ঢাকা ১১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণখানে ‘ফাঁসি ফাঁসি খেলতে গিয়ে’ ফাঁস লেগে শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ০৮:০৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
  • / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর দক্ষিণখানে ফাঁসি ফাঁসি খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে মাসুরা আক্তার ওয়াকিয়া (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ বালুর মাঠ সংলগ্ন নজরুলের ভাড়া বাড়িতে আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওয়াকিয়া হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার লসিপুর গ্রামের আবুল ফজল ও লিজা আক্তার দম্পতির মেয়ে। সে বর্তমানে ওই বাসায় বাবা-মা ও ভাই-বোনের সঙ্গে থাকত। ওয়াকিয়া দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় ছিল।
ওয়াকিয়ার মা লিজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেড় বছর বয়সে দুই বার পানিতে পড়ে গিয়েছিল। তবু কিছুই হয়নি। এখন বড় হয়ে গেছে। তারপরও আল্লাহ নিয়ে নিছে।’
ওয়াকিয়ার বাবা আবুল ফজল বলেন, ‘আমি ভ্যানে করে প্লাস্টিকের মালামাল বিক্রি করি। প্রতি দিনের মতো সকালেও বের হয়েছিলাম। দুপুর ১২টার দিকে আশকোনা যাচ্ছিলাম। গাওয়াইর পর্যন্ত গিয়েছিলাম। তখন আমাকে ফোন করে জানানো হয়—আমার মাইয়্যা গলায় ফাঁস লটকাইছে।’
ফজল বলেন, ‘ছোট মেয়ে জাকিয়া ওর মাকে ওই সময় বলতেছিল- মা মা ওয়াকিয়া ফাঁসি ফাঁসি খেলতেছে। পরে ওর মা ঘরে গিয়ে দেখে গামছা দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লটকে ঝুলে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করত। এবার স্কুলেও ভর্তি করাইছিলাম।’ দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাইম বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে এসেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দক্ষিণখানে ‘ফাঁসি ফাঁসি খেলতে গিয়ে’ ফাঁস লেগে শিশুর মৃত্যু

আপলোড সময় : ০৮:০৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

রাজধানীর দক্ষিণখানে ফাঁসি ফাঁসি খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে মাসুরা আক্তার ওয়াকিয়া (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ বালুর মাঠ সংলগ্ন নজরুলের ভাড়া বাড়িতে আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওয়াকিয়া হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার লসিপুর গ্রামের আবুল ফজল ও লিজা আক্তার দম্পতির মেয়ে। সে বর্তমানে ওই বাসায় বাবা-মা ও ভাই-বোনের সঙ্গে থাকত। ওয়াকিয়া দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় ছিল।
ওয়াকিয়ার মা লিজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেড় বছর বয়সে দুই বার পানিতে পড়ে গিয়েছিল। তবু কিছুই হয়নি। এখন বড় হয়ে গেছে। তারপরও আল্লাহ নিয়ে নিছে।’
ওয়াকিয়ার বাবা আবুল ফজল বলেন, ‘আমি ভ্যানে করে প্লাস্টিকের মালামাল বিক্রি করি। প্রতি দিনের মতো সকালেও বের হয়েছিলাম। দুপুর ১২টার দিকে আশকোনা যাচ্ছিলাম। গাওয়াইর পর্যন্ত গিয়েছিলাম। তখন আমাকে ফোন করে জানানো হয়—আমার মাইয়্যা গলায় ফাঁস লটকাইছে।’
ফজল বলেন, ‘ছোট মেয়ে জাকিয়া ওর মাকে ওই সময় বলতেছিল- মা মা ওয়াকিয়া ফাঁসি ফাঁসি খেলতেছে। পরে ওর মা ঘরে গিয়ে দেখে গামছা দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লটকে ঝুলে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করত। এবার স্কুলেও ভর্তি করাইছিলাম।’ দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাইম বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে এসেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন