ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর  শুক্রাবাদে শিশুসহ ৩ জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনাটি গ্যাসের বিস্ফোরণ নয় বলে জানিয়েছে তিতাস

মোঃ সালে আহমেদ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মোঃ সালে আহমেদ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ১০:১৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২৪৩ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর শুক্রাবাদে একটি ঘরে বিস্ফোরনে আগুন লেগে শিশুসহ এক পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছে।গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।তিন জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি গ্যাসের বিস্ফোরণ উল্লেখ করা হলেও অন্য কথা বলেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশনপিএলসি’র কর্মকর্তারা। তিতাস গ্যাসের ধানমন্ডি অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, ঘটনার পর ওই বাড়িতে তিতাস গ্যাসের কারিগরি টিমের কর্মীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পেরেছেন অগ্নিদগ্ধের ঘটনাটি গ্যাস বিস্ফোরণে হয়নি। তবে কি কারণে ওই ঘরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে প্রাথমিকভাবে তাও জানাতে পারেনি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। কারণ ঘটনার পর থেকে ওই ঘরটি তালা বদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।এদিকে শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে শুক্রবাদ বাজার এলাকার একটি বাড়িতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তারিকুল ইসলাম।

দগ্ধরা হলেন মো. টোটন, তার স্ত্রী নিপা এবং তাদের শিশু সন্তান বায়েজিদ।

লালবাগ এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী টোটনের বয়স ৩৫ বছর, গৃহিনী নিপার বয়স ৩০ বছর আর তাদের সন্তান বায়েজিদের বয়স তিন বছর।

তাদেরকে বার্ন ইনস্টটিউটিটের জরুরি বিভাগের রেড ইউনিটে রাখা হয়েছে জানিয়ে ডা. তারিকুল ইসলাম বলেন, তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

“টোটনের শরীরের ৫০ শতাংশ, নিপার ৩২ শতাংশ এবং বায়েজিদের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।”

সাধারণত কারও শরীরের ৩০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেলেই আশঙ্কাজনক অবস্থা বিবেচনা করেন চিকিৎসকরা।

টোটনের শ্যালক নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি তার বোনের ফোন পেয়ে বিস্ফোরণের কথা জানতে পারেন। কীভাবে হয়েছিল জানেন না।

“ওই বাসায় আমার বোনজামাই, বোন-ভাগ্নে থাকত। সকালে বোন আমাকে ফোন করে বলেছে ‘ভাই আমাদের বাঁচা’। এর বেশি কিছু জানি না।”

ওই বাড়ির মালিক নিজাম উদ্দিন বলেন, বাড়ির নিচতলায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকেন টোটন। তিনি থাকেন তিন তলায়। ভোরে বিস্ফোরণের শব্দ শূনে নিচে নেমে আগুন দেখতে পান। বিস্ফোরণ কেন হলো তা বুঝতে পারছেন না তিনি।

“রাত চারটা থেকে সাড়ে চারটার মধ্যে এই ঘটনায় ঘটেছে। একটা শব্দ পেয়ে আমরা নিচে নেমে দেখি জানলায় আগুন। টোটন এবং বাকী দুজন বাইরে বের হয়ে বসে আছেন। আমরা আগুন নিভিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই। ঘটনার পর র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস এবং তিতাস গ্যাস এখানে এসেছে। আমরাও চাই ঘটনাটির কারণ বের হোক।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রাজধানীর  শুক্রাবাদে শিশুসহ ৩ জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনাটি গ্যাসের বিস্ফোরণ নয় বলে জানিয়েছে তিতাস

আপলোড সময় : ১০:১৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজধানীর শুক্রাবাদে একটি ঘরে বিস্ফোরনে আগুন লেগে শিশুসহ এক পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছে।গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।তিন জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি গ্যাসের বিস্ফোরণ উল্লেখ করা হলেও অন্য কথা বলেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশনপিএলসি’র কর্মকর্তারা। তিতাস গ্যাসের ধানমন্ডি অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, ঘটনার পর ওই বাড়িতে তিতাস গ্যাসের কারিগরি টিমের কর্মীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পেরেছেন অগ্নিদগ্ধের ঘটনাটি গ্যাস বিস্ফোরণে হয়নি। তবে কি কারণে ওই ঘরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে প্রাথমিকভাবে তাও জানাতে পারেনি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। কারণ ঘটনার পর থেকে ওই ঘরটি তালা বদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।এদিকে শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে শুক্রবাদ বাজার এলাকার একটি বাড়িতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তারিকুল ইসলাম।

দগ্ধরা হলেন মো. টোটন, তার স্ত্রী নিপা এবং তাদের শিশু সন্তান বায়েজিদ।

লালবাগ এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী টোটনের বয়স ৩৫ বছর, গৃহিনী নিপার বয়স ৩০ বছর আর তাদের সন্তান বায়েজিদের বয়স তিন বছর।

তাদেরকে বার্ন ইনস্টটিউটিটের জরুরি বিভাগের রেড ইউনিটে রাখা হয়েছে জানিয়ে ডা. তারিকুল ইসলাম বলেন, তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

“টোটনের শরীরের ৫০ শতাংশ, নিপার ৩২ শতাংশ এবং বায়েজিদের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।”

সাধারণত কারও শরীরের ৩০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেলেই আশঙ্কাজনক অবস্থা বিবেচনা করেন চিকিৎসকরা।

টোটনের শ্যালক নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি তার বোনের ফোন পেয়ে বিস্ফোরণের কথা জানতে পারেন। কীভাবে হয়েছিল জানেন না।

“ওই বাসায় আমার বোনজামাই, বোন-ভাগ্নে থাকত। সকালে বোন আমাকে ফোন করে বলেছে ‘ভাই আমাদের বাঁচা’। এর বেশি কিছু জানি না।”

ওই বাড়ির মালিক নিজাম উদ্দিন বলেন, বাড়ির নিচতলায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকেন টোটন। তিনি থাকেন তিন তলায়। ভোরে বিস্ফোরণের শব্দ শূনে নিচে নেমে আগুন দেখতে পান। বিস্ফোরণ কেন হলো তা বুঝতে পারছেন না তিনি।

“রাত চারটা থেকে সাড়ে চারটার মধ্যে এই ঘটনায় ঘটেছে। একটা শব্দ পেয়ে আমরা নিচে নেমে দেখি জানলায় আগুন। টোটন এবং বাকী দুজন বাইরে বের হয়ে বসে আছেন। আমরা আগুন নিভিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই। ঘটনার পর র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস এবং তিতাস গ্যাস এখানে এসেছে। আমরাও চাই ঘটনাটির কারণ বের হোক।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন