ঢাকা ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনুস — বর্তমান বাংলাদেশের জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত সরকারের প্রতীক

আবু আজওয়াদ আহমাদ হাশেমী
আবু আজওয়াদ আহমাদ হাশেমী
  • আপলোড সময় : ১২:৩৭:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০২৩-২৪ সালের জনপ্রশাসনিক ও রাজনৈতিক রূপান্তর একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, কর্তৃত্ববাদী শাসন ও নির্বাচনবিমুখতা থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পেতে চেয়েছিল একটি নিরপেক্ষ, জনগণের ম্যান্ডেটভিত্তিক সরকার গঠনের মাধ্যমে। এই প্রেক্ষাপটেই ড. মুহাম্মাদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা গণমানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন লাভ করে।

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস: একজন গ্রহণযোগ্য জাতীয় ব্যক্তিত্ব:
ড. মুহাম্মাদ ইউনুস কেবল একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদই নন, বরং একজন নৈতিক সাহস, আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ও মানবিক নেতৃত্বের প্রতীক। তার মাইক্রোক্রেডিট ধারণা সারাবিশ্বে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যবহৃত হয়েছে, যা তাকে বিশ্বজুড়ে মর্যাদা এনে দিয়েছে। তাই তাকে বাংলাদেশের জনগণ রাজনৈতিক পক্ষপাতবিহীন একজন উপদেষ্টা হিসেবে গ্রহণ করে।

বর্তমান সরকারের বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতা:
বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে ড. ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয় একটি সর্বদলীয় জন-উদ্যোগ ও জনগণের প্রত্যক্ষ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, নাগরিক সমাজ, ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলসমূহ একমত হয় যে, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বের জন্য ড. ইউনুসই আদর্শ ব্যক্তি। ফলে, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় যার নেতৃত্বে তিনি আছেন। এই সরকারই বর্তমানে দেশের প্রশাসন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য কাজ করে চলেছে।

এখানে উল্লেখযোগ্য যে, ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সরকার গঠনের জন্য কোনো অবৈধ ক্ষমতা দখল, সামরিক হস্তক্ষেপ বা চক্রান্তমূলক উপায়ে ক্ষমতায় আসা হয়নি। এটি সম্পূর্ণরূপে দেশের জনগণের দাবির ভিত্তিতে, একটি গণতান্ত্রিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে গঠিত হয়েছে।

সমালোচনার জবাব:
ড. ইউনুসকে কেউ কেউ “অনির্বাচিত” বা “গোপনে ক্ষমতা দখলকারী” বলে আখ্যা দিতে চেয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তিনি জনগণের সরাসরি সমর্থন ও জাতীয় ঐক্যমতের প্রতিফলন হিসেবেই এই দায়িত্বে আসীন হয়েছেন। যারা তাঁকে “অনির্বাচিত” বলেন, তারা হয়ত সেই স্বৈরাচারী গোষ্ঠীর দালাল, যারা অতীতে দেশের গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

এই অপপ্রচারের পিছনে স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে, যারা চায় না বাংলাদেশ একটি উদার গণতান্ত্রিক পথে অগ্রসর হোক।

উপসংহার:
ড. মুহাম্মাদ ইউনুস বর্তমান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে গণমানুষের চেতনা ও অভিপ্রায়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাকে “অনির্বাচিত” বলা মানে বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম মতামতকে অবজ্ঞা করা। একমাত্র সেই সব স্বৈরাচারী ও তাদের দালালরাই তাকে অস্বীকার করতে পারে, যারা জনগণের মতকে কখনোই শ্রদ্ধা করে না। আজকের সরকার জনগণনির্ভর, স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত — আর ড. ইউনুস সেই নেতৃত্বের কেন্দ্রবিন্দু।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনুস — বর্তমান বাংলাদেশের জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত সরকারের প্রতীক

আপলোড সময় : ১২:৩৭:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০২৩-২৪ সালের জনপ্রশাসনিক ও রাজনৈতিক রূপান্তর একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, কর্তৃত্ববাদী শাসন ও নির্বাচনবিমুখতা থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পেতে চেয়েছিল একটি নিরপেক্ষ, জনগণের ম্যান্ডেটভিত্তিক সরকার গঠনের মাধ্যমে। এই প্রেক্ষাপটেই ড. মুহাম্মাদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা গণমানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন লাভ করে।

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস: একজন গ্রহণযোগ্য জাতীয় ব্যক্তিত্ব:
ড. মুহাম্মাদ ইউনুস কেবল একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদই নন, বরং একজন নৈতিক সাহস, আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ও মানবিক নেতৃত্বের প্রতীক। তার মাইক্রোক্রেডিট ধারণা সারাবিশ্বে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যবহৃত হয়েছে, যা তাকে বিশ্বজুড়ে মর্যাদা এনে দিয়েছে। তাই তাকে বাংলাদেশের জনগণ রাজনৈতিক পক্ষপাতবিহীন একজন উপদেষ্টা হিসেবে গ্রহণ করে।

বর্তমান সরকারের বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতা:
বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে ড. ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয় একটি সর্বদলীয় জন-উদ্যোগ ও জনগণের প্রত্যক্ষ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, নাগরিক সমাজ, ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলসমূহ একমত হয় যে, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বের জন্য ড. ইউনুসই আদর্শ ব্যক্তি। ফলে, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় যার নেতৃত্বে তিনি আছেন। এই সরকারই বর্তমানে দেশের প্রশাসন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য কাজ করে চলেছে।

এখানে উল্লেখযোগ্য যে, ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সরকার গঠনের জন্য কোনো অবৈধ ক্ষমতা দখল, সামরিক হস্তক্ষেপ বা চক্রান্তমূলক উপায়ে ক্ষমতায় আসা হয়নি। এটি সম্পূর্ণরূপে দেশের জনগণের দাবির ভিত্তিতে, একটি গণতান্ত্রিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে গঠিত হয়েছে।

সমালোচনার জবাব:
ড. ইউনুসকে কেউ কেউ “অনির্বাচিত” বা “গোপনে ক্ষমতা দখলকারী” বলে আখ্যা দিতে চেয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তিনি জনগণের সরাসরি সমর্থন ও জাতীয় ঐক্যমতের প্রতিফলন হিসেবেই এই দায়িত্বে আসীন হয়েছেন। যারা তাঁকে “অনির্বাচিত” বলেন, তারা হয়ত সেই স্বৈরাচারী গোষ্ঠীর দালাল, যারা অতীতে দেশের গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

এই অপপ্রচারের পিছনে স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে, যারা চায় না বাংলাদেশ একটি উদার গণতান্ত্রিক পথে অগ্রসর হোক।

উপসংহার:
ড. মুহাম্মাদ ইউনুস বর্তমান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে গণমানুষের চেতনা ও অভিপ্রায়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাকে “অনির্বাচিত” বলা মানে বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম মতামতকে অবজ্ঞা করা। একমাত্র সেই সব স্বৈরাচারী ও তাদের দালালরাই তাকে অস্বীকার করতে পারে, যারা জনগণের মতকে কখনোই শ্রদ্ধা করে না। আজকের সরকার জনগণনির্ভর, স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত — আর ড. ইউনুস সেই নেতৃত্বের কেন্দ্রবিন্দু।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন