ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জবির সাংবাদিকতা বিভাগের আনন্দ ভ্রমণ

রাকিবুল হাসান রাকিব (ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)
রাকিবুল হাসান রাকিব (ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)
  • আপলোড সময় : ০৫:২২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে

উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।বিভাগের সকলের অংশগ্রহণে আনন্দ ভ্রমণ পরিণত হয় এক মিলন মেলায়। অনেকদিন পর এত সুন্দর আয়োজনে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩ মে) জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও কেরানীগঞ্জের শরীফ ফুড কোর্ট এন্ড ড্রিম পার্কে এই আনন্দ ভ্রমণে আয়োজন করা হয়।

আনন্দ ভ্রমণ উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকেই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে একে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়। সকাল ১০টায় নাস্তা শেষে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে সবাই। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ভ্রমণ ও গ্রুপ ফটো সেশন শেষে বাকি আয়োজনগুলো অনুষ্ঠিত হয় শরীফ ফুড কোর্ট এন্ড ড্রিম পার্কে। সুইমিং, মধ্যাহ্নভোজ, পার্কের চারটি রাইড ও খেলাধুলা শেষে সকলে অংশ নেয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায়। গানে-কবিতায় মুখরিত সময় পার করার পর র্যাফেল ড্র শেষে সকলে পুনরায় ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনেকদিন পর এমন আয়োজন উপভোগ করেছে সবাই। আয়োজন শেষে নতুন উদ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম আরও সুন্দরভাবে শুরু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে তারা।

বিভাগের শিক্ষার্থী তাসমিয়া আমিন মালিহা বলেন, পিকনিকের শুরুটা তপ্ত রোদে হাঁসফাঁস করা জবির নির্মাণাধীন দ্বিতীয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন দিয়ে শুরু হলেও মাঝের পরিবেশ শীতল করা ঝুম বৃষ্টি তে রিসোর্ট এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য আর ভরপেট ভোজ এ ভেতো বাঙালি পরিচয়ে জার্নালিজম এর শিক্ষার্থীরা খুবই উপভোগ করে। তারা প্রত্যেকে মশগুল ছিলো রাইড, সুইমিং পুল বিভাগের আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আর টানটান উত্তজনায় ভরপুর র্যাফেল ড্র এবং খেলাধুলায়।

আরেক শিক্ষার্থী তাইফুর আহমেদ সিয়াম বলেন, পিকনিকটি অসাধারণ ছিল।
সবার সাথে এতো সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটাতে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বড় ভাই আপুরা এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা আমাদের জন্য যেসব মজার মজার গেমস আয়োজন করেছিলেন, সেটা সত্যিই অনন্য ছিল। সব মিলিয়ে দিনটা ভোলার নয়।

আনন্দ ভ্রমণ কমিটির আহ্বায়ক ও বিভাগের শিক্ষক মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, “সবার আন্তরিক অংশগ্রহণে আনন্দ ভ্রমণটি হয়ে উঠেছে স্মরণীয়। তবে আমরা গভীরভাবে মিস করেছি সেইসব প্রিয় মুখ, যারা বিভিন্ন কারণে অংশ নিতে পারেননি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জবির সাংবাদিকতা বিভাগের আনন্দ ভ্রমণ

আপলোড সময় : ০৫:২২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।বিভাগের সকলের অংশগ্রহণে আনন্দ ভ্রমণ পরিণত হয় এক মিলন মেলায়। অনেকদিন পর এত সুন্দর আয়োজনে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩ মে) জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও কেরানীগঞ্জের শরীফ ফুড কোর্ট এন্ড ড্রিম পার্কে এই আনন্দ ভ্রমণে আয়োজন করা হয়।

আনন্দ ভ্রমণ উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকেই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে একে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়। সকাল ১০টায় নাস্তা শেষে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে সবাই। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ভ্রমণ ও গ্রুপ ফটো সেশন শেষে বাকি আয়োজনগুলো অনুষ্ঠিত হয় শরীফ ফুড কোর্ট এন্ড ড্রিম পার্কে। সুইমিং, মধ্যাহ্নভোজ, পার্কের চারটি রাইড ও খেলাধুলা শেষে সকলে অংশ নেয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায়। গানে-কবিতায় মুখরিত সময় পার করার পর র্যাফেল ড্র শেষে সকলে পুনরায় ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনেকদিন পর এমন আয়োজন উপভোগ করেছে সবাই। আয়োজন শেষে নতুন উদ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম আরও সুন্দরভাবে শুরু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে তারা।

বিভাগের শিক্ষার্থী তাসমিয়া আমিন মালিহা বলেন, পিকনিকের শুরুটা তপ্ত রোদে হাঁসফাঁস করা জবির নির্মাণাধীন দ্বিতীয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন দিয়ে শুরু হলেও মাঝের পরিবেশ শীতল করা ঝুম বৃষ্টি তে রিসোর্ট এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য আর ভরপেট ভোজ এ ভেতো বাঙালি পরিচয়ে জার্নালিজম এর শিক্ষার্থীরা খুবই উপভোগ করে। তারা প্রত্যেকে মশগুল ছিলো রাইড, সুইমিং পুল বিভাগের আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আর টানটান উত্তজনায় ভরপুর র্যাফেল ড্র এবং খেলাধুলায়।

আরেক শিক্ষার্থী তাইফুর আহমেদ সিয়াম বলেন, পিকনিকটি অসাধারণ ছিল।
সবার সাথে এতো সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটাতে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বড় ভাই আপুরা এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা আমাদের জন্য যেসব মজার মজার গেমস আয়োজন করেছিলেন, সেটা সত্যিই অনন্য ছিল। সব মিলিয়ে দিনটা ভোলার নয়।

আনন্দ ভ্রমণ কমিটির আহ্বায়ক ও বিভাগের শিক্ষক মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, “সবার আন্তরিক অংশগ্রহণে আনন্দ ভ্রমণটি হয়ে উঠেছে স্মরণীয়। তবে আমরা গভীরভাবে মিস করেছি সেইসব প্রিয় মুখ, যারা বিভিন্ন কারণে অংশ নিতে পারেননি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন