ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, আটক ৫

মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৬:৩৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, আটক ৫। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে। এসময়ে পুলিশ সর্টগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।

আহতদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, যুবদল নেতা আজিজুল ইসলামের নাম জানা গেছে। এছাড়াও সংঘর্ষে ছোড়া ইটের আঘাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা আহত হয়েছেন। তিনি বুকে ও পায়ে আহত হয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকৎসা নিয়েছেন।
এসময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, জসিম ও ফারুকসহ ৫জনকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে শনিবার সকাল থেকে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা শিমরাইল ডাচ্বাংলা ব্যাংক এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। কিন্তু পুলিশের বাধায় তারা মহাসড়কে উঠতে পারেনি। ফলে পুলিশের ব্যারিকেডের মধ্যেই তারা সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দিতে থাকে।

এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ডাচবাংলা ব্যাংক এলাকায় তাদের লাঠিচার্জ করে। পাল্টা বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। উভয়ের মধ্যে বেধে যায় সংঘর্ষ ।
পরে পুলিশের সর্টগানের গুলির কাছে টিকতে না পেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ ছোড়া সর্টগানের গুলিতে বিএনপি’র ১০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
এক পর্যায়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানসহ নেতাকর্মীদের টেনে হেঁচড়ে ডিবি পুলিশ গাড়ি তুলে।

এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পালন করতে গেলে বাঁধা দেয় এবং নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে। এতে আমিসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ আমাদের মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, জসিম ও ফারুকসহ ৫জনকে আটক করে নিয়ে যায়।

মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এড. সাখাওয়াত হোসেন খানসহ গ্রেফতকিৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।

এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ) চাউলাউ মারমা জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিনা অনুমতিতে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ সেখানে যায়। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা তর্কাতকির এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। এতে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, আটক ৫

আপলোড সময় : ০৬:৩৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, আটক ৫। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে। এসময়ে পুলিশ সর্টগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।

আহতদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, যুবদল নেতা আজিজুল ইসলামের নাম জানা গেছে। এছাড়াও সংঘর্ষে ছোড়া ইটের আঘাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা আহত হয়েছেন। তিনি বুকে ও পায়ে আহত হয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকৎসা নিয়েছেন।
এসময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, জসিম ও ফারুকসহ ৫জনকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে শনিবার সকাল থেকে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা শিমরাইল ডাচ্বাংলা ব্যাংক এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। কিন্তু পুলিশের বাধায় তারা মহাসড়কে উঠতে পারেনি। ফলে পুলিশের ব্যারিকেডের মধ্যেই তারা সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দিতে থাকে।

এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ডাচবাংলা ব্যাংক এলাকায় তাদের লাঠিচার্জ করে। পাল্টা বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। উভয়ের মধ্যে বেধে যায় সংঘর্ষ ।
পরে পুলিশের সর্টগানের গুলির কাছে টিকতে না পেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ ছোড়া সর্টগানের গুলিতে বিএনপি’র ১০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
এক পর্যায়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানসহ নেতাকর্মীদের টেনে হেঁচড়ে ডিবি পুলিশ গাড়ি তুলে।

এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পালন করতে গেলে বাঁধা দেয় এবং নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে। এতে আমিসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ আমাদের মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, জসিম ও ফারুকসহ ৫জনকে আটক করে নিয়ে যায়।

মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এড. সাখাওয়াত হোসেন খানসহ গ্রেফতকিৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।

এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ) চাউলাউ মারমা জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিনা অনুমতিতে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ সেখানে যায়। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা তর্কাতকির এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। এতে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন