ইউএনওর কাছে দেড়শতাধীক কৃষকের লিখিত অভিযোগ
আড়াইহাজারে ৫ বছর ধরে ৫টি সেচ প্রকল্প বন্ধ রেখেছেন সমিতির সভাপতি, কৃষকদের মানবন্ধন
- আপলোড সময় : ০৯:২০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪৭৩ বার পড়া হয়েছে
কৃষি খাতে যেখানে সবোর্চ্চ ভর্তুকির ব্যবস্থা রেখেছে সরকার, কোন জমি অনাবাদী রাখা যাবেনা বলে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর, সেখানে পাঁচ পাঁচটি সেচ প্রকল্প গত পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রেখে, পেশি শক্তি দেখিয়ে অন্য কাউকে সেচ প্রকল্প স্থাপন করতে না দিয়ে ইরি বোরো চাষাবাদ বন্ধ রখেছেন। কেউ সেচ মেশিন বসাতে চাইলে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে সর্বশান্ত করা হচ্ছে।
এলাকার কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক দিয়ে দেয়া হচ্ছে হুমকী ধমকী। এমন কি মারপিট ও করা হয়ে থাকে তাদেরকে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগি প্রায় দেড়শতাদীক কৃষক গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে সোমবার আড়াইহাজার উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এলাকার শত শত কৃষক ও কৃষাণী মিলে এলাকায় ওই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে করেছেন মানববন্ধন।
তার দেয়া মিথ্যা মামলায় জর্জড়িত হয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন গ্রামবাসী সহ তার নিজের পরিবারের লোকজন। এ যাবত তিনি এলাকার নীরিহ লোকজন সহ তার বোন ভাগনিকে পর্যন্ত অর্ধশতাধীক মামলা দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, উপজলোর উচিৎপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আতাদী গ্রামের প্রায় আড়াইশ কৃষক মিলে আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে “পূর্ব আতাদী কৃষক সমবায় সমিতি” নামে একটি সমিতির মাধ্যমে প্রায় আড়াইশ বিঘা জমি নিয়ে ৫টি সেচ মেশিন স্থাপন করেন বোরো চাষ করতে থাকেন। কিন্তু ১০ বছর বোরো চাষ সফল ভাবে করার পর হঠাৎ করে গত পাঁচ বছর আগে সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবীর পেশি শক্তি খাটিয়ে এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোককে ব্যবহার করে সেচ প্রকল্প গুলো বন্ধ করে দেন। ফলে গত পাঁচ বছর ধরে প্রায় আড়াইশ বিঘা জমিতে ইরি বোরো চাষ বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসি অভিযোগ করেন, যে সমস্ত জমিতে গত
পাঁচ বছর আগেও শত শত মন ধান উৎপাদন হতো, সে সমস্ত জমি গত পাঁচ বছর ধরে শুকনো মাঠ। এ গুলোতে শুধু বোরো ফসল ই ফলে। কিন্তু সভাপতি নিজে সেচ মেশিন গুলো বন্ধ করে মালামাল সব নিজের বাড়ীতে নিয়ে তালা বদ্ধ করে রেখেছেন এবং অন্য কেউ সেচ মেশিন বসাতে চাইলে তাকে প্রাণ নাশের হুমকী দেয় ও মারধর করে।
এ সমস্ত বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। এ সমস্ত কাজে এলাকার সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক ও ডাকাতি মামলার আসামী কাশেম ও আনার তাকে প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ভাবে তিনি এলাকার মেম্বার আল আমিন সহ গ্রামের বিভিন্ন লোক কে এমন কি তার আপন ভাই ভাগনিকেও ৫১টি মামলা দিয়ে হেনস্তা করছেন। অভিযোগকারীরা প্রদত্ত অভিযোগের অনুলিপি সহকারী কমিশনার (ভুমি) আড়াইহাজার, ওসি, আড়াইহাজার, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা, আড়াইহাজার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, আড়াইহাজার, প্রকৌশলী, বি এ ডি সি আড়াইহাজার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আড়াইহাজার সহ বিভিণ্ন দফতরে প্রদান করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবীরের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি আপনাদের সাথে কথা বলতে বা কোন কৈফিয়ত দিতে রাজী নই।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহাম্মেদ জানান, শুনেছি এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযোগটি আমার টেবিল পর্যন্ত পৌঁছেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে বিএডসির প্রকৌশলির সাথে কথা বলার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিএডিসির আড়াইহাজারের উপ- সহকারী প্রকৌশলী সুশান্ত সাহা বলেন, ইউ এন ও মহোদয় আমাকে দায়িত্ব দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।