি আমি আমার বাবার কাছে শিখেছি। পত্রিকা পড়লে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেন। এর মধ্যেও তারা অর্জনে সমৃদ্ধ এবং সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি ইউজিসির সাথে আলোচনা করে পারিতোষিক বাবদ ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ আনতে সক্ষম হয়েছি এবার। শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়িয়েছি। আমার শিক্ষার্থীদের জন্য কতটুকু করতে পারছি সেটাই বড় কথা। কারণ তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় সম্পদ।

দুটি সেশনে সেমিনারটি পরিচালিত হয়। ‘ডিজিটাল হাইজিন’ শীর্ষক সেশনটি পরিচালনা করেন এমআরডিআই এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান এবং ‘ফ্যাক্ট চেকিং’ শীর্ষক সেশনটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরী।

‘ডিজিটাল হাইজিন’ শীর্ষক সেশনে এটি কি, কীভাবে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল মাধ্যমে নিজেদের নিরাপদ রাখবেন, সাইবার নিরাপত্তা কিভাবে বজায় রাখবে এবং এক্ষেত্রে কি কি করণীয় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া নিজেকে নিরাপদ রাখতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, ডেটা এনক্রিপ্ট করা, বিশ্বস্ত সূত্র থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা প্রভৃতি ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়।

‘ফ্যাক্ট চেকিং’ শীর্ষক সেশনে কীভাবে তথ্যবিভ্রাট হয়, গুজব কীভাবে ও কারা ছড়ায়, কীভাবে ফ্যাক্ট চেকিং ও ভেরিফিকেশন করতে হবে সে বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়। সেমিনারে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মিনহাজ উদ্দীনের সঞ্চালনায় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।##

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন