ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখনো অধরা নারায়ণগঞ্জ মহানগর আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা’র অনুসারী আওয়ামীলীগ নেতা মুন্না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ০৮:১৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩১৭ বার পড়া হয়েছে

এখনো অধরা নারায়ণগঞ্জ মহানগর আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা’র অনুসারী আওয়ামীলীগ নেতা মুন্না

আওয়ামীলীগ সরকার থাকা কলীন সময় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি জমি দখল থেকে শুরু করে এলাকায় সকল প্রকারের অপকর্মসহ পাহাড় সমান বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে আওয়ামীলীগ নেতা তানভীর কবির মুন্না ও তার ভাই তানজিম কবির সজুর বিরুদ্ধে।

সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৭নং ওয়ার্ড উত্তর কদমতলী এলাকার মৃত হুমায়ূন কবিরের ছেলে ও বন্দরের অন্যতম কুখ্যাত রাজাকার পুত্র বন্দর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ভাগিনা তানভীর কবির মুন্না।

গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরুধী ছাত্র আন্দোলন ও জনতার আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হওয়ার পর সারাদেশে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা ও মামলা হওয়ায় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জেন নাসিক ৭নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতা তানভীর কবির মুন্না রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে।

তানভীর কবির মুন্না নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের কর্মী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা’র আস্থা ভাজন হিসেবে পরিচয়ে বেপরোয়া হয়ে এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করেছেন। শুধু তাই নয় এলাকার নিরীহ লোকদের জমি জোড়পূর্বক দখল করে কারখানা নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। তার ভয়ে ওই এলাকার নিরীহ ভুক্তভোগীরা একটু শব্দো করতে সাহস পায় না। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরেও তিনি রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে।

একটি সূত্রে জানাযায়, ২০২৩ সালের ৭ জুলাই সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান মুন্নার পিতা মরহুম হুমায়ুন কবিরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অতিথি করে ব্যাপক ভাবে আয়োজনও ছিলেন।

“কদমতলীর এম ডব্লিউ স্কুল মাঠে এ অনুষ্ঠানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মুন্নার পরিবারের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেই থেকেই বনে গেছেন ৭নং ওয়ার্ডের কিং আওয়ামী লীগে নেতা তানভীর কবির মুন্না ও তার ভাইয়েরা।

২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শামীম ওসমান চতুর্থবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা তানভীর কবির মুন্না সাংসদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বচনোত্তর অনুষ্ঠানে তিনি ফুল দিয়ে সাংসদকে অভিনন্দন জানান। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্দেশে আওয়ামীলীগ নেতা তানভীর কবির মুন্না কয়েকশত নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকার শান্তি সমাবেশে যোগদান করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মতিঝিল থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্ভোধন করেছিলেন।

সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহার নাম ভাঙ্গিয়ে তানভীর কবির মুন্না, দীর্ঘদিন ধরে আদমজী নিটওয়্যার, আদমজী নিট টেক্স, আদমজী রাইস এজেন্সি, তানভীর ট্রেডিং নামে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।

মিজমিজি টিসিরোড এলাকার বাসিন্দা আশরাফ উদ্দিন প্রধান নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এসএ, সিএস, ১১৮৮ ও ১১৮৯ আর এস, ৪৯১১ দাগে বারো শতাংশ জমিতে জোড়পূর্বক দখল করে তানভীর কবির মুন্না ও তানজীম কবির সজিব ওরফে সজু মিয়া বিগত ১৪ বছর যাবৎ দখল করে দোকান ও আদমজী নীট ওয়্যার নামে একটি কারখানা তৈরী করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। অথচ আমি এই বারো শতাংশ জমি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খারিজ করে খাজনা পরিশোধ করে আসছি।

আমি নিরীহ লোক বলে তারা কোন অবস্থাতেই আমার জমি ফেরৎ দিচ্ছেন না। আমার জমি ফেরৎ পাওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও কোন ফল পাই নি আমি। জমি চাইতে গেলে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের জীবনে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখায়। তাই আমরা তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছি না।

তিনি বলেন, ভেবেছিলাম অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর জুলুম ও জালেমকারী মুন্না ও সজু এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাবেন। সজুর নামে মামলা হলেও রহস্যজনক কারনে মুন্না রয়ে গেছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। তাকেও আইনের আওতায় এনে বিচারের জোড় দাবি জানান তিনি। সেই সাথে তার দখলকৃত জমিটি ফেরৎ পাওয়ার আকুতি জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্যাস লাইন এলাকার এক বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজকে জানান, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় কালো রংয়ের দামি গাড়ি দিয়ে সারা এলাকায় দাবিয়ে বেড়িয়েছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকার পতন হওয়ার পর ঠিক একই ভাবে মুন্না এলাকায় বহাল তবিয়তে দাবিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাকেও আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা তানভীর কবির মুন্নার মুঠোফোনে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হলেও তিনি তাকে পাওয়া যায়নি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, তানভীর কবির মুন্না হোক আর যেই হোক অভিযোগ পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক জানান, আশরাফ উদ্দিন নামে এক লোক তার জমি দখল করে নেওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে মুন্নার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে:কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজকে জানান, জ্বালাও পোড়ও ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অন্যের জমি জোড়পূর্বক দখল করে কারখানা নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি দখলকারী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এখনো অধরা নারায়ণগঞ্জ মহানগর আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা’র অনুসারী আওয়ামীলীগ নেতা মুন্না

আপলোড সময় : ০৮:১৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আওয়ামীলীগ সরকার থাকা কলীন সময় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি জমি দখল থেকে শুরু করে এলাকায় সকল প্রকারের অপকর্মসহ পাহাড় সমান বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে আওয়ামীলীগ নেতা তানভীর কবির মুন্না ও তার ভাই তানজিম কবির সজুর বিরুদ্ধে।

সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৭নং ওয়ার্ড উত্তর কদমতলী এলাকার মৃত হুমায়ূন কবিরের ছেলে ও বন্দরের অন্যতম কুখ্যাত রাজাকার পুত্র বন্দর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ভাগিনা তানভীর কবির মুন্না।

গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরুধী ছাত্র আন্দোলন ও জনতার আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হওয়ার পর সারাদেশে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা ও মামলা হওয়ায় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জেন নাসিক ৭নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতা তানভীর কবির মুন্না রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে।

তানভীর কবির মুন্না নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের কর্মী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা’র আস্থা ভাজন হিসেবে পরিচয়ে বেপরোয়া হয়ে এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করেছেন। শুধু তাই নয় এলাকার নিরীহ লোকদের জমি জোড়পূর্বক দখল করে কারখানা নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। তার ভয়ে ওই এলাকার নিরীহ ভুক্তভোগীরা একটু শব্দো করতে সাহস পায় না। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরেও তিনি রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে।

একটি সূত্রে জানাযায়, ২০২৩ সালের ৭ জুলাই সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান মুন্নার পিতা মরহুম হুমায়ুন কবিরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অতিথি করে ব্যাপক ভাবে আয়োজনও ছিলেন।

“কদমতলীর এম ডব্লিউ স্কুল মাঠে এ অনুষ্ঠানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মুন্নার পরিবারের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেই থেকেই বনে গেছেন ৭নং ওয়ার্ডের কিং আওয়ামী লীগে নেতা তানভীর কবির মুন্না ও তার ভাইয়েরা।

২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শামীম ওসমান চতুর্থবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা তানভীর কবির মুন্না সাংসদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বচনোত্তর অনুষ্ঠানে তিনি ফুল দিয়ে সাংসদকে অভিনন্দন জানান। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্দেশে আওয়ামীলীগ নেতা তানভীর কবির মুন্না কয়েকশত নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকার শান্তি সমাবেশে যোগদান করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মতিঝিল থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্ভোধন করেছিলেন।

সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহার নাম ভাঙ্গিয়ে তানভীর কবির মুন্না, দীর্ঘদিন ধরে আদমজী নিটওয়্যার, আদমজী নিট টেক্স, আদমজী রাইস এজেন্সি, তানভীর ট্রেডিং নামে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।

মিজমিজি টিসিরোড এলাকার বাসিন্দা আশরাফ উদ্দিন প্রধান নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এসএ, সিএস, ১১৮৮ ও ১১৮৯ আর এস, ৪৯১১ দাগে বারো শতাংশ জমিতে জোড়পূর্বক দখল করে তানভীর কবির মুন্না ও তানজীম কবির সজিব ওরফে সজু মিয়া বিগত ১৪ বছর যাবৎ দখল করে দোকান ও আদমজী নীট ওয়্যার নামে একটি কারখানা তৈরী করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। অথচ আমি এই বারো শতাংশ জমি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খারিজ করে খাজনা পরিশোধ করে আসছি।

আমি নিরীহ লোক বলে তারা কোন অবস্থাতেই আমার জমি ফেরৎ দিচ্ছেন না। আমার জমি ফেরৎ পাওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও কোন ফল পাই নি আমি। জমি চাইতে গেলে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের জীবনে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখায়। তাই আমরা তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছি না।

তিনি বলেন, ভেবেছিলাম অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর জুলুম ও জালেমকারী মুন্না ও সজু এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাবেন। সজুর নামে মামলা হলেও রহস্যজনক কারনে মুন্না রয়ে গেছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। তাকেও আইনের আওতায় এনে বিচারের জোড় দাবি জানান তিনি। সেই সাথে তার দখলকৃত জমিটি ফেরৎ পাওয়ার আকুতি জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্যাস লাইন এলাকার এক বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজকে জানান, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় কালো রংয়ের দামি গাড়ি দিয়ে সারা এলাকায় দাবিয়ে বেড়িয়েছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকার পতন হওয়ার পর ঠিক একই ভাবে মুন্না এলাকায় বহাল তবিয়তে দাবিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাকেও আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা তানভীর কবির মুন্নার মুঠোফোনে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হলেও তিনি তাকে পাওয়া যায়নি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, তানভীর কবির মুন্না হোক আর যেই হোক অভিযোগ পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক জানান, আশরাফ উদ্দিন নামে এক লোক তার জমি দখল করে নেওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে মুন্নার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে:কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা নারায়ণগঞ্জ ক্রাইম নিউজকে জানান, জ্বালাও পোড়ও ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অন্যের জমি জোড়পূর্বক দখল করে কারখানা নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি দখলকারী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন