ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নাগরিক সুবিধা না পেয়ে ওয়ার্ডবাসীর বিক্ষোভ

সিদ্ধিরগঞ্জে কাউন্সিলর কার্যালয় ও বাড়িঘরে লাগাতার হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ০৯:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সেবাবঞ্চিত ওয়ার্ডবাসী। হামলা, ভাংচুর ও সচিবকে মারধর করার পর থেকে বন্ধ রয়েছে সকল কার্যক্রম। এতে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় নাগরিক সেবা না পাওয়া ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মাদরাসা রোড এলাকায় কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন নারীরা।

বিক্ষোভকারিদের অভিযোগ, গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর কার্যালয়ের সচিব তুহিনকে মারধর করে। এঘটনার পর থেকে কার্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। তারা আরো জানান,কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি করার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে তার বাড়িঘর, আতœীয়স্বজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে। এতে প্রাণের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন। ফলে ওয়ার্ডে দেখা দিয়েছে জনভোগান্তি।

এবিষয়ে কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,“আমি বিএনপি করি বলে একই ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে একের পর এক হামলা করছে। শফিকের ছেলে ‘টেনশন গ্রুপ’ নামক কিশোর গ্যাং নেতা রাইসুল ইসলাম সীমান্তর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী গত ৩০ অগস্ট ও ৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে আমার বাড়িতে দুদফা হামলা চালায়। কাউন্সিলর অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাঙচুর করে ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায়। সর্বশেষ গত রবিবার রাত ৮ টায় আমার ভগ্নিপতি মোক্তার হোসেনের সাহেবপাড়া এলাকাস্থ এম,এইচ টিম্বার অ্যান্ড ‘স’ মিলে হামলা চালায়। তার আগে আমার ব্যক্তিগত সচিব তুহিনকে ধরে নিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা আটকিয়ে রাখে। এসব ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেননি।”

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন,“বিএনপি নেতা ইকাবাল তার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছে। এসব হামলার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।”

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। উপ-পরিদর্শক সানোয়ার হোসেন তদন্ত করছেন।
জানতে চাইলে উপ-পরিদর্শক সানোয়ার হোসেন বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নাগরিক সুবিধা না পেয়ে ওয়ার্ডবাসীর বিক্ষোভ

সিদ্ধিরগঞ্জে কাউন্সিলর কার্যালয় ও বাড়িঘরে লাগাতার হামলা

আপলোড সময় : ০৯:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সেবাবঞ্চিত ওয়ার্ডবাসী। হামলা, ভাংচুর ও সচিবকে মারধর করার পর থেকে বন্ধ রয়েছে সকল কার্যক্রম। এতে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় নাগরিক সেবা না পাওয়া ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মাদরাসা রোড এলাকায় কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন নারীরা।

বিক্ষোভকারিদের অভিযোগ, গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর কার্যালয়ের সচিব তুহিনকে মারধর করে। এঘটনার পর থেকে কার্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। তারা আরো জানান,কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি করার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে তার বাড়িঘর, আতœীয়স্বজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে। এতে প্রাণের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন। ফলে ওয়ার্ডে দেখা দিয়েছে জনভোগান্তি।

এবিষয়ে কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,“আমি বিএনপি করি বলে একই ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে একের পর এক হামলা করছে। শফিকের ছেলে ‘টেনশন গ্রুপ’ নামক কিশোর গ্যাং নেতা রাইসুল ইসলাম সীমান্তর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী গত ৩০ অগস্ট ও ৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে আমার বাড়িতে দুদফা হামলা চালায়। কাউন্সিলর অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাঙচুর করে ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায়। সর্বশেষ গত রবিবার রাত ৮ টায় আমার ভগ্নিপতি মোক্তার হোসেনের সাহেবপাড়া এলাকাস্থ এম,এইচ টিম্বার অ্যান্ড ‘স’ মিলে হামলা চালায়। তার আগে আমার ব্যক্তিগত সচিব তুহিনকে ধরে নিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা আটকিয়ে রাখে। এসব ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেননি।”

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন,“বিএনপি নেতা ইকাবাল তার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছে। এসব হামলার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।”

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। উপ-পরিদর্শক সানোয়ার হোসেন তদন্ত করছেন।
জানতে চাইলে উপ-পরিদর্শক সানোয়ার হোসেন বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন