নারায়ণগঞ্জ শ্রম অধিদপ্তর আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মিতালী মার্কেট দোকান মালিক সমিতির অবৈধ কমিটি দেয়ার পায়তারা
- আপলোড সময় : ১০:৪৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ২১০ বার পড়া হয়েছে
সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড়ে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম মিতালী মার্কেটের দোকান মালিক সমিতি গভ: রেজি: ১৬৯৮ এর নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়ার পায়তারা করছে নারায়ণগঞ্জ শ্রম অধিদপ্তর। গত কয়েকদিন আগে মিতালী মার্কেট এর অর্থ আত্মসাৎকারী, স্বৈরাচার হাসিনার দোসর ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী জামান ও কলার ফারুক গোপনে একটি কমিটি জমা দেয় নারায়ণগঞ্জ শ্রম অধিদপ্তরের করণিক আব্দুর রহিমের মাধ্যমে। এ সংবাদ মিতালী মার্কেটে ছড়িয়ে পরলে দেখা দেয় অসন্তোষ। মিতালী মার্কেটের দোকান মালিক ও সদস্য মঞ্জুরুল আলম, এমরান হোসেন ও বিল্লাল হোসেন সুমনের নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইয়াসমিন আক্তারের সাথে দেখা করে। তখন নারায়ণগঞ্জ শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইয়াসমিন আক্তার স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালা এবং মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনার বাহিরে গিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের কোন দোসরদের কমিটির অনুমোদন দিবে না কর্তৃপক্ষ।
মিতালী মাকের্ট দোকান মালিক ও সদস্য মঞ্জুরুল আলম অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে নারায়ণগঞ্জ শ্রম অধিদপ্তরের করনিক আব্দুর রহিম ও সহকারী শ্রম পরিচালক ইয়ামিনের যোগসাজশে মিতালী মার্কেট দোকানদার সমিতির গভ: রেজি: নং ১৬৯৮ এর একটি অবৈধ কমিটি অনুমোদনের পাঁয়তারা করছে। যদিও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ৩১৭(৪)(ঘ) ধারার বিধান এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দায়েরকৃত রীট পিটিশন নং ৭৩৭২/২০১১ এবং ৪৩১৬/২০১৪ এর ০৮/০৭/২০১৪ ইং তারিখের নির্দেশনা মোতাবেক রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নের তত্ত¡াবধানে কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একাধিক দোকান মালিক অভিযোগ করেন, তারা বারবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নারায়ণগঞ্জ শ্রম অধিদপ্তরে লিখিতভাবে আবেদন করার পরেও এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনের কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি। উল্টো মিতালী মার্কেট এর অর্থ আত্মসাৎকারী, স্বৈরাচার হাসিনার দোসর ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী জামান ও কলার ফারুকদের প্রতিষ্ঠিত করতে পাঁয়তারা করছে শ্রম অধিদপ্তর। এমন অপচেষ্টা প্রতিহত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। উক্ত অপচেষ্টার মূল হোতা নারায়ণগঞ্জ শ্রম অধিদপ্তরের কেরানি আব্দুর রহিম গত ৮ বছর আগে তার বদলী হয়েছিল চট্টগ্রাম শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সে সেখানে না গিয়ে সংযুক্তিতে নারায়ণগঞ্জ শ্রম দপ্তরে থেকে এই সকল অপকর্মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিত্তের মালিক বনে গিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ শ্রম অধিদপ্তরে করনিক আব্দুর রহিম বলেন, আপনি আগামীকাল আমাদের অফিসে আসেন, আমার কর্তৃপক্ষ আছে তাদের সাথে আলোচনা করে কথা বলব।
উক্ত বিষয়ে শ্রম অধিদপ্তরের মহা পরিচালক একেএম তরিকুল আলমের নিকট উক্ত অবৈধ কমিটি অনুমোদনের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ধরনের কোন বিষয় আমার জানা নেই। আর শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালা এবং মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনার বাহিরে গিয়ে কেউ কিছু করলে তার দায়-দায়িত্ব তাকে নিতে হবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখবো।