ঢাকা ০৩:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল পদ্মা ডিপো আওয়ামী দোসরদের নিয়ন্ত্রণে, থেমে নেই তেল চুরি

মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৩:৫৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল পদ্মা ডিপো গত ১৭ বছর আওয়ামী সরকারের দোষর ও বৈষম্য বিরোধী একাধিক ছাত্র হত্যা মামলার পলাতক আসামীদের নিয়ন্ত্রনে। নারায়ণগঞ্জ মহানগড় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সালকে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দিয়ে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন মেহেদি, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ মাসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ প্রধান পদ্মা ডিপো ও এলাকা নিয়ন্ত্রনের চেষ্ঠা চালায়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়।
এরা তিনজন বর্তমানে গোদনাইল পদ্মা ডিপো ও এয়ারপোর্ট ডিপোর বিমানের(জেড ফুয়েল) তেল চুরির নিয়ন্ত্রণ করে। তারা একটি সেন্টিকেট করে ডিপো কর্মকর্তাদের যোগসাজসে বিমানের তেল প্রতি সপ্তাহে একেক জন একেক সপ্তাহে চুরি করে তাদের নিজস্ব পাম্পে আনলোড করে। বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন মেহেদী প্রতি সপ্তাহে এক লড়ী ৯ হাজার লিটার তেল যার মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা তার খামার বাড়ির সামনে ভান্ডারির পুলে অবস্থিত জীবনের বেড়ার ঘর ও মেহেদীর নিজ বাড়ীর সামনে একটি বেরার ঘড়ে আনলোড করে। সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ মাসুম প্রতি সপ্তাহে এক লরী ৯ হাজার লিটার তেল যার মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা তার পেট্রোল পাম্প আড়াইহাজর বাজারে অবস্থিত আলিফ লাম ফিলিং স্টেশনে এ আনলোড করে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ প্রধান প্রতি সপ্তাহে এক লরী ৯ হাজার লিটার তেল যার মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা তার পেট্রোল পাম্প মনোহরদী নরসিংদীতে অবস্থিত ওইখানে আনলোড করে। তারা কখনো কখনো তাদের তেল চুরির কৌশল পরিবর্তন করে, যদি কোনো কারনে তাদের নিজস্ব পেট্রোল পাম্পে চুরির তেল আনলোড করতে সমস্যাবোধ মনে করে তখন তারা ওই চুরির তেল রূপগঞ্জ গাজী সেতুর পাশে একটা বেড়ার ঘরে অথবা সিরাজ মন্ডলের মাস্টার ফিলিং স্টেশন ভুলতা গাউছিয়াতে বিক্রি করে। তাদের প্রত্যেকের নামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলা হওয়ার কারনে তারা প্রত্যেকে পলাতক থেকে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। এ তিন তেল চোর যেন এলাকায় থেকে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ও তারা তাদের বাড়ীতে নির্ভয়ে থাকতে পারে এই জন্য তারা বেচে নিয়েছে এক নতুন পথ, নারায়নগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সালকে হাত করে এবং তাকে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতির গোদনাইল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক’র পদ দিয়ে তারা তাদের তেল চুরির ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও বাসা বাড়ীতে থাকবে বলে ফয়সালের সাথে একাধিক বার বৈঠক করে চুক্তি করে। মেহেদী, মাসুম ও সাব্বির এই তিন তেল চোর প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ও নারী নিয়ে প্রতি রাতে বিভিন্ন স্থানে সু-কৌশলে আসর বসায়। গত ১৭ বছর আওয়ামী সরকারের আমলে পদ্মা ডিপোর ভিতরে-বাহিরে তাদের কথার বাহিরে কোন কাজ হতো না। তাদের বিরুদ্ধে কেহ কথা বললে তারা প্রশাসনের বিভিন্ন লোক দিয়ে হয়রানি করতো। গত ১৭ বছর ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের জাহিদ, আবুল, মনির, মুন্না ও কাজী উকিল তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে।
এ বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ মহানগড় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক ফয়সালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ মকিটিতে আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে। তাকে প্রশ্ন করা হলো যে আপনি কিভাবে আওয়ামীলীগের দোসরদের সাথে এই কমিটিতে রহিলেন, তিনি বলেন ঢাকা থেকে আমাকে রাখা হয়েছে, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন মেহেদির মোবাইলে ফোনে একাদিকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ মাসুম বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগড় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সালকে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পরে রাখে এ কমিটি করা হয়েছে। ভাই আমি এখন হাসপাতালে আপনার সাথে পরে কথা বলবো বলে লাইনটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ প্রধান বলেন, গত বছরের ৫ আগষ্টের পর থেকে আমি এলাকায় থাকিনা এ কমিটি সম্পকে আমি কিছু বলতে পারব না।
এ বিষয় জানতে চাইলে গোদনাইল পদ্মা অয়েল কম্পানির পরিচালক মো. শাকিল মাসুদ জানান, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখা নতুন কমিটির কোন কাগজ এখনো আমার অফিসে জমা দেওয়া হয়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল পদ্মা ডিপো আওয়ামী দোসরদের নিয়ন্ত্রণে, থেমে নেই তেল চুরি

আপলোড সময় : ০৩:৫৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল পদ্মা ডিপো গত ১৭ বছর আওয়ামী সরকারের দোষর ও বৈষম্য বিরোধী একাধিক ছাত্র হত্যা মামলার পলাতক আসামীদের নিয়ন্ত্রনে। নারায়ণগঞ্জ মহানগড় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সালকে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দিয়ে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন মেহেদি, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ মাসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ প্রধান পদ্মা ডিপো ও এলাকা নিয়ন্ত্রনের চেষ্ঠা চালায়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়।
এরা তিনজন বর্তমানে গোদনাইল পদ্মা ডিপো ও এয়ারপোর্ট ডিপোর বিমানের(জেড ফুয়েল) তেল চুরির নিয়ন্ত্রণ করে। তারা একটি সেন্টিকেট করে ডিপো কর্মকর্তাদের যোগসাজসে বিমানের তেল প্রতি সপ্তাহে একেক জন একেক সপ্তাহে চুরি করে তাদের নিজস্ব পাম্পে আনলোড করে। বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন মেহেদী প্রতি সপ্তাহে এক লড়ী ৯ হাজার লিটার তেল যার মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা তার খামার বাড়ির সামনে ভান্ডারির পুলে অবস্থিত জীবনের বেড়ার ঘর ও মেহেদীর নিজ বাড়ীর সামনে একটি বেরার ঘড়ে আনলোড করে। সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ মাসুম প্রতি সপ্তাহে এক লরী ৯ হাজার লিটার তেল যার মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা তার পেট্রোল পাম্প আড়াইহাজর বাজারে অবস্থিত আলিফ লাম ফিলিং স্টেশনে এ আনলোড করে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ প্রধান প্রতি সপ্তাহে এক লরী ৯ হাজার লিটার তেল যার মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা তার পেট্রোল পাম্প মনোহরদী নরসিংদীতে অবস্থিত ওইখানে আনলোড করে। তারা কখনো কখনো তাদের তেল চুরির কৌশল পরিবর্তন করে, যদি কোনো কারনে তাদের নিজস্ব পেট্রোল পাম্পে চুরির তেল আনলোড করতে সমস্যাবোধ মনে করে তখন তারা ওই চুরির তেল রূপগঞ্জ গাজী সেতুর পাশে একটা বেড়ার ঘরে অথবা সিরাজ মন্ডলের মাস্টার ফিলিং স্টেশন ভুলতা গাউছিয়াতে বিক্রি করে। তাদের প্রত্যেকের নামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলা হওয়ার কারনে তারা প্রত্যেকে পলাতক থেকে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। এ তিন তেল চোর যেন এলাকায় থেকে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ও তারা তাদের বাড়ীতে নির্ভয়ে থাকতে পারে এই জন্য তারা বেচে নিয়েছে এক নতুন পথ, নারায়নগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সালকে হাত করে এবং তাকে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতির গোদনাইল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক’র পদ দিয়ে তারা তাদের তেল চুরির ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও বাসা বাড়ীতে থাকবে বলে ফয়সালের সাথে একাধিক বার বৈঠক করে চুক্তি করে। মেহেদী, মাসুম ও সাব্বির এই তিন তেল চোর প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ও নারী নিয়ে প্রতি রাতে বিভিন্ন স্থানে সু-কৌশলে আসর বসায়। গত ১৭ বছর আওয়ামী সরকারের আমলে পদ্মা ডিপোর ভিতরে-বাহিরে তাদের কথার বাহিরে কোন কাজ হতো না। তাদের বিরুদ্ধে কেহ কথা বললে তারা প্রশাসনের বিভিন্ন লোক দিয়ে হয়রানি করতো। গত ১৭ বছর ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের জাহিদ, আবুল, মনির, মুন্না ও কাজী উকিল তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে।
এ বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ মহানগড় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক ফয়সালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ মকিটিতে আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে। তাকে প্রশ্ন করা হলো যে আপনি কিভাবে আওয়ামীলীগের দোসরদের সাথে এই কমিটিতে রহিলেন, তিনি বলেন ঢাকা থেকে আমাকে রাখা হয়েছে, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন মেহেদির মোবাইলে ফোনে একাদিকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ মাসুম বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগড় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সালকে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পরে রাখে এ কমিটি করা হয়েছে। ভাই আমি এখন হাসপাতালে আপনার সাথে পরে কথা বলবো বলে লাইনটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ প্রধান বলেন, গত বছরের ৫ আগষ্টের পর থেকে আমি এলাকায় থাকিনা এ কমিটি সম্পকে আমি কিছু বলতে পারব না।
এ বিষয় জানতে চাইলে গোদনাইল পদ্মা অয়েল কম্পানির পরিচালক মো. শাকিল মাসুদ জানান, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি গোদনাইল শাখা নতুন কমিটির কোন কাগজ এখনো আমার অফিসে জমা দেওয়া হয়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন