ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবিত মানুষের সাথে মৃত মানুষের প্রেম

মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না খান (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না খান (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ১০:০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে

জীবিত মানুষের সাথে মৃত মানুষের প্রেম! এই প্লট নিয়েই ডার্ক রোমান্টিক ফ্যান্টাসী জেনারে লেখা লেখক ফারহানা নিমগ্ন দুপুর’র বই দ্য ব্ল্যাক মুন প্রকাশিত হয়েছিলো ২০২২ সালের অমর একুশে বইমেলায়। বইটি পাঠক মহলে বেশ আলোড়ন তুলেছিলো। পাঠকের ব্যাপক ভালোবাসা এবং অনুরোধের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ এর বইমেলায় দ্য ব্ল্যাক মুন আসছে সিরিজ হিসেবে। অর্থ্যাৎ বইটি নিয়ে সিরিজ লেখা হবে। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র নির্ভান (যে একজন মৃত জনপ্রিয় রক মিউজিশিয়ান), নিভৃতা ( একজন ফেমাস ব্লগার, ইউটিউবার, ফটোগ্রাফার) শামির (বর্তমানের একজন ফেমাস মিউজিক ডিরেক্টর এবং মিউজিশান), নিমিষা, মুমু, জ্যাসের মত চরিত্ররা। বইটি মূলত একটা প্রশ্নের ওপর ভিত্তি করেই রচিত হয়েছে। প্রশ্নটা হলো, ভালোবাসা কি আধ্যত্মিক নাকি জাগতিক? পাঠক বিজ্ঞানের এই যুগে আপনারা কোন পক্ষ নেবেন? এই বিষয়ে লেখক ফারহানা নিমগ্ন দুপুর’র কাছে সাংবাদিক এম রহমান মেঘ জানতে চাইলে তিনি বলেন,

“দেখুন আমরা মানুষ শরীরের ভেতর বহন করে চলেছি রূহ নামক অতিপ্রাকৃত সত্তা। তাই বিজ্ঞানের এই যুগেও অতিপ্রাকৃত শক্তিকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আমরা মানুষ হলাম মহাজগতের একটা ক্ষুদ্র কণা। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কাছে এই কণা কর্তৃক আবিষ্কার নিতান্তই স্বল্প। আমাদের প্রশ্ন অসীম কিন্তু জবাব সীমিত। এই সীমার পরেই বিস্তৃত অজানা রয়েই যায়, আর এই অজানাই মূলত অতিপ্রাকৃত ৷ যা যুক্তি দিয়ে খন্ডানো কণার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়।”

এব্যাপারে সাংবাদিক ‘এম রহমান মেঘ’র দ্য ব্ল্যাক মুন সিরিজের ২য় পর্ব নিয়ে আধ্যাত্মবাদী লেখক ফারহানা নিমগ্ন দুপুর’র এর সাথে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

এমআরএম: দ্য ব্ল্যাক মুনের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন আপনাকে।
দুপুর: আন্তরিক ধন্যবাদ (হাসি)।

এমআরএম: দ্য ব্ল্যাক মুন সিরিজের ২য় পর্বের নাম কি হবে?
দুপুর: এটা আমি এখনি রিভিল করতে চাচ্ছিনা। সময় হলেই আপনারা আমার পেইজ এবং আইডি থেকে জেনে নিতে পারবেন।

এমআরএম: প্রথম পর্ব অর্থ্যাৎ দ্য ব্ল্যাক মুনের প্লট ছিলো একজন মৃত মানুষের সাথে জীবিত মানুষের প্রেম, ভালোবাসার আধ্যাত্মিক এবং জাগতিক ট্রান্সফরমেশনে ব্ল্যাক মুনের প্রভাব। এই বিষয়গুলোকে আপনি এমনভাবে গেঁথেছেন যে পড়তে গিয়ে পাঠক ভাবতে বাধ্য হচ্ছে এগুলো সবই সত্য। পাঠকের এই ভাবনা সম্পর্কে কি বলবেন?

দুপুর: (হাসি) দেখুন মানুষ তার মনোজগতে যা ভাবে এবং স্ট্রংলি বিলিভ করে সেটাই কিন্তু তার জীবনে ঘটে বা প্রভাব বিস্তার করে। সেক্ষেত্রে আমি বলবো, গল্পটার শুরুটা একেবারেই সত্য ছিলো। তাছাড়া দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে যার কোনো ব্যাখা চাইলেও দাঁড় করানো সম্ভব হয়না এবং করাতেও পারে না মানুষ। আর সেরকম ঘটনা যদি আপনার লেখায় ফুটে ওঠে তখন সেটা চিন্তার জগতকে প্রভাবিত করবেই স্বাভাবিক।

এমআরএম: বইয়ের উৎসর্গে লিখে ছিলেন, “যে আছো অথচ নেই কিন্তু থাকবে জীবনকাল।” এই মানুষটা সম্পর্কে জানতে চাই।

দুপুর: ওই যে, নেই কিন্তু আছে আর থাকবে চিরদিন। এটাই। (হাসি) এর বাইরে আসলে কিছুই বলার নেই।

এমআরএম: তাহলে আমরা ধরে নিচ্ছি আপনি মৃত কোনো মানুষের প্রেমে পড়েছেন?

দুপুর: মানুষ বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটা হলো তার অবয়ব। কিন্তু মানুষ মূলত রূহ। আর রূহের কখনো মৃত্য নেই। তাই কেনো রূহের প্রেমে পড়লে তার অবয়বকে জীবন্ত থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

এমআরএম: আশ করছি দ্য ব্ল্যাক মুনের প্রথম পর্বের মত ২য় পর্বটাও ধামাকা সৃষ্টি করবে।

দুপর: ধন্যবাদ। দোয়া রাখবেন।

এমআরএম: আপনার পাঠকদের উদ্দ্যেশে কিছু বলুন।

দুপুর: আমার পাঠকরাই মূলত আমার প্রাণ। তাদের ভালোবাসা এবং সাপোর্ট এর জন্যই লেখার অনুপ্রেরণা পাই। তাই তাদের উদ্দেশ্যে বলবো আপনারা আমাকে এভাবেই ভালোবাসায় সিক্ত রাখুন আমিও সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাদের হাতে ভালো লেখা তুলে দিতে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জীবিত মানুষের সাথে মৃত মানুষের প্রেম

আপলোড সময় : ১০:০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩

জীবিত মানুষের সাথে মৃত মানুষের প্রেম! এই প্লট নিয়েই ডার্ক রোমান্টিক ফ্যান্টাসী জেনারে লেখা লেখক ফারহানা নিমগ্ন দুপুর’র বই দ্য ব্ল্যাক মুন প্রকাশিত হয়েছিলো ২০২২ সালের অমর একুশে বইমেলায়। বইটি পাঠক মহলে বেশ আলোড়ন তুলেছিলো। পাঠকের ব্যাপক ভালোবাসা এবং অনুরোধের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ এর বইমেলায় দ্য ব্ল্যাক মুন আসছে সিরিজ হিসেবে। অর্থ্যাৎ বইটি নিয়ে সিরিজ লেখা হবে। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র নির্ভান (যে একজন মৃত জনপ্রিয় রক মিউজিশিয়ান), নিভৃতা ( একজন ফেমাস ব্লগার, ইউটিউবার, ফটোগ্রাফার) শামির (বর্তমানের একজন ফেমাস মিউজিক ডিরেক্টর এবং মিউজিশান), নিমিষা, মুমু, জ্যাসের মত চরিত্ররা। বইটি মূলত একটা প্রশ্নের ওপর ভিত্তি করেই রচিত হয়েছে। প্রশ্নটা হলো, ভালোবাসা কি আধ্যত্মিক নাকি জাগতিক? পাঠক বিজ্ঞানের এই যুগে আপনারা কোন পক্ষ নেবেন? এই বিষয়ে লেখক ফারহানা নিমগ্ন দুপুর’র কাছে সাংবাদিক এম রহমান মেঘ জানতে চাইলে তিনি বলেন,

“দেখুন আমরা মানুষ শরীরের ভেতর বহন করে চলেছি রূহ নামক অতিপ্রাকৃত সত্তা। তাই বিজ্ঞানের এই যুগেও অতিপ্রাকৃত শক্তিকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আমরা মানুষ হলাম মহাজগতের একটা ক্ষুদ্র কণা। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কাছে এই কণা কর্তৃক আবিষ্কার নিতান্তই স্বল্প। আমাদের প্রশ্ন অসীম কিন্তু জবাব সীমিত। এই সীমার পরেই বিস্তৃত অজানা রয়েই যায়, আর এই অজানাই মূলত অতিপ্রাকৃত ৷ যা যুক্তি দিয়ে খন্ডানো কণার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়।”

এব্যাপারে সাংবাদিক ‘এম রহমান মেঘ’র দ্য ব্ল্যাক মুন সিরিজের ২য় পর্ব নিয়ে আধ্যাত্মবাদী লেখক ফারহানা নিমগ্ন দুপুর’র এর সাথে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

এমআরএম: দ্য ব্ল্যাক মুনের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন আপনাকে।
দুপুর: আন্তরিক ধন্যবাদ (হাসি)।

এমআরএম: দ্য ব্ল্যাক মুন সিরিজের ২য় পর্বের নাম কি হবে?
দুপুর: এটা আমি এখনি রিভিল করতে চাচ্ছিনা। সময় হলেই আপনারা আমার পেইজ এবং আইডি থেকে জেনে নিতে পারবেন।

এমআরএম: প্রথম পর্ব অর্থ্যাৎ দ্য ব্ল্যাক মুনের প্লট ছিলো একজন মৃত মানুষের সাথে জীবিত মানুষের প্রেম, ভালোবাসার আধ্যাত্মিক এবং জাগতিক ট্রান্সফরমেশনে ব্ল্যাক মুনের প্রভাব। এই বিষয়গুলোকে আপনি এমনভাবে গেঁথেছেন যে পড়তে গিয়ে পাঠক ভাবতে বাধ্য হচ্ছে এগুলো সবই সত্য। পাঠকের এই ভাবনা সম্পর্কে কি বলবেন?

দুপুর: (হাসি) দেখুন মানুষ তার মনোজগতে যা ভাবে এবং স্ট্রংলি বিলিভ করে সেটাই কিন্তু তার জীবনে ঘটে বা প্রভাব বিস্তার করে। সেক্ষেত্রে আমি বলবো, গল্পটার শুরুটা একেবারেই সত্য ছিলো। তাছাড়া দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে যার কোনো ব্যাখা চাইলেও দাঁড় করানো সম্ভব হয়না এবং করাতেও পারে না মানুষ। আর সেরকম ঘটনা যদি আপনার লেখায় ফুটে ওঠে তখন সেটা চিন্তার জগতকে প্রভাবিত করবেই স্বাভাবিক।

এমআরএম: বইয়ের উৎসর্গে লিখে ছিলেন, “যে আছো অথচ নেই কিন্তু থাকবে জীবনকাল।” এই মানুষটা সম্পর্কে জানতে চাই।

দুপুর: ওই যে, নেই কিন্তু আছে আর থাকবে চিরদিন। এটাই। (হাসি) এর বাইরে আসলে কিছুই বলার নেই।

এমআরএম: তাহলে আমরা ধরে নিচ্ছি আপনি মৃত কোনো মানুষের প্রেমে পড়েছেন?

দুপুর: মানুষ বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটা হলো তার অবয়ব। কিন্তু মানুষ মূলত রূহ। আর রূহের কখনো মৃত্য নেই। তাই কেনো রূহের প্রেমে পড়লে তার অবয়বকে জীবন্ত থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

এমআরএম: আশ করছি দ্য ব্ল্যাক মুনের প্রথম পর্বের মত ২য় পর্বটাও ধামাকা সৃষ্টি করবে।

দুপর: ধন্যবাদ। দোয়া রাখবেন।

এমআরএম: আপনার পাঠকদের উদ্দ্যেশে কিছু বলুন।

দুপুর: আমার পাঠকরাই মূলত আমার প্রাণ। তাদের ভালোবাসা এবং সাপোর্ট এর জন্যই লেখার অনুপ্রেরণা পাই। তাই তাদের উদ্দেশ্যে বলবো আপনারা আমাকে এভাবেই ভালোবাসায় সিক্ত রাখুন আমিও সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাদের হাতে ভালো লেখা তুলে দিতে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন