ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের শান্তিরক্ষীদের নিয়ে অ্যামনেস্টির আহ্বান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ০১:১৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যে আহ্বান জানিয়েছে তা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সিলেটের খাদিমনগর ইউনিয়নে অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে শুক্রবার (২৩ জুন) বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, তিন দশক ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদস্যদের পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ মিশনে যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী পাঠায় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী বিশেষ করে র‌্যাবের অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিবেচনায় নিলে বিষয়টি উদ্বেগের।
বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখাই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতির মূল উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, এসব তাদের (অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের) মনগড়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব কথা বলছে সংস্থাটি। তারা চায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী না গেলে আর্মির মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেবে।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী বাহিনীর যেসব সদস্যকে নেওয়া হয়, তা অনেক যাছাই-বাছাই করেই নেওয়া হয়। এটা বাংলাদেশ জানে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশ উন্নতি করে তাদের দাবিয়ে রাখতে কিছু দেশি-বিদেশি শক্তি কাজ করে। বাংলাদেশ বিদেশিদের কাছ থেকে অল্প টাকা নেয়। বিদেশিরা চায় বাংলাদেশ তাদের কাছে হাত পাতবে, সাহায্য নেবে। তাহলে তারা ইচ্ছেমতো বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে পারবে। সরকারের বিরুদ্ধে কারও অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু একটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা ঠিক নয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দেশের শান্তিরক্ষীদের নিয়ে অ্যামনেস্টির আহ্বান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপলোড সময় : ০১:১৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যে আহ্বান জানিয়েছে তা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সিলেটের খাদিমনগর ইউনিয়নে অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে শুক্রবার (২৩ জুন) বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, তিন দশক ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদস্যদের পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ মিশনে যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী পাঠায় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী বিশেষ করে র‌্যাবের অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিবেচনায় নিলে বিষয়টি উদ্বেগের।
বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখাই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতির মূল উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, এসব তাদের (অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের) মনগড়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব কথা বলছে সংস্থাটি। তারা চায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী না গেলে আর্মির মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেবে।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী বাহিনীর যেসব সদস্যকে নেওয়া হয়, তা অনেক যাছাই-বাছাই করেই নেওয়া হয়। এটা বাংলাদেশ জানে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশ উন্নতি করে তাদের দাবিয়ে রাখতে কিছু দেশি-বিদেশি শক্তি কাজ করে। বাংলাদেশ বিদেশিদের কাছ থেকে অল্প টাকা নেয়। বিদেশিরা চায় বাংলাদেশ তাদের কাছে হাত পাতবে, সাহায্য নেবে। তাহলে তারা ইচ্ছেমতো বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে পারবে। সরকারের বিরুদ্ধে কারও অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু একটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা ঠিক নয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন