” শরী’আতের দৃষ্টিতে সাওম ” —– তথ্য সংগ্রহ : প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু নাছের
- আপলোড সময় : ০৬:২০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
- / ২৩৯ বার পড়া হয়েছে
সাওম’ এর অর্থ হলো –
রোজার আরবি শব্দ ‘সাওম’ অর্থ বিরত থাকা। ফারসি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলায় সাওমকে ‘রোজা’ বলা হয়। ইসলামের পরিভাষায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, যৌন সম্ভোগ ও শরিয়ত-নির্ধারিত বিধিনিষেধ থেকে নিয়ত সহকারে বিরত থাকাকে সাওম বা রোজা বলা হয়।
সাওম হচ্ছে-
“খাওয়া, পান করা এবং যৌনসম্ভোগ -এ তিনটি কাজ থেকে নিয়তসহ বিরত থাকার নাম হলো সাওম। ”শরী’আতের দৃষ্টিতে সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার,যৌন সম্ভোগ ও শরী’আত নির্ধারিত বিধি-নিষেধ থেকে নিয়তসহ বিরত থাকাকে সাওম বলে। শরী’আতে ঈমান,সালাত ও যাকাতের পরেই সাওমের স্থান। যা ইসলামের চতুর্থ রুকন।
সাওম পালন উন্নত চরিত্র ও আদর্শ সমাজ গঠনে সহায়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাওম পালনের সময় লোভ-লালসা, পাপাচার, মিথ্যাচার, ঝগড়া-বিবাদ, ত্যাগ করতে হয়। অশ্লীল কথা ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়। এতে ব্যক্তি চরিত্র যেমন উন্নত হয়, তেমনি সুন্দর সমাজ গঠনেও সহায়ক হয় ।
সাওমের মৌলিক উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা।
সাওমের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে –
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার,কামাচার, পাপাচার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস ও অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকার নাম সাওম বা রোজা।
সাওমের ধারণা হলো-
রোজা বা সাওম হল সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পঞ্চইন্দ্রিয়ের দ্বারা গুনাহের কাজ এবং (স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে) যৌনসঙ্গম থেকে বিরত থাকা। এই মাসে মুসলিমগণ অধিক ইবাদত করে থাকে। কারণ অন্য মাসের তুলনায় এই মাসে ইবাদতের সওয়াব বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়।