আড়াইহাজারে মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে গণধর্ষণ
- আপলোড সময় : ১০:৫১:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৯৪০ বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঘরে ঢুকে মাকে আটকে রেখে মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে
জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার মধ্য রাতে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকায়। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় থানায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন- আড়াইহাজারের শখেরগাঁও কাজীপাড়া এলাকার শহিদুল্লার ছেলে আশিক (২০), ফজার ছেলে ছরহাব (২৮), সাতগ্রামের টেকপাড়ার মোস্তফার ছেলে হিমেল (২৬), শেরুর ছেলে এনামুল (২৫), মনির হোসেনের ছেলে সুজন (২৪)। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ধর্ষিতা (২৬) এর স্বামী প্রবাসে থাকায় ধর্ষিতা সন্তান সহ তার পিত্রালয়ে মায়ের বসবাস করে আসছে। তাকে উল্লেখিত অভিযুক্তরা রাস্তাঘাটে পেলেই উত্যক্ত করা সহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেয়। এতে সাড়া না দেয়ায় অভিযুক্তরা তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। ঘটনার সময় ধর্ষিতা প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বসত ঘরের দরজা খুলে বাইরে গেলে অভিযুক্তরা তার বসত ঘরে প্রবেশ করে। এরপর দুজন ধর্ষিতার মাকে ধরে মারধর করে এবং বসত ঘরে নিয়ে মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী কক্ষে বন্দি করে রাখে। ধর্ষিতা প্রতিবাদ করলে তাকে অভিযুক্তরা মারধর করে এবং তাদের সাথে থাকা ধারালো চাকু দ্বারা হত্যার হুমকী দিয়ে অভিযুক্ত আশিক ও
এনামুল তাকে জোরপূর্বক কয়েক দফা ধর্ষণ করে। আশিক ও ছরহাব এ-সময় ধর্ষির্তার মাকেও বিভিন্ন ভাবে যৌন হয়রানী করে। একই সাথে আশিক, ছরহাব ও সুজন তাদের হাতে থাকা মোবাইলে ধর্ষিতার নগ্ন ছবি সহ ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনা প্রকাশ করলে ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে সকালে ধর্ষিতা লোক লজ্জার ভয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজহাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে ধর্ষিতা ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ডিউটি অফিসার এস আই সাইফুল
ইসলাম জানান, মামলা হয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ
করছে।