ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেমডম সেশনের নামে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি: বসুন্ধরা থেকে দুই নারী গ্রেফতার

রনি মজুমদার
রনি মজুমদার
  • আপলোড সময় : ১০:২৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / ৪৫৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা: রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ‘ফেমডম সেশন’-এর নামে শারীরিক নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি প্রচারের অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—শিখা আক্তার (২৫) ও সুইটি আক্তার জারা (২৫)।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ৩টার দিকে বসুন্ধরার জি-ব্লকের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানের সময় বিকৃত যৌন কাজে ব্যবহৃত একটি চাবুক, বিশেষ পোশাক, হাই হিল বুট জুতা এবং কয়েকটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

ভাটারা থানা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মো. আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ২৯ এপ্রিল ফেসবুকে একটি প্রোফাইল দেখতে পান, যেখানে পুরুষদের উলঙ্গ করে নির্যাতনের ভিডিও প্রচার করা হচ্ছিল। সেই প্রোফাইলের মাধ্যমে আব্দুল্লাহ শিখা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৫০০ টাকা পাঠান। এরপর ৩০ এপ্রিল তাকে বসুন্ধরার একটি বাসায় যেতে বলা হয়। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান, শিখা ও সুইটি আক্তারসহ আরও কয়েকজন এক পুরুষকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করছেন এবং তা মোবাইলে ধারণ করছেন।

এই ঘটনায় আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে দুই নারীকে গ্রেফতার করে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত নারীরা নিজেদের “মিসট্রেস” পরিচয় দিয়ে অর্থের বিনিময়ে পুরুষদের ‘ফেমডম সেশন’-এর নামে নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করতেন এবং তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেন।

পুলিশ বলছে, এটি একটি সুপরিকল্পিত প্রতারণা ও পর্নোগ্রাফি চক্র, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় তদন্ত করা হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ফেমডম সেশনের নামে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি: বসুন্ধরা থেকে দুই নারী গ্রেফতার

আপলোড সময় : ১০:২৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

ঢাকা: রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ‘ফেমডম সেশন’-এর নামে শারীরিক নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি প্রচারের অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—শিখা আক্তার (২৫) ও সুইটি আক্তার জারা (২৫)।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ৩টার দিকে বসুন্ধরার জি-ব্লকের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানের সময় বিকৃত যৌন কাজে ব্যবহৃত একটি চাবুক, বিশেষ পোশাক, হাই হিল বুট জুতা এবং কয়েকটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

ভাটারা থানা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মো. আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ২৯ এপ্রিল ফেসবুকে একটি প্রোফাইল দেখতে পান, যেখানে পুরুষদের উলঙ্গ করে নির্যাতনের ভিডিও প্রচার করা হচ্ছিল। সেই প্রোফাইলের মাধ্যমে আব্দুল্লাহ শিখা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৫০০ টাকা পাঠান। এরপর ৩০ এপ্রিল তাকে বসুন্ধরার একটি বাসায় যেতে বলা হয়। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান, শিখা ও সুইটি আক্তারসহ আরও কয়েকজন এক পুরুষকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করছেন এবং তা মোবাইলে ধারণ করছেন।

এই ঘটনায় আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে দুই নারীকে গ্রেফতার করে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত নারীরা নিজেদের “মিসট্রেস” পরিচয় দিয়ে অর্থের বিনিময়ে পুরুষদের ‘ফেমডম সেশন’-এর নামে নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করতেন এবং তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেন।

পুলিশ বলছে, এটি একটি সুপরিকল্পিত প্রতারণা ও পর্নোগ্রাফি চক্র, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় তদন্ত করা হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন