নোয়াখালীতে মেয়াদোত্তীর্ণ আইভী স্যালাইন রোগীর শরীরে পুশ করার অভিযোগ
- আপলোড সময় : ০৯:০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
মেয়াদোত্তীর্ণ আইভী স্যালাইন রোগীর শরীরে পুশ করার অভিযোগে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স ও ওয়ার্ড ইনচার্জসহ দুজনকে শোকজ করা হয়েছে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম তাঁদের শোকজ করেন। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ আইভী স্যালাইন পুশ করার ঘটনায় রোগীদের শারীরে যেন কোনো সমস্যা তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকেরা তাঁদের পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
অভিযুক্ত দুজন হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড ইনচার্জ শাহিনুর বেগম (নার্স) ও স্টোর কিপার মোবারক হোসেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম বলেন, হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ ও স্টোর কিপার কে শোকজ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রাজিয়া খাতুন ও গিয়াস কামাল বাবু নামে দুজন রোগী ভর্তি হন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁদের স্যালাইন দেওয়া হয়। একপর্যায়ে রোগীর শরীরের একপাশ থেকে ব্যথা শুরু হয়। তখন রোগীর স্বজনেরা পুশকৃত স্যালাইন চেক করে দেখে স্যালাইনের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। পরে তাঁরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভুঁইয়াকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করে দেখার জন্য বলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করে ওয়ার্ড ইনচার্জ ও স্টোর কিপার কে শোকজ করেন।
রোগীর স্বজনেরা বলেন, রোববার সকালে রাজিয়া খাতুনকে খিঁচুনি জাতীয় সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দেয় নার্স। আরেক রোগী গিয়াস উদ্দিন বাবুকে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার পর শরীরের একপাশে ব্যথা শুরু হয় বলে জানান তার স্বজনরা।