রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙাচ্ছেন ফরিদপুর-১ আসনে বিএনএম প্রার্থী শাহ জাফর
- আপলোড সময় : ১২:১৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে
ফরিদপুর-১ আসনে বিএনএমের প্রার্থী শাহ মো. আবু জাফরকে ভোটে লড়তে রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা টাকা দিয়েছে। এমনকি তাকে বিএনপি থেকে বের করে এনে বিএনএমে যোগদানও করিয়েছে সংস্থাটি।
চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য ছড়িয়ে অবাক করা অপপ্রচার চালাচ্ছেন খোদ শাহ মো. আবু জাফর। নির্বাচনী প্রচারে তার অনুরাগী-ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে এই ধরনের কথাই বলছেন আটবার দলবদলি এই নেতা।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থাকে নিয়ে শাহ জাফরের অপপ্রচারে ফরিদপুর-১ আসনের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভান্তি তৈরি হয়েছে। জনসমর্থন না থাকায় ভোটারদের বিভ্রান্তি করে পক্ষে টানার কৌশল হিসেবে শাহ জাফর এমন অপপ্রচার করছে বলে মনে করছেন তারা।
অভিযোগ উঠেছে, শাহ জাফর গোয়েন্দা সংস্থার নাম ব্যবহার করে ভোটে জেতার অপকৌশলে লিপ্ত। বিশেষ করে ফরিদপুর-১ আসনের তিন উপজেলার বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে শাহ জাফর তার পক্ষে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধুখালীর এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, শাহ জাফরের অপপ্রচার সচেতন মানুষের কাছে পাত্তা না পেলেও সাধারণের কাছে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তিনি রাষ্ট্রের একটি মর্যাদাসম্পন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙাচ্ছেন।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এভাবে প্রশ্নের মুখে ফেলার কারণে শাহ জাফরের অপপ্রচারের বিষয়ে ওই গোয়েন্দা সংস্থার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও মনে করছেন এ জনপ্রতিনিধি।
নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ কোনো গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙানো বেনজির প্রপাগান্ডা হিসেবে দেখছেন সাবেক একজন নির্বাচন কামিশনার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিগত ইসির এই কমিশনার বলেন, এমন অপপ্রচার অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ। নির্বাচন কমিশনের উচিত এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
রাজনৈতিক জীবনে ৮ বার দলবদল করা শাহ জাফর বরাবরই বিতর্কিত। আওয়ামী লীগ, বাকশাল, জাতীয় পার্টি, বিএনপি হয়ে সবশেষ বিএনএমে ঠাঁই নিয়েছেন এই নেতা। ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপিতে সংস্কারপন্থী হয়ে অপাংক্তেয় হয়ে যান দলটিতে। নিজের নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা নেই ‘কিংস পার্টি’ বলে খ্যাত বিএনএম নেতার।