ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার শ্রমিক লীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন

ইসমাইল হোসেন মিলন (সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি)
ইসমাইল হোসেন মিলন (সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি)
  • আপলোড সময় : ১২:০৯:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে

দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মো: সাদ্দাম হোসেন।
রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বেশ সুপরিচিত এই সাদ্দাম হোসেন। এলাকায় খোঁজ নিলে স্থানীয়রা জানান, নেতাকর্মী নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সকল অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন তিনি। বর্তমানে রাজপথে সক্রিয় থাকাই কাল হয়ে দাড়িয়েছে সদস্য সচিব মো: সাদ্দাম হোসেনের। সিদ্ধিরগঞ্জে নেতাকর্মীদের চাঙা রেখে রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা এগিয়ে যাওয়াতে তাকে দমিয়ে রাখতে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে একটি কুচক্রী মহল। যার জল জ্যান্ত প্রমাণ আদমজী ইপিজেডের দুই নাগরিকের উপর হামলার ঘটনা।
এসব ষড়যন্ত্রকে উড়িয়ে দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব মো: সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমার প্রতিপক্ষ দল ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে’। তারা জানেনা সত্যকে কখনো দাবিয়ে রাখা যায় না। আর মিথ্যে কখনো চাপা রাখা যায় না। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার মাত্র। আমাকে ফাঁসানোর জন্য যারা বিদেশি নাগরিকদের উপর হামলা করেছে তাদেরকে অচিরেই শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম তদন্ত করছেন। আমি যদি ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকি তাহলে আমাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমি একজন স্বনামধন্য পরিবারের সন্তান। আমার বিরুদ্ধে থানা কিংবা কখনো কোথাও একটি অভিযোগ ছিলো না। একটি দুর্নীতিবাজ মহল তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে।
আমি নাকি শ্রমিক লীগের রাজনীতি না করেও শ্রমিক লীগের পরিচয় দিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছি, প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে নাকি বিভিন্ন বাণিজ্যিক দপ্তরে ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তার করছি। সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমি যদি এসব করে বেড়াতাম তাহলে এতোদিন নিশ্চয়ই আমার বিরুদ্ধে থানায় বা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ যাওয়ার কথা। যারা এসব দুর্নীতি, জোরপূর্বক জমি দখল, কিশোর গ্যাং বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ, ইপিজেডের মালামাল ডাকাতি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা ও অভিযোগ হয়েছে। যারা দুর্নীতি করে লুটপাট করে অবৈধ পন্থায় শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। ইপিজেডকে যারা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছেন তারাই নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যার প্রতিফলন কিছুদিন আগেও সিদ্ধিরগঞ্জসহ দেশবাসী দেখেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী জানান, সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে যে ঘটনাটি প্রকাশ হয়েছে তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে একটি প্রতিপক্ষ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করছে। তিনি মূলত ষড়যন্ত্রের শিকার। সাদ্দাম আওয়ামী লীগ পরিবার থেকে উঠে এসেছে। তিনি অন্যান্যদের মতো গায়ে দুর্নীতির ছাপ নিয়ে রাজনীতি করে না। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে রাজপথে থেকে স্বচ্ছভাবে রাজনীতি করে আসছেন। বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজনীতি করলে বিভিন্ন দিক থেকে ষড়যন্ত্র হবে। সেগুলো মোকাবেলা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে বলেও জানান তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার শ্রমিক লীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন

আপলোড সময় : ১২:০৯:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মো: সাদ্দাম হোসেন।
রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বেশ সুপরিচিত এই সাদ্দাম হোসেন। এলাকায় খোঁজ নিলে স্থানীয়রা জানান, নেতাকর্মী নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সকল অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন তিনি। বর্তমানে রাজপথে সক্রিয় থাকাই কাল হয়ে দাড়িয়েছে সদস্য সচিব মো: সাদ্দাম হোসেনের। সিদ্ধিরগঞ্জে নেতাকর্মীদের চাঙা রেখে রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা এগিয়ে যাওয়াতে তাকে দমিয়ে রাখতে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে একটি কুচক্রী মহল। যার জল জ্যান্ত প্রমাণ আদমজী ইপিজেডের দুই নাগরিকের উপর হামলার ঘটনা।
এসব ষড়যন্ত্রকে উড়িয়ে দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব মো: সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমার প্রতিপক্ষ দল ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে’। তারা জানেনা সত্যকে কখনো দাবিয়ে রাখা যায় না। আর মিথ্যে কখনো চাপা রাখা যায় না। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার মাত্র। আমাকে ফাঁসানোর জন্য যারা বিদেশি নাগরিকদের উপর হামলা করেছে তাদেরকে অচিরেই শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম তদন্ত করছেন। আমি যদি ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকি তাহলে আমাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমি একজন স্বনামধন্য পরিবারের সন্তান। আমার বিরুদ্ধে থানা কিংবা কখনো কোথাও একটি অভিযোগ ছিলো না। একটি দুর্নীতিবাজ মহল তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে।
আমি নাকি শ্রমিক লীগের রাজনীতি না করেও শ্রমিক লীগের পরিচয় দিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছি, প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে নাকি বিভিন্ন বাণিজ্যিক দপ্তরে ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তার করছি। সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমি যদি এসব করে বেড়াতাম তাহলে এতোদিন নিশ্চয়ই আমার বিরুদ্ধে থানায় বা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ যাওয়ার কথা। যারা এসব দুর্নীতি, জোরপূর্বক জমি দখল, কিশোর গ্যাং বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ, ইপিজেডের মালামাল ডাকাতি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা ও অভিযোগ হয়েছে। যারা দুর্নীতি করে লুটপাট করে অবৈধ পন্থায় শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। ইপিজেডকে যারা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছেন তারাই নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যার প্রতিফলন কিছুদিন আগেও সিদ্ধিরগঞ্জসহ দেশবাসী দেখেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী জানান, সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে যে ঘটনাটি প্রকাশ হয়েছে তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে একটি প্রতিপক্ষ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করছে। তিনি মূলত ষড়যন্ত্রের শিকার। সাদ্দাম আওয়ামী লীগ পরিবার থেকে উঠে এসেছে। তিনি অন্যান্যদের মতো গায়ে দুর্নীতির ছাপ নিয়ে রাজনীতি করে না। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে রাজপথে থেকে স্বচ্ছভাবে রাজনীতি করে আসছেন। বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজনীতি করলে বিভিন্ন দিক থেকে ষড়যন্ত্র হবে। সেগুলো মোকাবেলা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে বলেও জানান তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন