ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতির মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন তিতাস গ্যাসের সিবিএ নেতা জহিরুল ইসলাম

মোঃ সালে আহমেদ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মোঃ সালে আহমেদ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৯:৪১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • / ২৮৭ বার পড়া হয়েছে

তিনটি মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক দুর্নীতির মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএল সি,র কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) জোবিঅ- সোনারগাঁও আঞ্চলিক অফিসের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। গত ৭ জুলাই রোববার কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার এ রায় দেন। সোমবার দুদক কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।দুদক সূত্রে জানা যায়, অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দুদক কুমিল্লা কার্যালয় থেকে ৩টি মামলা করা হয়। এসব মামলার কোনোটিতেই তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অব্যাহতি দেওয়া হয়।ফজলুল হক আরও জানান, মামলাগুলোর দ্বিতীয় আসামি জহিরুল ইসলামকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

কুমিল্লা জেলার বুড়িচংয়ের আনন্দপুর গ্রামের আবদুল গফুর সর্দারের ছেলে জহিরুল ইসলাম দীর্ঘ বছর অত্যন্ত সুনামের সাথে তিতাস গ্যাসে চাকরি করে আসছেন। তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের দেওয়া আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে গিয়ে তিনি তার কর্মস্থলে এবং অবৈধ গ্রাহকদের বিরাগ ভাজন হন। অভিযানের সময় প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেও বিভিন্ন স্থানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সাহসী ভূমিকা রাখেন। তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ এবং কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমেদ কে আদর্শ মনে করেন জহিরুল ইসলাম। অভিযান পরিচালনা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই কাজ করেছেন বিদ্যুৎ গতিতে, হাজার হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ধ্বংস করেছেন। এজন্য তাকে নানাভাবে নাজেহাল করার চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ নামে বেনামে দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি চালাচালি করে একটি মহল মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলায় তার নাম জড়িয়ে দেয়। এবং দেশের স্বনামধন্য পত্রিকা গুলোতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায়।তার ফলশ্রুতিতেই দুর্নীতি দমন কমিশন জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলাগুলো রুজ্জু করে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র জোবিঅ-সোনারগাঁও আঞ্চলিক অফিসের কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক ডেমরা থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি কখনো দুর্নীতি করে দশটি টাকা ও রোজগার করিনি, কোনদিন কোম্পানির ক্ষতি করিনি, আমি যেই পদে চাকরি করি সেখান থেকে কোনভাবেই অবৈধ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব না। দুর্নীতি দমন কমিশন এই কয়েক বছরে বিভিন্নভাবে তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া যে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।

সোমবার ৯ জুলাইদেশের সকল জাতীয় পত্রিকাগুলোতে তিতাস গ্যাসের কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা জহিরুল ইসলামের দুর্নীতির মামলায় অব্যাহতি পাওয়ার খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।
তবে দুর্নীতির মামলায় অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিতাস গ্যাসের কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

error: মুরুব্বি -মুরুব্বি উহু উহুহু'

দুর্নীতির মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন তিতাস গ্যাসের সিবিএ নেতা জহিরুল ইসলাম

আপলোড সময় : ০৯:৪১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

তিনটি মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক দুর্নীতির মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএল সি,র কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) জোবিঅ- সোনারগাঁও আঞ্চলিক অফিসের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। গত ৭ জুলাই রোববার কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার এ রায় দেন। সোমবার দুদক কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।দুদক সূত্রে জানা যায়, অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দুদক কুমিল্লা কার্যালয় থেকে ৩টি মামলা করা হয়। এসব মামলার কোনোটিতেই তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অব্যাহতি দেওয়া হয়।ফজলুল হক আরও জানান, মামলাগুলোর দ্বিতীয় আসামি জহিরুল ইসলামকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

কুমিল্লা জেলার বুড়িচংয়ের আনন্দপুর গ্রামের আবদুল গফুর সর্দারের ছেলে জহিরুল ইসলাম দীর্ঘ বছর অত্যন্ত সুনামের সাথে তিতাস গ্যাসে চাকরি করে আসছেন। তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের দেওয়া আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে গিয়ে তিনি তার কর্মস্থলে এবং অবৈধ গ্রাহকদের বিরাগ ভাজন হন। অভিযানের সময় প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেও বিভিন্ন স্থানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সাহসী ভূমিকা রাখেন। তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ এবং কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমেদ কে আদর্শ মনে করেন জহিরুল ইসলাম। অভিযান পরিচালনা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই কাজ করেছেন বিদ্যুৎ গতিতে, হাজার হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ধ্বংস করেছেন। এজন্য তাকে নানাভাবে নাজেহাল করার চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ নামে বেনামে দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি চালাচালি করে একটি মহল মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলায় তার নাম জড়িয়ে দেয়। এবং দেশের স্বনামধন্য পত্রিকা গুলোতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায়।তার ফলশ্রুতিতেই দুর্নীতি দমন কমিশন জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলাগুলো রুজ্জু করে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র জোবিঅ-সোনারগাঁও আঞ্চলিক অফিসের কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক ডেমরা থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি কখনো দুর্নীতি করে দশটি টাকা ও রোজগার করিনি, কোনদিন কোম্পানির ক্ষতি করিনি, আমি যেই পদে চাকরি করি সেখান থেকে কোনভাবেই অবৈধ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব না। দুর্নীতি দমন কমিশন এই কয়েক বছরে বিভিন্নভাবে তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া যে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।

সোমবার ৯ জুলাইদেশের সকল জাতীয় পত্রিকাগুলোতে তিতাস গ্যাসের কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা জহিরুল ইসলামের দুর্নীতির মামলায় অব্যাহতি পাওয়ার খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।
তবে দুর্নীতির মামলায় অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিতাস গ্যাসের কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন