ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোকোর স্ত্রী শর্মিলার নাম ভাঙাচ্ছেন নিক্সনের দোসর শেখ হাবীব

তন্ময় (নিজস্ব প্রতিবেদক)
তন্ময় (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৯:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের অন্যতম নিয়ন্ত্রক নিক্সন চৌধুরী ও ব্যবসায়ী শেখ হাবীবের বিরুদ্ধে অপহরণ, অনলাইন জুয়া ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে কালো টাকা পাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন প্রবাসে পালিয়ে থাকা ভুক্তভোগীরা দেশে ফিরে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন।

কখনো শেখ পরিবারের সদস্য কখনোবা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মেয়ে আনিকার স্বামী পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার করতেন শেখ হাবিব। জুলাই আন্দোলনে স্বৈরাচার ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভোল পালটেছেন কুখ্যাত এই শেখ হাবীব।
এখন তিনি খালেদা জিয়ার ছোট পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমানের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। এর মাধ্যমে তিনি তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড আড়াল করতে চাইছেন। সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসক্রিপশনে দেশে নানা রকম অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির নীলনকশা বাস্তবায়ন করছেন।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
আওয়ামী লীগ আমলে ঢাকার অপরাধ জগতে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী নিক্সন চৌধুরী। তার সহযোগী হিসেবে অন্যতম ছিলেন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির চাকরি ছেড়ে মাত্র ১৬ বছরে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া শেখ হাবীব। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, নিক্সনের পরামর্শে একটি ভয়ঙ্কর অপহরণ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট চালাতেন তিনি।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, শেখ পরিবারের নাম ভাঙিয়ে চলা শেখ হাবীব ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্য উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ঘনিষ্ঠ। তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের কালো টাকা বিদেশে পাচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করতেন।
এছাড়া বেনজীর আহমেদের আস্থাভাজন শেখ হাবীব তার প্রতিষ্ঠান “টপ আপ”-এর মাধ্যমে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর জন্য বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেটসহ বিভিন্ন রায়ট ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করতেন। অভিযোগ উঠেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় শেখ হাবীবের স্টকে থাকা ভেস্ট, হেলমেট ও গোলাবারুদ সরকার দলীয় কর্মীদের হাতে তুলে দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আন্দোলনে আহতরা ইতোমধ্যে বিচারের দাবি তুলেছেন।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, এই কালোটাকার মালিকরাই এখন দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। ইতোমধ্যেই নিক্সন-হাবীব চক্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। সেই সঙ্গে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন একাধিক ভুক্তভোগী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কোকোর স্ত্রী শর্মিলার নাম ভাঙাচ্ছেন নিক্সনের দোসর শেখ হাবীব

আপলোড সময় : ০৯:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের অন্যতম নিয়ন্ত্রক নিক্সন চৌধুরী ও ব্যবসায়ী শেখ হাবীবের বিরুদ্ধে অপহরণ, অনলাইন জুয়া ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে কালো টাকা পাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন প্রবাসে পালিয়ে থাকা ভুক্তভোগীরা দেশে ফিরে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন।

কখনো শেখ পরিবারের সদস্য কখনোবা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মেয়ে আনিকার স্বামী পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার করতেন শেখ হাবিব। জুলাই আন্দোলনে স্বৈরাচার ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভোল পালটেছেন কুখ্যাত এই শেখ হাবীব।
এখন তিনি খালেদা জিয়ার ছোট পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমানের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। এর মাধ্যমে তিনি তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড আড়াল করতে চাইছেন। সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসক্রিপশনে দেশে নানা রকম অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির নীলনকশা বাস্তবায়ন করছেন।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
আওয়ামী লীগ আমলে ঢাকার অপরাধ জগতে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী নিক্সন চৌধুরী। তার সহযোগী হিসেবে অন্যতম ছিলেন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির চাকরি ছেড়ে মাত্র ১৬ বছরে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া শেখ হাবীব। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, নিক্সনের পরামর্শে একটি ভয়ঙ্কর অপহরণ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট চালাতেন তিনি।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, শেখ পরিবারের নাম ভাঙিয়ে চলা শেখ হাবীব ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্য উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ঘনিষ্ঠ। তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের কালো টাকা বিদেশে পাচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করতেন।
এছাড়া বেনজীর আহমেদের আস্থাভাজন শেখ হাবীব তার প্রতিষ্ঠান “টপ আপ”-এর মাধ্যমে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর জন্য বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেটসহ বিভিন্ন রায়ট ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করতেন। অভিযোগ উঠেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় শেখ হাবীবের স্টকে থাকা ভেস্ট, হেলমেট ও গোলাবারুদ সরকার দলীয় কর্মীদের হাতে তুলে দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আন্দোলনে আহতরা ইতোমধ্যে বিচারের দাবি তুলেছেন।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, এই কালোটাকার মালিকরাই এখন দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। ইতোমধ্যেই নিক্সন-হাবীব চক্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। সেই সঙ্গে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন একাধিক ভুক্তভোগী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন