ঢাকা ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ে সন্ত্রাসীদের আঘাতে আহত দুলাল মিয়া চারদিন পর না ফেরার দেশে

সোনারগাঁ প্রতিনিধি
সোনারগাঁ প্রতিনিধি
  • আপলোড সময় : ০১:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে বড় ভাই ফজল মিয়াকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে ছোট ভাই দুলাল মিয়া (৫০) গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল হসপিটালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর ) সকাল সাড়ে দশটার দিকে একই ইউনিয়নের বাড়ি মজলিশ গ্রামের মৃত মজিব প্রধানের ছেলে মো: জামান প্রধান ব্যবসায়িক কাজের কথা বলে মৃত হাশেম প্রধানের ছেলে রাজ্জাকের বাড়ীতে ডেকে নিয়ে পূর্ব থেকে পরিকল্পিতভাবে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মো: ফজল মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, কিলঘুষি মারিয়া নীলাফুলা জখম ও আহত করে। এ সংবাদ পেয়ে আহতের ছেলে ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর ও ছোট ভাই মোঃ দুলাল মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে দুলাল মিয়াকে এলোপাথাড়ি কুুপিয়ে পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নারী-ভুড়ি বের করে হত্যার চেষ্টা করে গুরুত্বর রক্তাত্ব জখম করে।

আহতের ভাতিজা ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর জানান, তার বাবাকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘাই মারিলে আমি আমার বাম হাত দিয়ে ঠেকাইলে আমার বাম হাতের কজ্বি কেঁটে রক্তাত্ব জখম হয়।
এসময় আমাদের ডাক চিৎকার শুনিয়া এলাকার লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমাদের খুন জখমের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলিয়া যায়। এলাকার লোকজন আমাদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার চাচা দুলাল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে আমার চাচা
আহত দুলাল মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাতে আমার চাচা আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান।

এ ঘটনায় গত বুধবার সকালে আহতের ভাতিজা ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর, বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় রাজ্জাক, মেহেদি, মহসীন, ইমদাদ হোসেন, জামান, শামীম, সজিব, শাহ আলমসহ, আরো ১০-১৫জন অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে সোনারগাঁও থানার এসআই মো. ইমরান হোসেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইমদাদ হোসেন (৫৫) ও আরমানকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেন।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সোনারগাঁয়ে সন্ত্রাসীদের আঘাতে আহত দুলাল মিয়া চারদিন পর না ফেরার দেশে

আপলোড সময় : ০১:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে বড় ভাই ফজল মিয়াকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে ছোট ভাই দুলাল মিয়া (৫০) গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল হসপিটালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর ) সকাল সাড়ে দশটার দিকে একই ইউনিয়নের বাড়ি মজলিশ গ্রামের মৃত মজিব প্রধানের ছেলে মো: জামান প্রধান ব্যবসায়িক কাজের কথা বলে মৃত হাশেম প্রধানের ছেলে রাজ্জাকের বাড়ীতে ডেকে নিয়ে পূর্ব থেকে পরিকল্পিতভাবে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মো: ফজল মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, কিলঘুষি মারিয়া নীলাফুলা জখম ও আহত করে। এ সংবাদ পেয়ে আহতের ছেলে ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর ও ছোট ভাই মোঃ দুলাল মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে দুলাল মিয়াকে এলোপাথাড়ি কুুপিয়ে পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নারী-ভুড়ি বের করে হত্যার চেষ্টা করে গুরুত্বর রক্তাত্ব জখম করে।

আহতের ভাতিজা ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর জানান, তার বাবাকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘাই মারিলে আমি আমার বাম হাত দিয়ে ঠেকাইলে আমার বাম হাতের কজ্বি কেঁটে রক্তাত্ব জখম হয়।
এসময় আমাদের ডাক চিৎকার শুনিয়া এলাকার লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমাদের খুন জখমের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলিয়া যায়। এলাকার লোকজন আমাদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার চাচা দুলাল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে আমার চাচা
আহত দুলাল মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাতে আমার চাচা আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান।

এ ঘটনায় গত বুধবার সকালে আহতের ভাতিজা ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর, বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় রাজ্জাক, মেহেদি, মহসীন, ইমদাদ হোসেন, জামান, শামীম, সজিব, শাহ আলমসহ, আরো ১০-১৫জন অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে সোনারগাঁও থানার এসআই মো. ইমরান হোসেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইমদাদ হোসেন (৫৫) ও আরমানকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেন।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন