ঢাকা ০২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথমবারের মতো আধুনিক অস্ত্র পেতে যাচ্ছে ডিএনসি:

রনি মজুমদার
রনি মজুমদার
  • আপলোড সময় : ০৬:২৯:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩১৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান এখন আরও শক্তিশালী ও সুরক্ষিত হতে যাচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)-এর মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রথমবারের মতো আধুনিক ৯ মিমি আধা-স্বয়ংক্রিয় পিস্তল ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিএনসি-র ৫৭৯ জন কর্মকর্তা সরাসরি অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছেন। সংশ্লিষ্ট গেজেট (নং ৫১৯১, তারিখঃ ২১ এপ্রিল ২০২৫)-এ ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (কর্মকর্তা-কর্মচারী) অস্ত্র সংগ্রহ ও ব্যবহার নীতি (সংশোধিত), ২০২৫’ অনুমোদনের কথা জানানো হয়।

নতুনভাবে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন:

উপপরিচালক – ৯০ জন

সহকারী পরিচালক – ৯৩ জন

পরিদর্শক – ১৮৬ জন

উপ-পরিদর্শক – ২১০ জন

ডিএনসি’র মোট জনবল ৩০৫৯ জন, যার মধ্যে প্রায় ১৮০৬ জন সরাসরি মাদকবিরোধী অভিযানে নিয়োজিত।

সারদাহে ৩৫ দিনের প্রশিক্ষণ

অস্ত্র ব্যবহারে দক্ষতা অর্জনের জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি করে ৮০ জনের দল আগামীদিনে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, সারদাহ-তে পাঠানো হবে। সেখানে ৩৫ দিনের প্রশিক্ষণে আধুনিক অস্ত্র চালনা, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

নতুন যুগের রূপকার মহাপরিচালক মোঃ হাসান মারুফ

ডিএনসি’র মহাপরিচালক মোঃ হাসান মারুফ বলেন,

> “মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। এই যুদ্ধে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের নিরাপত্তা না থাকলে সফলতা ধরে রাখা যাবে না। অস্ত্র ব্যবহারের এই অনুমতি আমাদের জন্য নতুন দিগন্ত।”

মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা থেকে উঠে এসেছে বাস্তবতা

ডিএনসি দক্ষিণ কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মানজুরুল ইসলাম বলেন,

> “অভিযানের সময় প্রায়ই অস্ত্রধারী চক্রের মুখোমুখি হই। এখন আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রশিক্ষণ ও শৃঙ্খলা মেনে কাজ করছি যাতে অস্ত্রের কোনো অপব্যবহার না হয়।”

নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির ব্যবস্থা

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা একাধিক যাচাই-বাছাইয়ের পরই অস্ত্র গ্রহণ করতে পারবেন। নির্দিষ্ট গাইডলাইনের অধীনে অস্ত্রের সংরক্ষণ ও ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি তদারকি কমিটিও গঠিত হয়েছে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অভিযান

ডিএনসি’র তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে অভিযান চলাকালে ২ জন কর্মকর্তা নিহত এবং ১২৪ জন আহত হয়েছেন। জেনেভা ক্যাম্প, ডেমরার চাঁপড়া বস্তি, কক্সবাজারের পাহাড়ি অঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অভিযান পরিচালনায় জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েন কর্মকর্তারা।

প্রত্যাশিত ফলাফল

কর্মকর্তাদের সুরক্ষা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি

অভিযান আরও সুশৃঙ্খল ও কার্যকর

জনগণের আস্থা অর্জন

প্রশাসনের ইতিবাচক ভাবমূর্তি

শেষ কথা

সরকারের এ সিদ্ধান্ত শুধু একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়—এটি মাদকবিরোধী অভিযানের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রথমবারের মতো আধুনিক অস্ত্র পেতে যাচ্ছে ডিএনসি:

আপলোড সময় : ০৬:২৯:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান এখন আরও শক্তিশালী ও সুরক্ষিত হতে যাচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)-এর মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রথমবারের মতো আধুনিক ৯ মিমি আধা-স্বয়ংক্রিয় পিস্তল ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিএনসি-র ৫৭৯ জন কর্মকর্তা সরাসরি অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছেন। সংশ্লিষ্ট গেজেট (নং ৫১৯১, তারিখঃ ২১ এপ্রিল ২০২৫)-এ ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (কর্মকর্তা-কর্মচারী) অস্ত্র সংগ্রহ ও ব্যবহার নীতি (সংশোধিত), ২০২৫’ অনুমোদনের কথা জানানো হয়।

নতুনভাবে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন:

উপপরিচালক – ৯০ জন

সহকারী পরিচালক – ৯৩ জন

পরিদর্শক – ১৮৬ জন

উপ-পরিদর্শক – ২১০ জন

ডিএনসি’র মোট জনবল ৩০৫৯ জন, যার মধ্যে প্রায় ১৮০৬ জন সরাসরি মাদকবিরোধী অভিযানে নিয়োজিত।

সারদাহে ৩৫ দিনের প্রশিক্ষণ

অস্ত্র ব্যবহারে দক্ষতা অর্জনের জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি করে ৮০ জনের দল আগামীদিনে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, সারদাহ-তে পাঠানো হবে। সেখানে ৩৫ দিনের প্রশিক্ষণে আধুনিক অস্ত্র চালনা, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

নতুন যুগের রূপকার মহাপরিচালক মোঃ হাসান মারুফ

ডিএনসি’র মহাপরিচালক মোঃ হাসান মারুফ বলেন,

> “মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। এই যুদ্ধে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের নিরাপত্তা না থাকলে সফলতা ধরে রাখা যাবে না। অস্ত্র ব্যবহারের এই অনুমতি আমাদের জন্য নতুন দিগন্ত।”

মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা থেকে উঠে এসেছে বাস্তবতা

ডিএনসি দক্ষিণ কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মানজুরুল ইসলাম বলেন,

> “অভিযানের সময় প্রায়ই অস্ত্রধারী চক্রের মুখোমুখি হই। এখন আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রশিক্ষণ ও শৃঙ্খলা মেনে কাজ করছি যাতে অস্ত্রের কোনো অপব্যবহার না হয়।”

নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির ব্যবস্থা

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা একাধিক যাচাই-বাছাইয়ের পরই অস্ত্র গ্রহণ করতে পারবেন। নির্দিষ্ট গাইডলাইনের অধীনে অস্ত্রের সংরক্ষণ ও ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি তদারকি কমিটিও গঠিত হয়েছে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অভিযান

ডিএনসি’র তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে অভিযান চলাকালে ২ জন কর্মকর্তা নিহত এবং ১২৪ জন আহত হয়েছেন। জেনেভা ক্যাম্প, ডেমরার চাঁপড়া বস্তি, কক্সবাজারের পাহাড়ি অঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অভিযান পরিচালনায় জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েন কর্মকর্তারা।

প্রত্যাশিত ফলাফল

কর্মকর্তাদের সুরক্ষা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি

অভিযান আরও সুশৃঙ্খল ও কার্যকর

জনগণের আস্থা অর্জন

প্রশাসনের ইতিবাচক ভাবমূর্তি

শেষ কথা

সরকারের এ সিদ্ধান্ত শুধু একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়—এটি মাদকবিরোধী অভিযানের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন