ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈশাখী ফোক লাইভে সুমি শবনম ও তিমির নন্দী

তন্ময় (নিজস্ব প্রতিবেদক)
তন্ময় (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৩:৪১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৈশাখী টিভি ফোক লাইভে অংশ নেবেন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী তিমির নন্দী ও লালন শিল্পী সুমি শবনম। ১১ আগস্ট রাত ৯টা ৩০ মিনিটে সরাসরি পারফর্ম করবেন এই গুণী দুই শিল্পী। আইনুন পুতুলের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন লিটু সোলায়মান। প্যানেল প্রযোজক মামুন আবদুল্লাহ ও রবিউল হাসান প্রধান।

তিমির নন্দী ও সুমি শবনম বলেন, আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা এখনো তিনি আমাদের গাইবার শক্তি দিয়েছেন। দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তাদের ভালো লাগা কিছু গান গাইব বৈশাখী টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান বৈশাখী ফোক অনুষ্ঠানে। থাকবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বেশ কয়েকটি গান। গানগুলো দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস। গানগুলো তাদের ভালো লাগলেই আমরা স্বার্থক।

প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী তিমির নন্দীর সঙ্গে পারফর্ম করা নিয়ে সুমি শবনম বলেন, এ আমার পরম পাওয়া, সে অনুভূতি বলে বোঝানো যাবেনা। দাদার সাথে গান গাইতে পারাটা ভাগ্যের ব্যাপার। ২০২২ এর জন্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার জরিপে ‘ভাল্লাগে’ গানটা চুড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে সুমীর। সে আলোচিত এই শিল্পীর বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজকের শক্ত অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

সুমীর জন্ম মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার মহেশপুর গ্রামে। গান করেন ছোট বেলা থেকেই। বাবা গান করতেন,বড় তিন ভাই এখনো গানের সাথে জড়িত। আমার গানের হাতেখড়ি মূলত তাদের কাছ থেকেই। এরপর ওস্তাদ রতন সরকার,শেখ জসিম, এবং অসিত কুমার মন্ডলের কাছে গানের তালিম নেন।

সুমী বলেন, আমার প্রথম এলবাম চশমা ‘কিনে দে’। মিল্টন খন্দকারের লেখা এবং সুরে বাজারে আসে ২০০১ সালে। তারপর মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান-এর লেখা আলি আকবর রূপু র সুর ও সংগীতে ‘দেহ যন্তর টেলিফোন’ নামে ইত্যাদি অনুষ্ঠানে গান করি। এরপরই সবাই সুমী শবনমকে চিনতে শুরু করে। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আমাকে। এগিয়ে গেছি দর্শকদের ভালোবাসা নিয়ে। এরপর দুটো লালনের এ্যালবাম করেছিলাম সংগীতার ব্যানারে। সাউন্ডটেকের ব্যানারেও আরো দুই এ্যালবাম বাজারে আসে।

প্রথম সিনেমাতে প্লেব্যাক পরিচালক এ টি এম সামসুজ্জামানের ইবাদত সিনেমায়। ,কথা কবির বকুল,সুর এবং সংগীত আলম খান । এরপর আলাইদ্দিন আলী থেকে শুরু করে অনেকের সুরেই সিনেমাতে প্লেব্যাক করি। তবে পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোলের ‘সত্তা’ ছবির কথা ভুলব না। মন্জুর এহসান চৌধুরীর কথায়, বাপ্পা মজুমদারের সুর এবং সংগীতে ‘তবু আবার ঘর বাঁধিলাম…’ গানটা ভীষণভাবে আলোচিত হয়।

একুশে টেলিভিশনের ‘ললিতা’ সিরিয়ালের টাইটেল সংটিও ছিল সবার মুখে মুখে। জুয়েল মাহমুদ-এর কথা এবং ফরিদ আহমেদের সুর এবং সংগীতে এ গানটি আমার ভালো রাগা একটি গান। এরপর দীর্ঘ বিরতির পর ‘ভাল্লাগে’ শিরোনামে গান নিয়ে ফিরে আসেন সুমী শবনম। তার ফিরে আসাটা নানা কারণেই তাকে আরো আলোচিত করেছে কারণ এই ‘ভাল্লাগে’ গানটিই মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারে চূড়ান্ত মনোয়ন পেয়েছে।

এরপর এই ভাল্লাগে গানের গীতিকার ও সুরকার আকরাম হোসেনের লেখা সজীব দাসের সংগীতে সুমী শবনমের আইলসা লাগে উড়া পাখি, মঙ্গল গ্রহে পলাইয়া যাই প্রকাশিত গানগুলো দারুণভাবে লুফে নিচ্ছে তাবত দর্শক। তারপর কুসংস্কার, তোয়ার লাইসহ আরো অনেক গান গেয়ে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন সুমী শবনম। নিজের স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে সুমী শবনম বলেন, আমি স্বপ্ন খুব একটা দেখিনা। শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বৈশাখী ফোক লাইভে সুমি শবনম ও তিমির নন্দী

আপলোড সময় : ০৩:৪১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৈশাখী টিভি ফোক লাইভে অংশ নেবেন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী তিমির নন্দী ও লালন শিল্পী সুমি শবনম। ১১ আগস্ট রাত ৯টা ৩০ মিনিটে সরাসরি পারফর্ম করবেন এই গুণী দুই শিল্পী। আইনুন পুতুলের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন লিটু সোলায়মান। প্যানেল প্রযোজক মামুন আবদুল্লাহ ও রবিউল হাসান প্রধান।

তিমির নন্দী ও সুমি শবনম বলেন, আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা এখনো তিনি আমাদের গাইবার শক্তি দিয়েছেন। দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তাদের ভালো লাগা কিছু গান গাইব বৈশাখী টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান বৈশাখী ফোক অনুষ্ঠানে। থাকবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বেশ কয়েকটি গান। গানগুলো দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস। গানগুলো তাদের ভালো লাগলেই আমরা স্বার্থক।

প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী তিমির নন্দীর সঙ্গে পারফর্ম করা নিয়ে সুমি শবনম বলেন, এ আমার পরম পাওয়া, সে অনুভূতি বলে বোঝানো যাবেনা। দাদার সাথে গান গাইতে পারাটা ভাগ্যের ব্যাপার। ২০২২ এর জন্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার জরিপে ‘ভাল্লাগে’ গানটা চুড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে সুমীর। সে আলোচিত এই শিল্পীর বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজকের শক্ত অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

সুমীর জন্ম মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার মহেশপুর গ্রামে। গান করেন ছোট বেলা থেকেই। বাবা গান করতেন,বড় তিন ভাই এখনো গানের সাথে জড়িত। আমার গানের হাতেখড়ি মূলত তাদের কাছ থেকেই। এরপর ওস্তাদ রতন সরকার,শেখ জসিম, এবং অসিত কুমার মন্ডলের কাছে গানের তালিম নেন।

সুমী বলেন, আমার প্রথম এলবাম চশমা ‘কিনে দে’। মিল্টন খন্দকারের লেখা এবং সুরে বাজারে আসে ২০০১ সালে। তারপর মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান-এর লেখা আলি আকবর রূপু র সুর ও সংগীতে ‘দেহ যন্তর টেলিফোন’ নামে ইত্যাদি অনুষ্ঠানে গান করি। এরপরই সবাই সুমী শবনমকে চিনতে শুরু করে। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আমাকে। এগিয়ে গেছি দর্শকদের ভালোবাসা নিয়ে। এরপর দুটো লালনের এ্যালবাম করেছিলাম সংগীতার ব্যানারে। সাউন্ডটেকের ব্যানারেও আরো দুই এ্যালবাম বাজারে আসে।

প্রথম সিনেমাতে প্লেব্যাক পরিচালক এ টি এম সামসুজ্জামানের ইবাদত সিনেমায়। ,কথা কবির বকুল,সুর এবং সংগীত আলম খান । এরপর আলাইদ্দিন আলী থেকে শুরু করে অনেকের সুরেই সিনেমাতে প্লেব্যাক করি। তবে পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোলের ‘সত্তা’ ছবির কথা ভুলব না। মন্জুর এহসান চৌধুরীর কথায়, বাপ্পা মজুমদারের সুর এবং সংগীতে ‘তবু আবার ঘর বাঁধিলাম…’ গানটা ভীষণভাবে আলোচিত হয়।

একুশে টেলিভিশনের ‘ললিতা’ সিরিয়ালের টাইটেল সংটিও ছিল সবার মুখে মুখে। জুয়েল মাহমুদ-এর কথা এবং ফরিদ আহমেদের সুর এবং সংগীতে এ গানটি আমার ভালো রাগা একটি গান। এরপর দীর্ঘ বিরতির পর ‘ভাল্লাগে’ শিরোনামে গান নিয়ে ফিরে আসেন সুমী শবনম। তার ফিরে আসাটা নানা কারণেই তাকে আরো আলোচিত করেছে কারণ এই ‘ভাল্লাগে’ গানটিই মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারে চূড়ান্ত মনোয়ন পেয়েছে।

এরপর এই ভাল্লাগে গানের গীতিকার ও সুরকার আকরাম হোসেনের লেখা সজীব দাসের সংগীতে সুমী শবনমের আইলসা লাগে উড়া পাখি, মঙ্গল গ্রহে পলাইয়া যাই প্রকাশিত গানগুলো দারুণভাবে লুফে নিচ্ছে তাবত দর্শক। তারপর কুসংস্কার, তোয়ার লাইসহ আরো অনেক গান গেয়ে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন সুমী শবনম। নিজের স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে সুমী শবনম বলেন, আমি স্বপ্ন খুব একটা দেখিনা। শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন