ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজী টায়ার্সে পরিদর্শন শেষে বুয়েট বিশেষজ্ঞ – উদ্ধার কার্যক্রম চালানো বিপজ্জনক

মোঃ আবু কাওছার মিঠু ( রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ )
মোঃ আবু কাওছার মিঠু ( রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ )
  • আপলোড সময় : ০৭:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৭৯ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ গাজী টায়ার্সের ছয়তলা ভবনটি পরিদর্শন করেছেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক রাকিব আহসান। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের আহ্বানে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় পুরে যাওয়া ভবনটি পরিদর্শনে আসেন তিনি।

এ সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত দলের প্রধান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান, গণপূর্ত অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ছাইফুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল হকসহ তদন্ত দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পর্যবেক্ষণ শেষে ভবনটিতে প্রবেশ করে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মত দিয়েছেন অধ্যাপক রাকিব আহসান।

অধ্যাপক রাকিব আহসান বলেন, ‘আমরা ভবনের চারপাশ ঘুরে দেখেছি। ফায়ার সার্ভিসের ল্যাডারের (মই) সাহায্যে যতটা সম্ভব বাইরে থেকে ভবনের ভেতরে দেখেছি। ড্রোনের সাহায্যে ধারণ করা ভিডিও ও ছবি পর্যবেক্ষণ করেছি। আগুনটা আসলে অনেকক্ষণ সময় ধরে প্রায় তিন দিনের মতো জ্বলেছে। বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল থাকায় তাপও অনেক বেশি হয়েছে, যা ভবনটির অবস্থা দেখলে বোঝা যায়। ভবনটি শুধু পুড়ে যায়নি, পুড়ে ভেঙে গেছে। রডগুলো বেরিয়ে গেছে। ছয়তলা ভবনটির চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার মেঝে ভেঙে তৃতীয় তলার মেঝেতে পড়ে গেছে।

ভাঙা অংশগুলোর ওজনে তৃতীয় তলাও বেঁকে গেছে। কলামগুলো বেশির ভাগ ফেটে গেছে। এ ফাটল আমরা বাইরে থেকে যতটা দেখতে পাই, আগুন লাগার ফলে ভেতরটাতেও ততটাই ফাটল থাকে। ওপরের দিকে আগুন বেশি জ্বলায় সেখানে ক্ষতি বেশি হয়েছে। এখন নিচের দিকে উদ্ধার অভিযান চালানোর চেষ্টা করা হলে ওপর থেকে ভেঙে পড়ার শঙ্কাও রয়েছে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

গাজী টায়ার্সে পরিদর্শন শেষে বুয়েট বিশেষজ্ঞ – উদ্ধার কার্যক্রম চালানো বিপজ্জনক

আপলোড সময় : ০৭:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ গাজী টায়ার্সের ছয়তলা ভবনটি পরিদর্শন করেছেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক রাকিব আহসান। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের আহ্বানে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় পুরে যাওয়া ভবনটি পরিদর্শনে আসেন তিনি।

এ সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত দলের প্রধান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান, গণপূর্ত অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ছাইফুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল হকসহ তদন্ত দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পর্যবেক্ষণ শেষে ভবনটিতে প্রবেশ করে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মত দিয়েছেন অধ্যাপক রাকিব আহসান।

অধ্যাপক রাকিব আহসান বলেন, ‘আমরা ভবনের চারপাশ ঘুরে দেখেছি। ফায়ার সার্ভিসের ল্যাডারের (মই) সাহায্যে যতটা সম্ভব বাইরে থেকে ভবনের ভেতরে দেখেছি। ড্রোনের সাহায্যে ধারণ করা ভিডিও ও ছবি পর্যবেক্ষণ করেছি। আগুনটা আসলে অনেকক্ষণ সময় ধরে প্রায় তিন দিনের মতো জ্বলেছে। বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল থাকায় তাপও অনেক বেশি হয়েছে, যা ভবনটির অবস্থা দেখলে বোঝা যায়। ভবনটি শুধু পুড়ে যায়নি, পুড়ে ভেঙে গেছে। রডগুলো বেরিয়ে গেছে। ছয়তলা ভবনটির চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার মেঝে ভেঙে তৃতীয় তলার মেঝেতে পড়ে গেছে।

ভাঙা অংশগুলোর ওজনে তৃতীয় তলাও বেঁকে গেছে। কলামগুলো বেশির ভাগ ফেটে গেছে। এ ফাটল আমরা বাইরে থেকে যতটা দেখতে পাই, আগুন লাগার ফলে ভেতরটাতেও ততটাই ফাটল থাকে। ওপরের দিকে আগুন বেশি জ্বলায় সেখানে ক্ষতি বেশি হয়েছে। এখন নিচের দিকে উদ্ধার অভিযান চালানোর চেষ্টা করা হলে ওপর থেকে ভেঙে পড়ার শঙ্কাও রয়েছে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন