ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বর্ণপদক পেলেন ড. লিপি মনোয়ার

তন্ময় (নিজস্ব প্রতিবেদক)
তন্ময় (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৬:০২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ লেখিকা সংঘের ৫০ বছর পূর্তীতে নাটক রচনা ও কথাসাহিত্যে কবি তাইবুন নাহার রশীদ স্বর্ণপদক পেলেন ড. লিপি মনোয়ার। গত ৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মিলনায়তনে লেখিকা সংঘের সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে আরো অতিথি ছিলেন, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমীমা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ভীস্মদেব চৌধুরী, কবি নাসির আহমেদ,কবি দিলারা হাফিজ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেখিকা সংঘের সভাপতি প্রফেসর অনামিকা হক লিলি। তাসনুভা মোহনার উপস্থাপনায় বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ড. নাশিদ কামাল ও গণমুখী গানের শিল্পী সায়ান।

বহুমুখী প্রতিভায় উদ্ভাসিত লিপি মনোয়ার লেখালেখির জগতে এক সুপরিচিত নাম। একাধারে যিনি লেখক, নাট্যকার, প্রযোজক ও সুসংগঠকও। গল্প , নাটক, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, শিশুহসাহিত্য, সঙ্গীত রচনা; সাহিত্যের প্রায় সবক’টি অঙ্গনে তার পথচলা। তার জন্ম ১লা অক্টোবর ১৯৬৫, দাদাবাড়ি গোপালগঞ্জে। মা আমেনা বেগম (সারাহ)। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম, মাহবুবুর রহমান খান উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত। বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা, গিটার, নাটক, আবৃত্তি, ফটোগ্রাফিতে ছিলেন পারদর্শী। ছোটবেলা থেকে খেলাঘর, রেডক্রিসেন্ট ও গালর্স গাইড এর সাথে ছিল তার সম্পৃক্ততা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সংবাদপাঠ করতেন। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এবং এস এ বি এম কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক হিসাবে প্রচুর শিক্ষার্থীকে শিক্ষাপ্রদান করেছেন। তাঁর পি এইচ ডি-র গবেষণার বিষয় ‘দ্য রোল অব সোস্যাল মিডিয়া ইন সোস্যাল চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ’। বেতার, টিভি ও মঞ্চে প্রতিষ্ঠিত নাট্যকার। এছাড়াও টিভিতে অসংখ্য নাটক প্রযোজনা করেছেন। স্বামী মনোয়ার পাঠানও মিডিয়ার পরিচিত একজন।

তার রচিত নাটক দেশের প্রায় সব টিভি চ্যানেলে ও বেতারে প্রচারিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। লিখেছেন মঞ্চ নাটক। উল্লেখযোগ্য টিভি নাটকের মধ্যে, ইলিশ, স্বপ্নের দেশ, ইন্টারভিউ, অল স্কয়ার, প্রতিদান, অবসর-নিবাস, বসন্ত উড়ে উড়ে যায়, বোধোদয়, অন্তরে বাহিরে, মেঘের সীমানায়, সমুদ্রমঙ্গল, ফিরে আসা, ভালোবাসার স্বর্ণরথে, ছেঁড়াপাতার কাব্য, সেইতো আবার, জয়িতার জন্য, বাবা, সে এক অদ্ভুত পাথর, উলোট-পালট, যদি বন্ধু হও, মাধবীলতা, হঠাৎ একদিন, মেঘলা আকাশ, হৃদয়ে কারুকাজ, বংশ প্রদীপ, চেয়ার, তুমি আসবে বলে, অতঃপর ভালবাসি, জননী বলে শুধু ডাকিবো, অন্তরালে, সম্পর্ক, অনাহূত, ভোরের আগে।

প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে: নিসর্গ নিলীমায়, মাধবীলতা, আমি যুদ্ধ দেখেছি, স্বপ্ন বিলাসী মন, তুমি রবে নিরবে, ইতিহাসের পাতায় নারী, মেঘাবৃতা, কিংবদন্তী নারী, ফুলকন্যা, ডানপিটে ছেলের দল, দুষ্টু ছেলের দল, দস্যি ছেলের দল, দামাল ছেলের দল, দুরন্ত ছেলের দল, লক্ষ্মী ছেলের দল, দুলকি তালে ছড়া চলে, মৃত্তিকার গন্ধ, সপ্তক, বোধোদয়, পথ আমারি সাথী, কানাডা ভুতের কান্ড ইত্যাদি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

error: মুরুব্বি -মুরুব্বি উহু উহুহু'

স্বর্ণপদক পেলেন ড. লিপি মনোয়ার

আপলোড সময় : ০৬:০২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশ লেখিকা সংঘের ৫০ বছর পূর্তীতে নাটক রচনা ও কথাসাহিত্যে কবি তাইবুন নাহার রশীদ স্বর্ণপদক পেলেন ড. লিপি মনোয়ার। গত ৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মিলনায়তনে লেখিকা সংঘের সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে আরো অতিথি ছিলেন, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমীমা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ভীস্মদেব চৌধুরী, কবি নাসির আহমেদ,কবি দিলারা হাফিজ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেখিকা সংঘের সভাপতি প্রফেসর অনামিকা হক লিলি। তাসনুভা মোহনার উপস্থাপনায় বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ড. নাশিদ কামাল ও গণমুখী গানের শিল্পী সায়ান।

বহুমুখী প্রতিভায় উদ্ভাসিত লিপি মনোয়ার লেখালেখির জগতে এক সুপরিচিত নাম। একাধারে যিনি লেখক, নাট্যকার, প্রযোজক ও সুসংগঠকও। গল্প , নাটক, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, শিশুহসাহিত্য, সঙ্গীত রচনা; সাহিত্যের প্রায় সবক’টি অঙ্গনে তার পথচলা। তার জন্ম ১লা অক্টোবর ১৯৬৫, দাদাবাড়ি গোপালগঞ্জে। মা আমেনা বেগম (সারাহ)। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম, মাহবুবুর রহমান খান উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত। বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা, গিটার, নাটক, আবৃত্তি, ফটোগ্রাফিতে ছিলেন পারদর্শী। ছোটবেলা থেকে খেলাঘর, রেডক্রিসেন্ট ও গালর্স গাইড এর সাথে ছিল তার সম্পৃক্ততা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সংবাদপাঠ করতেন। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এবং এস এ বি এম কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক হিসাবে প্রচুর শিক্ষার্থীকে শিক্ষাপ্রদান করেছেন। তাঁর পি এইচ ডি-র গবেষণার বিষয় ‘দ্য রোল অব সোস্যাল মিডিয়া ইন সোস্যাল চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ’। বেতার, টিভি ও মঞ্চে প্রতিষ্ঠিত নাট্যকার। এছাড়াও টিভিতে অসংখ্য নাটক প্রযোজনা করেছেন। স্বামী মনোয়ার পাঠানও মিডিয়ার পরিচিত একজন।

তার রচিত নাটক দেশের প্রায় সব টিভি চ্যানেলে ও বেতারে প্রচারিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। লিখেছেন মঞ্চ নাটক। উল্লেখযোগ্য টিভি নাটকের মধ্যে, ইলিশ, স্বপ্নের দেশ, ইন্টারভিউ, অল স্কয়ার, প্রতিদান, অবসর-নিবাস, বসন্ত উড়ে উড়ে যায়, বোধোদয়, অন্তরে বাহিরে, মেঘের সীমানায়, সমুদ্রমঙ্গল, ফিরে আসা, ভালোবাসার স্বর্ণরথে, ছেঁড়াপাতার কাব্য, সেইতো আবার, জয়িতার জন্য, বাবা, সে এক অদ্ভুত পাথর, উলোট-পালট, যদি বন্ধু হও, মাধবীলতা, হঠাৎ একদিন, মেঘলা আকাশ, হৃদয়ে কারুকাজ, বংশ প্রদীপ, চেয়ার, তুমি আসবে বলে, অতঃপর ভালবাসি, জননী বলে শুধু ডাকিবো, অন্তরালে, সম্পর্ক, অনাহূত, ভোরের আগে।

প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে: নিসর্গ নিলীমায়, মাধবীলতা, আমি যুদ্ধ দেখেছি, স্বপ্ন বিলাসী মন, তুমি রবে নিরবে, ইতিহাসের পাতায় নারী, মেঘাবৃতা, কিংবদন্তী নারী, ফুলকন্যা, ডানপিটে ছেলের দল, দুষ্টু ছেলের দল, দস্যি ছেলের দল, দামাল ছেলের দল, দুরন্ত ছেলের দল, লক্ষ্মী ছেলের দল, দুলকি তালে ছড়া চলে, মৃত্তিকার গন্ধ, সপ্তক, বোধোদয়, পথ আমারি সাথী, কানাডা ভুতের কান্ড ইত্যাদি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন