ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদার দাবিতে তিনতলা থেকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয় ১০ বছরের শিশুকে

মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৭:১৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪৩৪ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিতালি মার্কেটের চাঁদাবাজদের দাপট কমছেনা।ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বন্ধ হচ্ছেনা তাদের চঁাদাবাজি। চঁাদার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফজলে এলাহি নামে ১০ বছরের এক শিশুকে মার্কেটের তিন তলা থেকে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার আগে রনি ও নজরুল ইসলাম মোল্লাসহ বহু ব্যবসায়ীকে মারধর ও তাদের দোকানের মালামাল লুট করেছে চঁাদাবাজরা।

আহত শিশু ফজলে এলাহি মিতালি মার্কেটের ১ নম্বর ভবনের ৫৫ নম্বর এলাহি হোসিয়ারী দোকান মালিক নজরুল ইসলামের ছেলে। আহত অন্যরা হলেন, ২ নম্বর ভবনের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মোল্লা (৩৮) ও ৩ নম্বর ভবনের ফ্লিম ফ্যাশনের মালিক রনি (৩০)। ভবনের নিচে বালুর স্তুপের উপর পড়ায় শিশুটি প্রাণে বেঁচে গেছে। তবে তার হাত ও পা ভেঙে গেছে বলে জানায় স্বজনরা।

শিশু ফজলে এলাহি জানায়, এক মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার চঁাদা নিতে দোকানে আসে মাঈনুদ্দিন, মানিক ও আলামিন। এসময় তাদের সঙ্গে আরো ৪০-
৫০ জন লোক ছিল। চঁাদা দিতে না চাইলে দোকানের ক্যাশ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লুড করে নেয়। পরে তাকে ধরে নিয়ে যায় মার্কেটের তিন তলায়। সেখানে নিয়ে মারধর করে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।ব্যবসায়ী রনি বলেন, সন্ত্রাস দমনের নামে জয়নালের সহযোগী লিটন মোল্লা,মাইনুদ্দিন ও মহিউদ্দিনসহ ১০-১২ জন মার্কেটে লুটপাট করছে। আমার
গোডাউনের তালা ভেঙ্গে প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকার মালাল লুট করেছে। চঁাদা না দিলে জয়নাল ব্যবসায়ীদেরকে তার লোকজন দিয়ে ধরে অফিসে নিয়ে মারধর করে।ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, জয়নালের লোকজন আমাকে মারধর করে সঙ্গে থাকা ৩৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। আমাকে মার্কেটের আসতে নিষেধ করে দিয়েছে।মার্কেটের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে মিতালি মার্কেটের প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে দৈনিক ২০০ টাকা করে চঁাদা নিচ্ছে জয়নাল।মার্কেটের নিচে একটি অফিস করে ১০/১৫ জনের বাহিনী গড়ে তুলে সাড়ে ৪ হাজার দোকান থেকে চঁাদা আদায় করে আসছেন তিনি।

গত ৫ অগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যবসায়ীরা চঁাদা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অন্তর্বর্তি সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকলে গত কয়েকদিন ধরে আবার চঁাদা নিতে আসছে জয়নালের লোকজন। চঁাদা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই মারধর করে দোকানের মালা মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। তারা দলবল নিয়ে হঠাৎ করে এসে তাণ্ডব চালিয়ে দ্রুত চলে যায়।

এখনো সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাজ ঠিক মত চালু না হওয়ায় কোন আইনী সহযোগিতা পাচ্ছি না।অভিযুক্ত জয়নাল ও তার সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।তাদের মোবাইল নম্বার বন্ধ।তারা গা ঢাকা দিয়ে থাকেন বলে জানান স্থানীয়রা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চাঁদার দাবিতে তিনতলা থেকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয় ১০ বছরের শিশুকে

আপলোড সময় : ০৭:১৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিতালি মার্কেটের চাঁদাবাজদের দাপট কমছেনা।ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বন্ধ হচ্ছেনা তাদের চঁাদাবাজি। চঁাদার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফজলে এলাহি নামে ১০ বছরের এক শিশুকে মার্কেটের তিন তলা থেকে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার আগে রনি ও নজরুল ইসলাম মোল্লাসহ বহু ব্যবসায়ীকে মারধর ও তাদের দোকানের মালামাল লুট করেছে চঁাদাবাজরা।

আহত শিশু ফজলে এলাহি মিতালি মার্কেটের ১ নম্বর ভবনের ৫৫ নম্বর এলাহি হোসিয়ারী দোকান মালিক নজরুল ইসলামের ছেলে। আহত অন্যরা হলেন, ২ নম্বর ভবনের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মোল্লা (৩৮) ও ৩ নম্বর ভবনের ফ্লিম ফ্যাশনের মালিক রনি (৩০)। ভবনের নিচে বালুর স্তুপের উপর পড়ায় শিশুটি প্রাণে বেঁচে গেছে। তবে তার হাত ও পা ভেঙে গেছে বলে জানায় স্বজনরা।

শিশু ফজলে এলাহি জানায়, এক মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার চঁাদা নিতে দোকানে আসে মাঈনুদ্দিন, মানিক ও আলামিন। এসময় তাদের সঙ্গে আরো ৪০-
৫০ জন লোক ছিল। চঁাদা দিতে না চাইলে দোকানের ক্যাশ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লুড করে নেয়। পরে তাকে ধরে নিয়ে যায় মার্কেটের তিন তলায়। সেখানে নিয়ে মারধর করে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।ব্যবসায়ী রনি বলেন, সন্ত্রাস দমনের নামে জয়নালের সহযোগী লিটন মোল্লা,মাইনুদ্দিন ও মহিউদ্দিনসহ ১০-১২ জন মার্কেটে লুটপাট করছে। আমার
গোডাউনের তালা ভেঙ্গে প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকার মালাল লুট করেছে। চঁাদা না দিলে জয়নাল ব্যবসায়ীদেরকে তার লোকজন দিয়ে ধরে অফিসে নিয়ে মারধর করে।ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, জয়নালের লোকজন আমাকে মারধর করে সঙ্গে থাকা ৩৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। আমাকে মার্কেটের আসতে নিষেধ করে দিয়েছে।মার্কেটের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে মিতালি মার্কেটের প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে দৈনিক ২০০ টাকা করে চঁাদা নিচ্ছে জয়নাল।মার্কেটের নিচে একটি অফিস করে ১০/১৫ জনের বাহিনী গড়ে তুলে সাড়ে ৪ হাজার দোকান থেকে চঁাদা আদায় করে আসছেন তিনি।

গত ৫ অগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যবসায়ীরা চঁাদা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অন্তর্বর্তি সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকলে গত কয়েকদিন ধরে আবার চঁাদা নিতে আসছে জয়নালের লোকজন। চঁাদা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই মারধর করে দোকানের মালা মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। তারা দলবল নিয়ে হঠাৎ করে এসে তাণ্ডব চালিয়ে দ্রুত চলে যায়।

এখনো সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাজ ঠিক মত চালু না হওয়ায় কোন আইনী সহযোগিতা পাচ্ছি না।অভিযুক্ত জয়নাল ও তার সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।তাদের মোবাইল নম্বার বন্ধ।তারা গা ঢাকা দিয়ে থাকেন বলে জানান স্থানীয়রা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন