শেখ হাসিনার মতো স্বৈরশাসক নেতৃত্ব নয়, খালেদা জিয়ার মতো ত্যাগী নেতৃত্ব প্রয়োজন: গয়েশ্বর
- আপলোড সময় : ০৮:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩১৪ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, নারী নেতৃত্ব দেশের জন্য অপরিহার্য। তবে সেই নেতৃত্ব যেন শেখ হাসিনার মতো স্বৈরাচারী ও দমননীতির প্রতীক না হয়; বরং খালেদা জিয়ার মতো জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে গণতন্ত্রের জন্য নিবেদিত হতে হবে।
শনিবার বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির আয়োজনে তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, “নারী নেতৃত্ব মানে হওয়া উচিত মানবতার প্রতিচ্ছবি ও গণতন্ত্রের প্রতীক। কিন্তু শেখ হাসিনা নারী হয়েও দেশকে রক্তাক্ত করেছেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন এবং হাজারো পরিবারকে কাঁদিয়েছেন। এই ধরনের নেতৃত্ব জাতির জন্য অভিশাপ।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই নারীরা রাজনীতিতে আসুক ও নেতৃত্ব দিক। তবে সেই নেতৃত্ব হতে হবে জনগণের মুক্তির সংগ্রামে, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠায়—স্বৈরতন্ত্রের জন্য নয়।”
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, খালেদা জিয়া দেশের মানুষের জন্য আশা ও আস্থার নাম। তিনি নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেও গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন অবিচল। তাই দেশে প্রকৃত নারী নেতৃত্ব দরকার, যা জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেবে।
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এ ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত নয়। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন তারা বোঝে না, মানেও না। বিএনপি এ ধরনের ব্যবস্থার বিরোধী। জনগণ যেমন অতীতে আন্দোলন করেছে, তেমনি প্রয়োজনে ভোটের অধিকারের জন্য আবারও আন্দোলনে নামবে।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, “অধিকার ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় হলো আন্দোলন। খালেদা জিয়ার সংগ্রামী আদর্শ ধারণ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সাহস, ত্যাগ ও ঐক্যই পারে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরী। পরিচালনা করেন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজাদ্দেদ আলী বাবু। প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস।