ডেমরায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে যুবককে মারধর করে চাঁদা আদায়:গ্রেফতার ২
- আপলোড সময় : ১২:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
- / ৬৫৭ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর ডেমরায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে সংঘবদ্ধ একটি চক্র মো. বাদশা রহমান (২৯) নামে যুবককে জিম্মি দশায় রেখে বেধড়ক মারধর করে চাঁদা আদায় করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাদশা যুবতীসহ অভিযুক্ত ৪ জনের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে ডেমরা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় শনিবার সন্ধায় স্থানীয়দের হাতে আটক মো. সালাউদ্দিন (৩৫) ও মেহেদী হাসান (৩২) নামে ওই চক্রের দুই সদস্যকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে ডেমরা থানা পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে বিকালেই আদালত তাদের বিরুদ্ধে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় জড়িত ঝুমা (২২) নামের যুবতী ও রুবেল (২৪) পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেমরা থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন সুব্রত কুমার পোদ্দার। গ্রেফতার সালাউদ্দিন ডেমরার বামৈল ফ্যান ফ্যাক্টরীর গলি এলাকায় বসবাসরত বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার গাজীরচর গ্রামের মহসিন মালের ছেলে ও মেহেদি হাসান একই থানা এলাকার ঝালিরচর গ্রামের মৃত হালিম বেপারীর ছেলে।
বাদীর বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঝুমার সাথে বাদশার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাধে বাদশা গত ২৪ আগস্ট রাত ১০ টার দিকে বামৈল ফ্যান ফ্যাক্টরী গলি এলাকার ঝুমার কথা অনুযায়ী তার দেওয়া ঠিকানার বাড়িতে যায়। কিছুক্ষন পরেই সালাউদ্দিন, মেহেদী ও রুবেল ওই বাসায় প্রবেশ করে ঝুমাসহ ভুক্তভোগীর কাছে বিভিন্ন অযুহাতে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে কাঠের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
ওসি আরও বলেন, ওই রাতে বাদশা প্রানের ভয়ে গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে তার বড় ভাই আলিম উদ্দিনকে ফোন দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলে। গত ২৫ আগস্ট দুই দফায় ২০ হাজার টাকা বিকাশে দেওয়ার পরও চক্রটি বাদশার কাছে আরও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে যা দিতে রাজি হয়নি বাদশা। এ ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট শনিবার সন্ধায় অভিযুক্তরা বাসা থেকে বাদশাকে মারধর করে বাইরে নিয়ে আসলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা দুই জনকে আটক করে ৯৯৯ এ কল করেন।