ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিহত তামিমের পরিবারের পাশে জবির গণিত বিভাগ,১ লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা

রাকিবুল হাসান রাকিব (ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)
রাকিবুল হাসান রাকিব (ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)
  • আপলোড সময় : ০৭:২০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মিরপুর গোলচত্বরে চলা সংঘর্ষে শুক্রবার (১৯ই জুলাই) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব তামিম।

বুধবার (৩১ জুলাই) তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও গণিত বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।এ সময় গণিত বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণিত বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে এক লক্ষ টাকা এবং এক মাসের বাজার করে দেয়া হয়।

আহসান হাবিব তামিম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী ছিলেন।

যানা যায় তামিমের বাবা রাজধানীর একটি কারখানায় মোটর মেকানিকের কাজ করেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে থাকেন ভাড়া বাসায়। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা তামিম স্বপ্ন দেখতেন পরিবারের জন্য কিছু করার। তিন ভাইয়ের মধ্যে তামিম ছিলেন দ্বিতীয়। বড় ভাইও বাবার সঙ্গেই করেন মেকানিকের কাজ। ছোট থেকেই মেধাবী আর সাহসী ছিলেন তামিম। তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলায়।

তামিমের বাবা আব্দুল মান্নান বলেন, গ্রামে আমাদের নিজের বলতে কোনো বাড়ি নেই। আমরা ঢাকাতেই থাকি। গ্রামে বেশি একটা যাই না। ছোটবেলা থেকেই আমার ছেলেটা বেশ চঞ্চল। অভাব অনটনে মানুষ। ওর আশা ছিল ওর ছোট ভাইটাকেও ভালো জায়গায় পড়াশোনা করাবে। কিন্তু তা আর হলো না। তামিম আর ঘরে ফিরে এলো না।

এ বিষয়ে বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নিহত তামিমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তার এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শোক প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, আজ গণিত বিভাগ তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। তার পরিবারের কে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও তার পরিবারের পাশে দাড়াব।###

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নিহত তামিমের পরিবারের পাশে জবির গণিত বিভাগ,১ লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা

আপলোড সময় : ০৭:২০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মিরপুর গোলচত্বরে চলা সংঘর্ষে শুক্রবার (১৯ই জুলাই) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব তামিম।

বুধবার (৩১ জুলাই) তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও গণিত বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।এ সময় গণিত বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণিত বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে এক লক্ষ টাকা এবং এক মাসের বাজার করে দেয়া হয়।

আহসান হাবিব তামিম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী ছিলেন।

যানা যায় তামিমের বাবা রাজধানীর একটি কারখানায় মোটর মেকানিকের কাজ করেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে থাকেন ভাড়া বাসায়। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা তামিম স্বপ্ন দেখতেন পরিবারের জন্য কিছু করার। তিন ভাইয়ের মধ্যে তামিম ছিলেন দ্বিতীয়। বড় ভাইও বাবার সঙ্গেই করেন মেকানিকের কাজ। ছোট থেকেই মেধাবী আর সাহসী ছিলেন তামিম। তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলায়।

তামিমের বাবা আব্দুল মান্নান বলেন, গ্রামে আমাদের নিজের বলতে কোনো বাড়ি নেই। আমরা ঢাকাতেই থাকি। গ্রামে বেশি একটা যাই না। ছোটবেলা থেকেই আমার ছেলেটা বেশ চঞ্চল। অভাব অনটনে মানুষ। ওর আশা ছিল ওর ছোট ভাইটাকেও ভালো জায়গায় পড়াশোনা করাবে। কিন্তু তা আর হলো না। তামিম আর ঘরে ফিরে এলো না।

এ বিষয়ে বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নিহত তামিমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তার এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শোক প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, আজ গণিত বিভাগ তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। তার পরিবারের কে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও তার পরিবারের পাশে দাড়াব।###

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন