সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত সোহেল মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন
- আপলোড সময় : ১২:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
- / ২৮৯ বার পড়া হয়েছে
সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত মো. এমদাদুল হক ওরফে সোহেল (৫১) হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। হামলায় তার মাথার খুলি ফেটে যায়। গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে তিনি একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। মো. এমদাদুল হক ওরফে সোহেল মিজমিজি বাতেনপাড়া, কালুহাজী রোড এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে। সোহেলের এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহত সোহেলের বোন রাজিয়া সুলতানা (৫৫) জানান, মিজমিজি বাতেনপাড়া কালুহাজী রোড এলাকায় তার বাড়ির সামনে আবুল হোসেন মিয়ার একটি অটো রিক্সার গ্যারেজ রয়েছে। ওই গ্যারেজে একই এলাকার আশিক মাহমুদ সোহেল(৩৫), মো. রাজু (৩২) মো. রুবেল (৩০), মো. সাজ্জাদ (৩০) জোবায়ের (২৯), জিহাদ (৩১) ও সাকিব (৩০) মাদকদ্রব্য বিক্রয় ও সেবন করিত। এর প্রতিবাদ করে মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দিলে এমদাদুল হক ওরফে সোহেল সাথে ওই মাদক সন্ত্রাসীদের বিরোধ হয়। এর জের ধরে গত আগষ্ট মাস বিকেলে অভিযুক্তরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫জন সন্ত্রসী নিয়ে দেশীয় তৈরী ধারালো দা, ছোরা, লাঠি, লোহার রড ও এসএস পাইপ নিয়ে রাজিয়া সুলতানার বাড়িতে গিয়ে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে সন্ত্রাসীরা তাদের এলোপাথারীভাবে মারধরে আহত করে। এ সময় তারা ডাক চিৎকার করলে রাজিয়া সুলতানার ভাই মো. এমদাদুল হক ওরফে সোহেল এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে গুরুতর আহত করে। এতে তার মাথায় গুরুতর জখম হয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা বাড়ির ভিতরে থাকা আলমারী ও ওয়ারড্রপ ভাঙ্গিয়া আলমারীর ভিতর থাকা নগদ ২লাখ ২৫ হাজার টাকা ও ২ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। তাদের ডাক চিৎকারে লেঅকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে সোহেলকে দ্রæত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। কয়েক দিন পরে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা তাদের আপোষ মিমাংসা করে দেয়। চিকিৎসা করলেও তার মাথায় আঘাতে ব্যাথা যন্ত্রনা বন্ধ হয়নি। সম্প্রতি অবস্থার অবনতি ঘটলে গত ২৭ জুন তাকে দ্রæত প্রো-একটিভ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার তার সিটি স্ক্যান করলে দেখতে পান মারামারির ঘটনায় মাথায় আঘাতের স্থান (খুলি) ফেটে যায়।
পরে ডাক্তার এমদাদুলের মাথায় অপারেশন করে মাথার খুলি মাথা থেকে আলাদা করে। সাভারের আশুলিয়ার পারমাণবিক শক্তি গবেষণাগার ইনস্টিটিউটে নিয়ে রাখা হয় মাথার খুলিটি। এমদাদ এখন প্রো-একটিভ হাসপাতালের লাইভ সাপোটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরছে। এ ঘটনায় যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে এখন মামলা করা হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুর আলম জানান, এমন কোন ঘটনা আমার জানা নেই, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।