ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির পিঠা উৎসব

মো: শাহিন (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মো: শাহিন (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ১১:০২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে

অন্যান্য বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো দেশের সবচেয়ে বড় পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতি। আজ শুক্রবার বিকালে কেরানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির উপদেষ্টা মুজিবুর রহমান। এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির সভাপতি সাহিদুল হক।

হারিয়ে যেতে বসা গ্রামীণ ঐতিহ্য পিঠাপুলির সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং পিঠার স্বাদ ভুলতে বসা বড়দের পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে ব্যতিক্রমী গ্রামীণ পিঠা উৎসব ও ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জবাসীর মিলন মেলা হয়ে গেলো ঢাকার কেরানীগঞ্জে। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এ উৎসব ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে দক্ষিণ এশিয়ার সব চেয়ে বড় পিঠা উৎসব হিসেবে

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হাজার হাজার অতিথির জন্য নানা পদের ৬০ হাজার পিঠা পরিবেশন করা হয়। ব্যতিক্রমী এ উৎসব প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত মঞ্চে ছিল নাচ, গান, আবৃত্তি ও পথনাটকসহ নানা আয়োজন।

পিঠা উৎসবে গিয়ে দেখা যায়- ভিন্ন ভিন্ন স্টল সাজানো হয়েছে নানান রকমের পিঠা-পুলি দিয়ে। রয়েছে সুইচ রোল পুলি, চন্দন কাঠ, সুজির মালাই চাপ, ম্যারা পিঠা, নারকেল পুলি পিঠা, দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, ফুলঝুরি পিঠা, সেমাই পিঠা, সাগু রিং, কেক, গোলাপ পিঠা, ডালের পিঠা, পুডিং, দুধ মালাই রিং, দুধ সন্দেশ, নারকেল চমচম, তেলের পিঠা, নারকেল পাকন, নুডুলস পিঠা, চুষি পিঠা, সাজের পিঠা পাঠিসাপটাসহ ভিন্ন স্বাদের বৈচিত্র্যময় পিঠা। উৎসবে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক উপরে পিঠার সমাহার দেখা যায়।

পিঠা উৎসবে পিঠা খেতে আসা, ইমরান হোসেন বলেন, ‘বাঙালির ঐতিহ্যের একটি অংশ হচ্ছে পিঠা। এ দেশের লোকসংস্কৃতিরও মানুষের প্রিয় গ্রামবাংলা ঐতিহ্যের পিঠাপুলি। এর আগে ঢাকায় এত বড় পরিসরে বিনা মূল্যে পিঠা উৎসব দেখিনি। পিঠা খাওয়ানোর পাশাপাশি গান শুনতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে

ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুল হক সাহিদ বলেন, বাঙালি সংস্কৃতিকে ধরে রাখা, আমাদের একে অপরের সাথে যোগাযোগ-মিলবন্ধন রক্ষার জন্যই এ উৎসবের আয়োজন। আমরা চাই পিঠা-পুলির সাথে নতুন প্রজন্ম পরিচিত হোক, পিঠার সাথে পরিচিতি নতুন প্রজম্মকে তার মা-খালা, দাদী-নানীদের কাছে টানবে। আমরা পর্যায়ক্রমে ইস্পাহানি কলেজ, হযরতপুর কলেজ, আমবাগিচা মহিলা কলেজেসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এই শীতকালীন উৎসবের আয়োজন করব। আশাকরি কেরানীগঞ্জবাসী সব সময় পাশাপাশি থাকবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: জাকির হোসেন, সাইমন চৌধুরী, রিয়াজ আহমেদসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির পিঠা উৎসব

আপলোড সময় : ১১:০২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অন্যান্য বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো দেশের সবচেয়ে বড় পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতি। আজ শুক্রবার বিকালে কেরানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির উপদেষ্টা মুজিবুর রহমান। এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির সভাপতি সাহিদুল হক।

হারিয়ে যেতে বসা গ্রামীণ ঐতিহ্য পিঠাপুলির সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং পিঠার স্বাদ ভুলতে বসা বড়দের পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে ব্যতিক্রমী গ্রামীণ পিঠা উৎসব ও ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জবাসীর মিলন মেলা হয়ে গেলো ঢাকার কেরানীগঞ্জে। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এ উৎসব ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে দক্ষিণ এশিয়ার সব চেয়ে বড় পিঠা উৎসব হিসেবে

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হাজার হাজার অতিথির জন্য নানা পদের ৬০ হাজার পিঠা পরিবেশন করা হয়। ব্যতিক্রমী এ উৎসব প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত মঞ্চে ছিল নাচ, গান, আবৃত্তি ও পথনাটকসহ নানা আয়োজন।

পিঠা উৎসবে গিয়ে দেখা যায়- ভিন্ন ভিন্ন স্টল সাজানো হয়েছে নানান রকমের পিঠা-পুলি দিয়ে। রয়েছে সুইচ রোল পুলি, চন্দন কাঠ, সুজির মালাই চাপ, ম্যারা পিঠা, নারকেল পুলি পিঠা, দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, ফুলঝুরি পিঠা, সেমাই পিঠা, সাগু রিং, কেক, গোলাপ পিঠা, ডালের পিঠা, পুডিং, দুধ মালাই রিং, দুধ সন্দেশ, নারকেল চমচম, তেলের পিঠা, নারকেল পাকন, নুডুলস পিঠা, চুষি পিঠা, সাজের পিঠা পাঠিসাপটাসহ ভিন্ন স্বাদের বৈচিত্র্যময় পিঠা। উৎসবে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক উপরে পিঠার সমাহার দেখা যায়।

পিঠা উৎসবে পিঠা খেতে আসা, ইমরান হোসেন বলেন, ‘বাঙালির ঐতিহ্যের একটি অংশ হচ্ছে পিঠা। এ দেশের লোকসংস্কৃতিরও মানুষের প্রিয় গ্রামবাংলা ঐতিহ্যের পিঠাপুলি। এর আগে ঢাকায় এত বড় পরিসরে বিনা মূল্যে পিঠা উৎসব দেখিনি। পিঠা খাওয়ানোর পাশাপাশি গান শুনতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে

ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুল হক সাহিদ বলেন, বাঙালি সংস্কৃতিকে ধরে রাখা, আমাদের একে অপরের সাথে যোগাযোগ-মিলবন্ধন রক্ষার জন্যই এ উৎসবের আয়োজন। আমরা চাই পিঠা-পুলির সাথে নতুন প্রজন্ম পরিচিত হোক, পিঠার সাথে পরিচিতি নতুন প্রজম্মকে তার মা-খালা, দাদী-নানীদের কাছে টানবে। আমরা পর্যায়ক্রমে ইস্পাহানি কলেজ, হযরতপুর কলেজ, আমবাগিচা মহিলা কলেজেসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এই শীতকালীন উৎসবের আয়োজন করব। আশাকরি কেরানীগঞ্জবাসী সব সময় পাশাপাশি থাকবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: জাকির হোসেন, সাইমন চৌধুরী, রিয়াজ আহমেদসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন