ঢাকা ০৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি ব্যাংকের চাকরিজীবী থেকে শতকোটি টাকার মালিক আবু তাহেরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

রনি মজুমদার
রনি মজুমদার
  • আপলোড সময় : ১১:২০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে

মাসিক বেতনভোগী একজন সাধারণ ব্যাংক কর্মকর্তা কীভাবে মাত্র এক দশকে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠলেন? এই প্রশ্ন এখন নারায়ণগঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আবু তাহের । তার বিরুদ্ধে জমি ব্যবসা, অবৈধ সম্পদ অর্জন, স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে থাকাকালিন আবু তাহের গোপনে জমির ব্যবসা শুরু করেন। নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ধীরে ধীরে সেই ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে একাধিক জেলায়। বর্তমানে তার মালিকানায় রয়েছে বহু বিঘা জমি, একাধিক ফ্ল্যাট, প্রাইভেট স্কুল, বিলাসবহুল গাড়ি, এমনকি নানা এলাকায় গোপন বিভিন্য প্রজেক্টে বিনিয়োগ।

সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯ অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তা অনুমতি ছাড়া ব্যবসা করতে পারে না। অথচ আবু তাহের বছরের পর বছর এ আইন লঙ্ঘন করে গেছেন নির্লজ্জভাবে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ৮-১০ বছর যাবত তিনি অবসরে গেলেও তিনি ব্যাংকে প্রভাব বিস্তার করে মোটা অঙ্কের লোন উঠাতে সহায়তা করে বাগিয়ে নেন মোটা অঙ্কের কমিশন এবং বিভিন্য প্রলোভনের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন। তিনি একটি গোপন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন যেখানে রয়েছে ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তি ।

যদিও আবু তাহের তার এই বিপুল সম্পদের কথা অস্বীকার করেন এবং গণমাধ্যমের সামনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে এলাকাবাসী, স্থানীয় শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, একজন সাধারণ ব্যাংক কর্মকর্তা যদি এত সম্পদের মালিক হতে পারেন? তবে তা দেশের জন্য ভয়াবহ বার্তা। এটি দুর্নীতির সরাসরি উদাহরণ ।

দুর্নীতিবিরোধী সংগঠনগুলো বলছে, এটা কেবল একটি ব্যক্তির দুর্নীতি নয়, বরং গোটা ব্যবস্থার ব্যর্থতা। দ্রুত তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে, এমন ঘটনা চলতেই থাকবে।

এই ঘটনা শুধু আবু তাহেরকে ঘিরেই নয়, বরং তা প্রশ্ন তোলে আমাদের প্রশাসনিক কাঠামোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে। এখন সময় চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন তোলার আর কতদিন চলবে এই লুটপাট।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সরকারি ব্যাংকের চাকরিজীবী থেকে শতকোটি টাকার মালিক আবু তাহেরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

আপলোড সময় : ১১:২০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

মাসিক বেতনভোগী একজন সাধারণ ব্যাংক কর্মকর্তা কীভাবে মাত্র এক দশকে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠলেন? এই প্রশ্ন এখন নারায়ণগঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আবু তাহের । তার বিরুদ্ধে জমি ব্যবসা, অবৈধ সম্পদ অর্জন, স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে থাকাকালিন আবু তাহের গোপনে জমির ব্যবসা শুরু করেন। নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ধীরে ধীরে সেই ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে একাধিক জেলায়। বর্তমানে তার মালিকানায় রয়েছে বহু বিঘা জমি, একাধিক ফ্ল্যাট, প্রাইভেট স্কুল, বিলাসবহুল গাড়ি, এমনকি নানা এলাকায় গোপন বিভিন্য প্রজেক্টে বিনিয়োগ।

সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯ অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তা অনুমতি ছাড়া ব্যবসা করতে পারে না। অথচ আবু তাহের বছরের পর বছর এ আইন লঙ্ঘন করে গেছেন নির্লজ্জভাবে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ৮-১০ বছর যাবত তিনি অবসরে গেলেও তিনি ব্যাংকে প্রভাব বিস্তার করে মোটা অঙ্কের লোন উঠাতে সহায়তা করে বাগিয়ে নেন মোটা অঙ্কের কমিশন এবং বিভিন্য প্রলোভনের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন। তিনি একটি গোপন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন যেখানে রয়েছে ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তি ।

যদিও আবু তাহের তার এই বিপুল সম্পদের কথা অস্বীকার করেন এবং গণমাধ্যমের সামনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে এলাকাবাসী, স্থানীয় শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, একজন সাধারণ ব্যাংক কর্মকর্তা যদি এত সম্পদের মালিক হতে পারেন? তবে তা দেশের জন্য ভয়াবহ বার্তা। এটি দুর্নীতির সরাসরি উদাহরণ ।

দুর্নীতিবিরোধী সংগঠনগুলো বলছে, এটা কেবল একটি ব্যক্তির দুর্নীতি নয়, বরং গোটা ব্যবস্থার ব্যর্থতা। দ্রুত তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে, এমন ঘটনা চলতেই থাকবে।

এই ঘটনা শুধু আবু তাহেরকে ঘিরেই নয়, বরং তা প্রশ্ন তোলে আমাদের প্রশাসনিক কাঠামোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে। এখন সময় চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন তোলার আর কতদিন চলবে এই লুটপাট।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন